google.com, pub-2412686623726664, DIRECT, f08c47fec0942fa0

গুরুত্বপূর্ণ খবর

google.com, pub-2412686623726664, DIRECT, f08c47fec0942fa0
শামা আরজু, লেখক, বাংলাদেশ: সবে মাত্র নতুন এসেছি এখানে। তৃতীয় শ্রেণীর একটি মেয়ে বিদ্যালয়ে আসছে না দীর্ঘদিন। অনুপস্থিতির কারণ জানতে গিয়ে জানলাম, মেয়েটা গত বছর রেপ হয়েছে। বুলিং এর শিকার মেয়েটার বাড়িতে গেলাম। বারবার বুঝিয়ে মেয়েটাকে স্কুলে আনলাম। বলেছিলাম যারা তোমাকে এসব নিয়ে কথা বলে লজ্জা তাদের থাকা উচিত। তুমি কেন লজ্জায় ঘর থেকে বের হবে না! তুমি যদি ঘরে বসে থাকো তবে তো ওরাই জিতে যাবে। আর কি কি বলেছিলাম এখন আর মনে করতে পারছি না। অনেকবার আমাকে ওদের বাড়িতে যেতে হয়েছে। মেয়েটি একসময় বিদ্যালয়ে আসা শুরু করেছে। যদিও তখনও তাকে কথা শুনতে হতো। একসময় সে প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেল। সেখানে গিয়ে আর তার পড়াশোনাটা সে চালিয়ে যেতে পারল না। ততদিনে তার বয়স কৈশোরে। খুব ইমোশনাল থাকে এই সময় শিশু। তাই মানুষের কথাকে আর কোনভাবেই নিতে পারছিল না। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেল। ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ছিল। পুলিশ মধ্যস্থতাকারী হয়ে ধর্ষকের সাথে মেয়েটার বিয়ে দিল। পুলিশ ধর্ষকের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিল। মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ওরা একটা ফাঁদ পেতেছিল। মেয়েটি সেই ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হলো। ধর্ষকের সঙ্গেই তার বিয়ে হল। ও ধর্ষকের বাড়িতে গেল। সেখানে গিয়ে ধর্ষক এবং তার মায়ের অত্যাচারে সে বাধ্য হল বাবার বাড়িতে ফিরে আসতে। কিছুদিন পর বাবা তাকে তার দ্বিগুণ বয়সি এক মোল্লার সাথে বিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললো। বেশ কয়েকদিন মেয়েটি আমাকে ফোন করেছিল। আমি তার ফোন ধরিনি। কারন এর পরে আর কিছু হলে আমি সেটা নিতেও পারবো না আবার ওর জন্য কোন কিছু করতেও পারবো না। সমাজের প্রতিটি স্তরে পচন ধরেছে। রমিজ আমার স্কুলে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ফার্স্ট হয়ে এসেছে। ওর বাবা একসময় রিক্সা চালাত। এখন কিছু করে না। কাজের মধ্যে কাজ হলো ওর মাকে মারধর করা। স্কুলে আসার সময় রমিজকে স্কুলে আসতে দিত না। সে চাইতো রমিজ কাজ করুক। রমিজকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে হাইস্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলাম। বিনা বেতনে পড়ানোর ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলাম। কিন্তু রমিজের পড়াটা আর হলোই না। রমিজের কোন প্রাইভেট টিচার ছিল না। কিছুদিন আগে তার বাবা মারা গেল। ছয় মাস পর গেল মা। তার মাকে আমি যোদ্ধা বলি। কারণ এই মহিলা গ্রামে লজ্জায় চাইতে পারত না। শহরে গিয়ে মানুষের বাসায় কাজ করতো, এমনকি ভিক্ষাও করতো। চারটা সন্তান। বিয়ের বয়সী দুটি মেয়ে আছে। পাড়া পড়শী বলে মেয়েগুলির নাকি চরিত্র ভালো না। এজন্য এখানে এসে থাকতেও পারে না। ওরা নাকি আসামেও (ভারত) গিয়ে থাকে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য আমার কাছে এসেছে। কিন্তু আমি তো দিতে পারিনি। কারণ ওরা আমার স্কুলে পড়েনি। ওদের কোন কিছুই আমার কাছে নাই। এরা কি বাংলাদেশের নাগরিক না! শুনেছি রমিজ এখন রিক্সা চালায়। আজগর পড়তো আমার স্কুলে। রমিজের মত সেও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বরাবরই ফার্স্ট হত। পঞ্চম শ্রেণীর পর আজগরের পড়া আর চলেনি। ওকে স্বর্ণকারের দোকানে কাজ শেখানোর জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওর মাকে বলেছিলাম ওর পড়ার খরচ আমি চালাবো। ওকে পড়তে দিন। আমার সৌভাগ্য আজগরের মা আমাকে গালিগালাজ করেনি। কারণ পেটের তাগিদের কাছে সবকিছুই হার মানে। ফাতেমার বাবা নাকি নেশা খায়। কাজকর্ম কিছুই করে না। মা আশেপাশের বাড়ি ফরমায়েশ খেটে যা পায় তাতেও ভাগ বসায় ফাতেমার বাপ। প্রাইমারি শেষ করেই ইতি টানতে হলো শিক্ষাজীবনের।করোনার বিভীষিকার সময় রাত বারোটায় নজীব উল্যা মেম্বার ফাতেমার মায়ের মাথার কাছে দুই কেজি চাল রেখে ফাতেমাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। সবাই কেবল সফলতা দেখে। কি করে দেখে জানি না। আমি সফলতা দেখি না। সফলতা আমার কাছে মিরাক্কেলের মত। অথচ মিরাক্কল নিয়েই মিডিয়া হুমড়ি খায়। সাধারণত যেটা হয় সেটা হল ব্যর্থতা। আমি তো কেবলই ব্যর্থতা দেখি। সাধারণ বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না, সাধারণ বিষয়গুলি অতি সাধারণভাবেই সবাই নেয়। কিন্তু আমি নিতে পারি না। আমি সাধারণের ব্যর্থতা নিতে পারি না। প্রচন্ড রাগ হয় সিস্টেমের ওপর। আমার তখন চে কে মনে পড়ে। আমার তখন চের মতো একটা বন্দুক খুব জরুরি মনে হয়। একহাতে থাকবে বন্দুক অন্য হাতে আমার ক্ষত-বিক্ষত বুকটা চেপে ধরব আর দমাদম কয়টা গুলি করবো।আমার বিপ্লবী হবার স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে গেল। (www.theoffnews.com - Bangladesh revolution)
পি আর প্ল্যাসিড, প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক, জাপান; কিছু মানুষের পাষণ্ডতা পশুকেও হার মানায়। এটাই আজকের দুনিয়ায় বাস্তব চালচিত্র। আমাদের চারপাশে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে কতো ঘটনাই না ঘটে চলেছে। সুখ - দুঃখ বা আনন্দের, মর্মান্তিক, হৃদয় বিদারক যে শব্দ দিয়েই ঘটনার বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করি না কেন, এসবের কোনওটাই কিন্তু আমরা বেশীদিন মনে রাখি না। মনে না রাখাটাই যেন এখন বড় ঘটনা। কোনও কারণে কোনভাবে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার কটার বিষয়েই বা আমরা জানি বা এ'সম্পর্কে খবরাখবর রাখি? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে সামাজিক সাইটে চোখ রাখলে যে দু একটা বিষয় নজর কাড়ে তা নিয়ে দুচার দিন কথা বলি বা ভাবী। ঘটনার বিষয়বস্তু ভাইরাল হলে একটু বেশী জানার আগ্রহ হয়, এটাও বাস্তব। তেমনি একটি ঘটনার সংবাদ এখন নেট দুনিয়ায় বেশ আলোড়ন তুলেছে। ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার কোনও এক শহরে। এক মা তার ষোল মাসের সন্তানকে ঘরে তালা দিয়ে একা বন্ধ করে রেখে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে দশ দিনের জন্য চলে যায় সাগর বিলাসে, জীবনকে উপভোগ করতে। ফিরে এসে সন্তানকে মৃত অবস্থায় পায়। বিষয়টি এরই মধ্যে আপনাদের জানা হয়েছে মনে করে বিস্তারিত আর এখানে উল্লেখ করিনি। কি সাংঘাতিক ঘটনা? কি মর্মান্তিক - হৃদয় বিদারক। পুরো বিষয় শুনলে চোখের পানি সংবরণ করা কোনও মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। যদি সে মানবিক হয়ে থাকে। এনিয়ে যারা মুখ খুলেছেন বা কলম ধরেছেন এদের সবার বক্তব্য বা লেখার শেষে একটি কথাই উল্লেখ করছেন এভাবে যে, সন্তান জন্ম দিলেই মা হয় না। কতো কষ্টের অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাদের এই ছোট একটি বাক্যর মধ্য দিয়ে, তা সহজেই অনুমেয়। আমি মনে করি জন্ম দিলেই মা হয়। তবে মায়ের কার্যকলাপে প্রমাণিত হয় সে যে কেমন মা। পৃথিবীর সকল দেশের মানুষই এক। আমি এই মানুষকে তার আচরণ দিয়ে ভাগ করি এভাবে যে, "মানুষ" আর "অমানুষ"। আমেরিকার নাগরিক অনেকেই। তারা দেখতে মানুষের মতো হলেই যে ফেরেস্তা হয়ে যাবে এমনটা কিন্তু নয়। তবে এটাও সত্য যে, আমেরিকা বলে কথা। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের মুরুব্বি হিসাবে কথিত এই আমেরিকার মানুষদের কাছে অন্য সকল দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকে। তাদের কাছে জানবে, শিখবে, ফলো করবে এমনটাই প্রত্যাশা। এর ব্যতিক্রম হলেই মানুষ তাদের ছিঃ ছিঃ করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। আর সেই দেশে যদি এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে তাহলে সত্যিই তা দুঃখজনক। আমদের দেশেও এমন কিছু ঘটনা ঘটতে শোনা যায় মাঝে মধ্যে। হতে পারে বিষয় ভিন্ন। তবে মায়ের হাতে সন্তান খুন বা অপহৃত বা এমন কোনও ঘটনা যে ঘটে না, তেমনটা নয়। এমনকি বিশ্বের উন্নত দেশ জাপানেও মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে শোনা যায় যা শুনলে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। গত কয়েকবছর আগে এক মা তার নবজাতক শিশুকে স্টেশনে কয়েন বক্সে রেখে স্বামী সহ ঘুরতে গিয়েছিল। দিন শেষে ফিরে এসে সন্তানকে সেখানে মৃত অবস্থায় পায়। এমন আরও বেশ কিছু ঘটনার উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। এর কোনোটাই ক্ষমার যোগ্য নয়। তবে আমার কাছে সম্প্রতি আমেরিকায় ঘটে যাওয়া নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ঘটনার পরবর্তী আসামীর মায়ের শাস্তি ও বিচার কাজের ধরন দেখে মনে হলো এটা অনেকের বেলায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থা এতোটাই উন্নত এবং জনপ্রিয় হয়েছে যে, প্রয়োজন অপ্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। নেটের দৌলতে জানা অজানা অনেক কিছু সহজে চোখের সামনে পেয়ে যায়। অনেক দুর্লভ বিষয় সম্পর্কে জানতে পাই। এর মধ্যে প্রকৃতির জীব জানোয়ার সম্পর্কে বলতে পারি, এরা আমাদের মতো কথা বলতে না পারলেও এদের সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে বংশ বৃদ্ধি প্রক্রিয়াও। এদের বংশ বৃদ্ধি করা মা জাতি তাদের সন্তানদের জন্য কতোটা কি করে তা না দেখলে বুঝতে পারতাম না। কখনও কখনও মনে হয় পশু হলে কি হবে? এরা আমাদের মানবজাতির মায়েদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। সেখানে আমেরিকার সেই মহিলা পশুদেরকেও হার মানিয়েছে। আমি ধিক্কার জানাই মা জাতির কলঙ্ক সেই মাকে। মানবজাতিকে বিতর্কিত করতে এমন মায়ের জন্ম যেন না হয়। প্রার্থনা করি কষ্টে না খেয়ে মারা যাওয়া শিশুটির জন্য, ওর আত্মা যেন স্বর্গ লাভ করে। (www.theoffnews.com - Japan America mother)
সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ সারা দেশের লোকসভার ১৮তম সাধারণ নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বাজতে শুরু করেছে। এমনই প্রাক মুহূর্তে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মুকুটে সংযোজিত হল এক নতুন পালক। দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণ ৬৪,২৬৩ কোটি টাকা বা ৬৪২.৬৩ বিলিয়ন ডলার। যা এক সর্বকালীন রেকর্ড। বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে ভারত যে সাম্প্রতিক পৃথিবীর পুঁজিপতিদের পছন্দের মক্কা মদিনা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই কারণেই ভারত সম্পর্কে অতি উৎসুক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কও অনেকটা ছুটেই আসছেন এই ভোট মরশুমের আবহের মধ্যেই। তিনি নিজেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'এদেশে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আমি খুবই উৎসুক।' খুব কিছু এদিক ওদিক না ঘটলে সম্ভবত চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই আমেরিকার বাসিন্দা তথা টেসলার কর্ণধার এদেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ফলঃপ্রসূ হলে আমাদের দেশে ঘটবে এক আকাশচুম্বী বিনিয়োগ। অর্থাৎ টেসলার গাড়ি ভারতেই তৈরি করার ব্লুপ্রিন্ট রচনা হবে ৪,১৫০ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে। সুতরাং বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে ভারত যে আজ অন্যান্য দেশের কাছে অনেকটাই হট লিপ সম। উপরিউক্ত এহেন ভারতের সাম্প্রতিক আর্থিক জয়জয়কার সম্পর্কে সুদূর পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়াও কিন্তু যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। আর তারই আভাস পাওয়া গেল হিজ এক্সিলেন্সি অ্যাম্ব পিটার মুনিইরির আন্তরিক আবেদনে। ভারতে অবস্থিত কেনিয়া নিয়োজিত এই রাষ্ট্রদূত তাই কালক্ষেপ না করে তাঁর দেশে এদেশের সঙ্গে এরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের পুঁজিনিবেশের আমন্ত্রণ জানালেন দৃঢ়তার সঙ্গে। গত ৮ এপ্রিল বিকেলে কলকাতায় আয়োজিত হয়েছিল এক বণিকসভার আলোচনাচক্র। মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের স্থানীয় দফতরে। আর সেই বণিকসভায় সেদিনের মধ্যমনি ছিলেন রিপাবলিক অফ কেনিয়ার এই রাষ্ট্র প্রতিনিধি। এই বণিকসভার আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর দেশের আর্থিক হালহকিকতের কথা উল্লেখ করেন হিজ এক্সিলেন্সি অ্যাম্ব পিটার মুনিইরি। তিনি বলেন, "কেনিয়াতে বর্তমানে বসবাস করেন ৫২.৪ মিলিয়ন মানুষ। দেশের ৮৫% আয় তথ্যপ্রযুক্তি ও সংযোগ টেকনোলজির মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে অতি সম্প্রতি। ২০২২ সালে দেশের এফডিআই স্টক ছিল ১০.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা কেনিয়ার জিডিপির ৯.৫ % সুচকতূল্য। তবে দেশের ৭৫% মানুষ এখনও শ্রমদান করেন কৃষিক্ষেত্রে। অন্যদিকে চলতি দশকে নাইরোবির মোট জিডিপির ৬২% দাবিদার টেলিকম ও ফিনান্সিয়াল কার্যক্রম থেকে।" তিনি আরও বলেন, ভারত সহ পশ্চিমবঙ্গের পুঁজিপতিরা আমাদের দেশে আসুন। ব্যবসায়িক পর্যায়ে বিনিয়োগ করুন। নাইরোবির সরকার সর্বতো ভাবে আপনাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করবে। সহজলভ্য এখানকার শ্রম। এই দেশের সঙ্গে রপ্তানি ও আমদানি করতে চাইলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়। আমরা ভারতের ব্যবসায়ীদের জন্য অপেক্ষায় আছি। পরিশেষে এটা বলতেই হয় ভারত ও কেনিয়ার দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সুযোগ এবং অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গের পটভূমি শীর্ষক আলোচনায় নাইরোবির এই কূটনৈতিক কর্তার শরীরী ভাষা কিন্তু দীপ্ত ভঙ্গিতেই বারবার একটা আমন্ত্রণ জানান দিচ্ছিল, হে বঙ্গবাসী তথা ভারতবাসী বণিকগণ, আমার হাত ধরে নিয়ে চলো সখা। উপস্থিত ব্যবসায়ীরাও তখন হাততালি দিচ্ছিলেন মুহুর্মুহু। এই হাততালির অনুররণ কেনিয়ামুখী যে কতটা পৌঁছাবে তার পারদ-মিটার জানান ভবিষ্যতই দেবে। কারণ ব্যবসায়ীরাও বিলক্ষণ জানেন, বাণিজ্যে বসতেঃ লক্ষ্মীর আসল নির্যাসটা কি! (www.theoffnews.com - Kenya)
সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ: যাবো যাবো বসন্তের পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্ত উপভোগ করছিলেন। বলতে গেলে একাকীই।ক্ষণিকের আবেগে মোবাইলে ক্যামেরা বন্দীও করলেন সেই অনিন্দ্য প্রাকৃতিক দৃশ্য। কলকাতার এক বহুতলের ঝাঁ চকচকে বহুতলের ব্যালকনি থেকে। চোস্ত হিন্দি বলতে পারেন। বাংলাও অল্পস্বল্প বোঝেন না এমনটা নয়। রবিকবির ভাষায় উনার পরিচয় জানতে গেলে অবশ্যই বলতে হয়, তুমি বিদেশিনী গো সুমন্দ ভাষিণী দূর দ্বীপবাসিনী। তাঁর নাম হার এক্সিলেন্সি ডানিয়েলা মারিয়ানা সেজোনভ তানে। তিনি ভারত সহ বাংলাদেশ ও নেপালে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাসের বর্তমান রাষ্ট্রদূত। ভারতে অবস্থান কালে এই দেশের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি যখন আত্মস্থ করেছেন তখনই তিনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন, ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম। হয়তো তাই তীব্র ব্যস্ততার এক চিলতে অবসরে ভারত আকাশের সূর্যকে এভাবেই তাড়িয়ে তাড়িয়ে হৃদয় তন্ত্রীতে গেঁথে রাখছিলেন। এই রোমানিয়ান নন্দিনী বিলক্ষণ জানেন, বিশ্ব জুড়ে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঘোড়দৌড় চলছে ডিজিটাল ফরম্যাটে তাতে ভারত নামক এই সূর্যের দেশ হলো হালফিল বাজির কালো অশ্ব। এহেন মুহূর্তে ভারতীয় তেজি বুলের অবস্থান যে পৃথিবীতে পঞ্চম। চতুর্থ স্থান কব্জাগত করার জন্য ইতিমধ্যেই জাপানের ঘাড়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে বিশ্বের এই সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশটি। আজকের ভারত যে আর্থিক বুনিয়াদে এক অতি শক্তিশালী বাণিজ্যিক পীঠস্থান তা উপলদ্ধি করেই বুখারেস্টের থিং ট্যাঙ্কের কর্তারা হয়তো এই দেশকে একটু বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বসেছেন দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রের নিরিখে। হয়তো তাই গত বুধবার রোমানিয়ার এই রাষ্ট্রদূত ভারত সূর্যকে লেন্সে সেফ করার ঠিক প্রাক মুহূর্তে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় পুঁজিপতিদের সঙ্গে। মহানগরের ভারত চেম্বার অফ কমার্সের নিজস্ব ভবণে। ওই বৈঠকের উপলক্ষ্য ছিল একটা আলোচনাচক্র। 'আর্থিক সহযোগিতা প্রেক্ষাপটে ভারত ও রোমানিয়ার বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অবস্থান' শীর্ষকে। তবে আলোচনার উপলক্ষ্যের মঞ্চে অর্জুনের পাখির চোখের লক্ষ্য ছিল অমৃত মন্থন সম 'ভারতীয় বাণিজ্য'। যা অবশ্য খুল্লামখুল্লা স্বীকার করে নিয়েছেন ডানিয়েলা মারিয়ানা সেজোনভ তানে। বৈঠকে উপস্থিত ভারতীয় পুঁজিপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "ভারতের সঙ্গে রোমানিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আন্তরিক ভাবে আমরা স্বচেষ্ট। আপনাদের আমাদের দেশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভু্ক্ত এই দেশে আপনারা বিনিয়োগ করুন স্বচ্ছন্দে। আমরা আপনাদের সবরকমের সহায়তা করতে প্রস্তুত। রোমানিয়াতে অত্যাধুনিক বাণিজ্য সহায়ক পরিকাঠামো রয়েছে। বিভিন্ন খাতে সরকারি শুল্ক হ্রাসের ব্যবস্থাও আছে। আপনারা রোমানিয়াতে আসুন। আপনাদের পুঁজি আমাদের দেশে নিবেশ করুন শিল্প গঠনের জন্য। আপনাদের উৎপাদিত পন্য বিপননের জন্য বিরাট বাজার রয়েছে গোটা রোমানিয়া সহ সমগ্র ইউরোপ জুড়ে। বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে ইউরো নির্বিশেষে সবাই আয় করুন। এছাড়া ভারতের সঙ্গে রোমানিয়ার আমদানি ও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস রাখি।" এই বক্তব্যকে সমর্থন করে ভারতের রোমানিয়া দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক মন্ত্রকের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেই দেশের মন্ত্রী ইয়োনুত ভিজিরু ওই আলোচনাচক্রে মন্তব্য করেন, "ভারতের সঙ্গে রোমানিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ৭৫ বছরের। ২০০৪ সালে নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্জানাইজেনের (ন্যাটো) অন্তর্ভুক্ত হলেও এবং ২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়েও রোমানিয়া ভারতের বন্ধুত্বকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়ে এসেছে বরাবর। রোমানিয়া আজ আবহাওয়া হাব হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত। এখানকার গড় তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাইসাইকেল উৎপাদন করেছে আমাদের দেশ ২০২২ সালে সংখ্যার নিরিখে ২.৬ মিলিয়ন তৈরি করে। ১৯ মিলিয়ন নাগরিকের এই ইউরোপীয় দেশে ২০২০ সালে কোভিডের মন্দায় আমাদের জিডিপির পতন ঘটেছিল ৩.৭%। ঠিক সেখান থেকে আমরা ২০২১ সালেই উল্লেখযোগ্য ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম ৫.৮% জিডিপির উচ্চমাত্রায়। রোমানিয়াতে ৮,৭০,০০০ টি কোম্পানি রয়েছে বর্তমানে যার মধ্যে বৈদেশিক কোম্পানির সংখ্যাই ২,৪৪,০০০ টি। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আওতাভুক্ত দেশগুলোর বাইরে বহির্বিশ্বের সঙ্গে ২০২৩ সালে রপ্তানি ব্যবসা করেছিলাম ১৪,৯৮৪.৫ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের। একই বছরে আমদানি ব্যবসা করেছি ১৮,৬৭৬.৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। সুতরাং রোমানিয়ায় মাটিতেও ভারতীয় পুঁজিবাজার যে অত্যন্ত সুরক্ষিত তা হলফ করেই বলা যায়। ভারতীয়রা আমাদের দেশে বাণিজ্যিক লক্ষ্যে এগিয়ে আসুন। রোমানিয়া আপনাদের স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে।" (www.theoffnews.com - Romania)
সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ: এ যেন মরা গাঙে ভরা জোয়ার। আসলে অবাক হতে হয় একটি চমকে যাওয়া তথ্য দেখে। এটাই যেন একটা মিথ। আমাদের রাজ্য যেন শিল্পের মরুভূমি। তবুও সরকারি নথি বলছে, বাংলায় মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যাটা নাকি ৯০ লক্ষ। আরও অবাক হতে হয়, যখন এহেন ৯০ লক্ষ শিল্পের পরিসংখ্যান জানান দেয়, উত্তরপ্রদেশের পর মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের নিরিখে সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখানেই শেষ নয়। অবাক হওয়ার পালা আরও রয়েছে। কলকাতা চ্যাপ্টারের মিনিস্ট্রি অফ মাইক্রো, স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস (এমএসএমই) এর জয়েন্ট ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার দাস ব্যক্ত করলেন এক বিস্ফোরক শিল্প-আদমসুমারি। তিনি বলেন, "রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুসারে এই ৯০ লক্ষ শিল্পের মধ্যে এমএসএমই'র নথিভুক্তের সংখ্যা মাত্র ১০ লক্ষ। অর্থাৎ বাকি ৮০ লক্ষ রাজ্যের শিল্পের কোনও তথ্য বা হদিশ কেন্দ্রীয় সরকারের এমএসএমই দফতরের কাছে নেই।" এই অদ্ভুতুরে ৮০ লক্ষ বাংলার শিল্পের শিল্পকর্তাদের প্রতি তাঁর আহ্বান, এগিয়ে আসুন আপনারা। সরলীকৃত নিয়ম মেনে আপনারা এমএসএমই'এর নথিভুক্ত হোন। এমএসএমই'এর তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের বহু সহায়ক স্কিমের উপযোগী হন। আমরা আপনাদের সহায়তায় প্রস্তুত।" এই অবাক করার সুলুক সন্ধান পাওয়া গেল একটি মনোজ্ঞ আলোচনা চক্রে। মহানগরের হোটেল হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশানালে। গত ৪ এপ্রিল ২৪ তারিখের এই পরতে পরতে বিস্ময় খচিত আলোচনাচক্রের আয়োজক ছিল কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই। সেখানেই বক্তব্যের মাঝে প্রদীপ কুমার দাস আরও বলেন, "উদ্যোগপতিদের আবেদন করবো, এখনও যারা উদ্যোম রেজিস্ট্রেশন করাননি তাঁরা উদ্যোম রেজিস্ট্রেশন শীঘ্রই করিয়ে নিন। দেখবেন আশাতীত সরকারি সহায়তা ও প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ছাড়ের সুযোগ পাবেন। এর ফলে আপনাদের উৎপাদিত পন্যে জন্য ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে আপনার বিক্রয়মূল্য সুবিধাজনক অবস্থান লাভ করবে অচিরেই। এছাড়া আমাদের কলকাতার দফতরে এক অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি গঠন করা হয়েছে। যেখানে পানীয় জল ও ফলজাত দ্রব্য ছাড়া সমস্ত রকমের পণ্যের মান অত্যন্ত সুচারু রূপে নির্ধারণ করা হয়। আর এখানকার শংসাপত্র দেশে ও বিদেশের যাবতীয় রপ্তানি ও আমদানি ব্যবসায় এক শক্তিশালী মান্যতার ভূমিকা পালন করে।" আয়োজক সংস্থার এমএসএমই কাউন্সিলের সর্বভারতীয় কো-চেয়ারম্যান এম পন্নুস্বামী আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, "এই রাজ্য এরকম অনেক শিল্পোদ্যোগীই আছে যাঁরা তাঁদের মাঝারি বা ক্ষুদ্র শিল্প গঠন করে বা করতে গিয়ে বহুবিধ জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমার অনুরোধ আপনারা যোগাযোগ করুন সিআইআইয়ের এমএসএমই সাবকমিটির পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান রবি টোডির সঙ্গে। আশা করবো আপনাদের সমস্যা দূরীকরণের সঠিক দিশা উনি দেখাবেন।" এই বক্তব্যের সঙ্গে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে রবি টোডি উল্লেখ করেন, "দেশের পূর্বাঞ্চলের মাঝারি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বলবো, শিল্প গঠন বা পরিচালনা করতে গিয়ে আপনারা একাধিক লাল ফিতের ফাঁদে পড়েন হামেশাই। আমাদের কাছে আসুন। সিআইআই আপনাদের সমস্যা নিরসনে পাশে আছে ও থাকবে।" কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ সামাজিক প্রভাব ও অন্তর্নিহিত বিক্রেতা বিকাশ বিভাগের চিফ ম্যানেজার অনুরাগ অগস্তি সিআইআই আয়োজিত এই ফোরামে এসে এক উল্লেখযোগ্য অ্যাপসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। জেম অ্যাপস (GeM)। এর ওয়েবসাইটটি হল https://gem.gov.in/ । জেম কথাটির অর্থ হলো গভর্নমেন্ট ই- মার্কেটপ্লেস (Government e-Marketplace)। তাঁর মন্তব্য, এই অ্যাপস বা ওয়েবসাইটটি হলো বিনিয়োগকারীদের কাছে এক মনিমানিক্যের ভান্ডারের মতো অফুরন্ত খাজানা। দেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত এটা একটা উন্মুক্ত বাজার। যা ই-পরিষেবার সহজতম আধুনিক বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম। সরকারি যাবতীয় উৎপাদনের বিস্তারিত হাল হকিকত এখান থেকে জানা যেতে পারে। এখান থেকে বাণিজ্য বাস্তবায়িত করতে গেলে উৎপাদকের দফতরে দৌড়ানোর প্রয়োজনের দিন শেষ। নূন্যতম নথিতে ও একদম কম মূল্যে এর নবীকরণ সম্ভব। সবচেয়ে উৎসাহিত করার বিষয় হলো এই অ্যাপসের মাধ্যমে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ খুব সহজেই মিলবে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে যদি অর্ডার কপি আপনার সঙ্গে থাকে। এমনকি এর সাহায্যে প্রতিটি রাজ্যের সমস্ত জেলা স্তরে প্রত্যেকটা সরকারি নথিভুক্ত উৎপাদিত পণ্যের পুংখানুপুংখ জানতে পারা যাবে এই অ্যাপস থেকে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এমএসএমই'র ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড ট্রাস্টের সিইও সন্দীপ ভার্মা এবার শোনালেন এবার এক করুণ বিস্ময়কর তথ্য। "যেখানে বিশ্বব্যাঙ্ক ভারতের কাছে অনুরোধ করেছে দেশীয় শিল্প বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে ৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণপ্রদান করতে, সেখানে একই ক্ষেত্রে আমাদের দেশে এযাবৎ ঋণদান করা সম্ভব হয়েছে মাত্র ২৯ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং বাণিজীকরণের খাতে ভারতের ঋণদানের পরিসংখ্যান প্রকৃতই প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট পিছিয়ে।" এমন নিরাশার উদ্বেগ শোনা গেল সন্দীপ ভার্মার কন্ঠে। তিনি অবশ্য বলেন, "এই নেতিবাচক পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা বহু স্থানে বহুবার ক্রেডিট ক্যাম্পের আয়োজন করে চলেছি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের অধীনে। আমি মনে করি ঋণ গ্রহণের জন্য স্বচ্ছতা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এছাড়া ঋণ পরিশোধের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও স্বক্ষমতার মান উর্ত্তীণ হলে শিল্পোদ্যোগীদের ঋণ পেতে অসুবিধা হবার কথা নয়। (www.theoffnews.com - CII)
সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ: কলকাতার হায়াত রিজেন্সি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক মনোজ্ঞ বাণিজ্যিক সভা। বুধবারের এই সভার আয়োজন করে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। আয়োজক বণিকসভার সর্বভারতীয় সভাপতি সঞ্জীব পুরীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সদস্য সদস্যাদের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ। সারা দেশের সঙ্গে বিদেশেও বিশেষতর শিল্পপতি হিসেবে সঞ্জীব পুরীর পরিচয় অবিসংবাদিত। একাধারে তিনি আইটিসি কোম্পানির চেয়ারম্যানও। আলোচনাচক্রে প্রধান বক্তা হিসেবে সঞ্জীব পুরী বলেন, "ভারত বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল আগুয়ান অধ্যায়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোর যৌথ সমন্বয়ে দেশের আভ্যন্তরীণ পুঁজি বিনিয়োগেও বিপ্লব ঘটেছে। আর সিআইআই এহেন অগ্রগতির অনুঘটকের কাজ করে চলেছে নিরন্তর পর্যায়ে। আজকে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক বুনিয়াদের এক অন্যতম মাইলফলক হলো আমাদের বণিকসভা সিআইআই।" বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিআইআইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি আরও মন্তব্য করেন, "দেশের সার্বিক উন্নতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিআইআইও এগিয়ে চলেছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে। এটা একটা ক্রমবর্ধমান নিরলস প্রক্রিয়া। আমরা শুধু পুঁজি নিবেশকে উৎসাহিত করি না। এমনকি বিনিয়োগকারীদের হিত কামনায় স্রেফ নিজেদের নিয়োজিত করি না। দেশের মেধাকেও উপযুক্ত ক্ষেত্রে প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশীয় বাণিজীকরণকেও উন্নততর করার চেষ্টায় মনোনিবেশ করেছি। শ্রমকেও যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিআইআই অঙ্গীকারবদ্ধ।" সঞ্জীব পুরীর বক্তব্যের শেষে শুরু হয় প্রশ্নত্তোর পর্ব। সিআইআইয়ের সদস্য সদস্যাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করাটাই উন্নতির একমাত্র শর্ত হতে পারে না। দক্ষ পরিচালন ব্যবস্থার পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, সুদূরপ্রসারী সদর্থক ব্যবসায়ীক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকের সুষ্ঠু মেলবন্ধনেই একটা বাণিজ্যে সাফল্য তরান্বিত হয়। সিআইআই বর্তমান বণিক দুনিয়ায় পুঁজিনিবেশের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উর্ধ্বমুখী প্রসার ঘটাতেও বেশি মনোনিবেশ করেছে। কারণ সিআইআই বিশ্বাস করে, উন্নত সমাজে অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণের সার্বিক রসায়ণই হলো আধুনিক বাণিজ্যের এক উল্লেখযোগ্য জ্বালানি।" (www.theoffnews.com - CII Sanjiv Puri Hyatt Regency)
সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ: কথায় আছে বুধে পা। সেই বুধেই পা রাখতে হলো মহানগরের দি পার্ক হোটেলে। সেখানে যে আন্তঃদেশীয় বানিজ্যিক পদ্ধতি সরলীকরণ সম্পর্কিত সভার আয়োজন করেছিল ফিকি। সহযোগী উদ্যোগী ছিল দি ওরিয়েন্টাল চেম্বার অফ কমার্স। আলোচনার শিরোনাম ছিল "ওয়ার্কশপ অন এটিএ কার্নেট এন্ড ইউএন টিআইআর সিস্টেম"। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে আসে এটিএ কার্নেট আবার কি? অন্যদিকে ইউএন টিআইআর সিস্টেম বলতেই বা কি বোঝায়? তবে অচিরেই সবকিছুই জলবৎ তরলং হয়ে গেল আলোচনাচক্রে অংশগ্রহণকারী বক্তাদের নাতিদীর্ঘ মতামতে। ফিকির ডিরেক্টর এস বিজয়লক্ষ্মী স্লাইড শো সহযোগে জানান, এটিএ কার্নেট হলো ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি শব্দের মিশ্রিত কথন 'অ্যাডমিশন টেম্পোরেয়ার/টেম্পোরারি অ্যাডমিশন'। ভারতের আভ্যন্তরিন এই এটিএ কার্নেটের ব্যবস্থার যাবতীয় তদারকি কাজ করে থাকে একমাত্র ফিকি। এটাকে মার্চেন্ডাইস পাসপোর্টও বলা হয়। এর ওয়েবসাইট হলো, www.atacarnet.in আর ইমেইল আইডি হলো, atacarnet@ficci.com । এটি এমন একটি আন্তর্জাতিক শুল্ক নথি যার সাহায্যে অস্থায়ী ভাবে বহির্বিশ্বের সঙ্গে রফতানি করা সম্ভব কোনও রকমের কর প্রদান ছাড়াই। যাঁরা বিদেশে বাণিজ্যিক প্রদর্শনী আয়োজন করেন এবং টেলিভিশন হাউস ও সিনেমা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এর সরাসরি উপকার গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি ম্যানুফেকচারেরাও এর ফায়দা তুলতে পারবেন ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রে। জুয়েলারি ও চর্মজাত পন্যও এর পরিষেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত। এটিএ কার্নেটের সহযোগে মূল পুঁজির লগ্নি হ্রাস পাবে। এছাড়া পেপার ওয়ার্কেও অনেক সরলীকরণ ঘটবে স্বল্প সময়ের মধ্যে। এই পরিষেবার মেয়াদ হলো এক বছরের। সারা পৃথিবীর ৭৫টি দেশের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত এটিএ কার্নেট পরিষেবা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আপাতত এই পরিষেবার শুল্ক বন্দর ভারতের মধ্যে স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা, কোচিন, আহমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙালুরু, নয়ডা, জয়পুর ও গোয়ায়। তিনি আরও জানান, এই এটিএ কার্নেটের মাধ্যমে খুব সহজেই বিভিন্ন পেশাদারী যন্ত্রাংশও আমাদের দেশে আমদানি করা সম্ভব ফিকির সহযোগিতায়। ওরিয়েন্টাল চেম্বার অফ কমার্সের কলকাতা চ্যাপ্টারের পূর্বতন সভাপতি সোইব আহমেদ ফইসাল তাঁর বক্তব্যের মধ্যে ইউএন টিআইআর কার্নেট প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কথাপ্রসঙ্গে তিনি ব্যক্ত করেছেন, টিআইআর কার্নেটের পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি হলো 'ট্রান্সপোর্টস ইন্টার্ন্যাশানাক্স রয়টার্স' বা সহজ অর্থে ইন্টার্ন্যাশানাল রোড ট্রান্সপোর্ট। এটি একটি বিশেষ পরিষেবা যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈশ্বিক মাল্টিমডাল সীমান্ত পারাপার জনিত শুল্ক সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এই সিস্টেমের মধ্যে শুল্ক কর সরলীকরণ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আন্তঃদেশীয় সীমান্তের জটিল বিধিগুলোও লঘু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্ক ও কর মন্ত্রকের তরফে ফিকি এই পরিষেবার গ্যারেন্টারের ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি এও জানান, এই পরিষেবার ওয়েবসাইট হলো www.atacarnet.in/tir/tir.html এবং ইমেইল আইডি হলো tircarnet@ficci.com । এর মাধ্যমে আমদানী ও রপ্তানীর ক্ষেত্রে পন্য সরবরাহের ব্যাপক পরিমাণের ঝক্কি লাঘব করা সম্ভব হয়েছে। শুল্ক বিভাগের গুরুগম্ভীর বিধিতেও আমূল সহজীকরণ ঘটেছে। কার্গোর প্রসঙ্গেও আন্তর্জাতিক স্তরে উত্তরাংশ ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের পরিবহণ ব্যবস্থায় এক উল্লেখযোগ্য করিডোর স্থাপন হয়েছে বলে সোইব আহমেদ ফইসাল মন্তব্য করেন। (www.theoffnews.com - FICCI ATA Cornet UN TIR Cornet)
দি ব্যুরো (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ, কলকাতা: রাজধানীর কাকরাইলস্থ হোটেল রাজমনি ঈসা খাঁ ব্যাংকুইট হলে ৯ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফেডারেশন ও টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) এর উদ্যোগে ‘স্বাধীনতা সম্মাননা-২০২৪’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান (এমপি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০ জন গুনী ব্যক্তিকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। শাস্ত্রীয় যন্ত্র সঙ্গীতে আর্ন্তজাতিক ভাবে বিশেষ অবদানের জন্য এবছর বিশেষ সম্মাননা পান ভারতের সন্তুর শিল্পী পন্ডিত দিশারী চক্রবর্তী। এবছর তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাদেমী থেকে নাটকের আবহ, সুর ও সঙ্গীত ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমী-২০২৪ সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে নরওয়ে থেকে আর্ন্তজাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে ইউএনও এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আর্ন্তজাতিক পুরস্কার লাভ করেন মাত্র ১০ বছর বয়সে। ১৯৯১ সালে তিনি ভারতের প্রেসিডেন্ট স্কলারশীপ লাভ করেন। পন্ডিত দিশারী চক্রবর্তী মূলত ধ্রুপদী শততন্ত্রী বীণা (সন্তুর) শিল্পী। পাশাপাশি তিনি সরোদ, তবলা, পাখোয়াজ, সেতার, এসরাজ, গিটার সহ আরও অনেক যন্ত্রে বিশেষ তালিম নিয়েছেন এবং বর্তমানে এসব যন্ত্রে শিক্ষা প্রদান করছেন। তিনি মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে বাবা আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের বাড়িতে অর্থাৎ গুরুগৃহে থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে তালিম নিয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। (www.theoffnews.com - santoor Dishari Chakraborty)
দি ব্যুরো, দ্য অফনিউজ, কলকাতা: সুদীর্ঘ ৩৮ বছরের বর্ণময় সাংষ্কৃতিক কার্যকলাপে শিল্পাঞ্জলি এখন একটি সুপরিচিত নাম। ঐতিহ্যময় পুতুল আঙ্গিকের সঙ্গে আধুনিক পুতুল নাটক প্রদর্শনেও সমান দক্ষ শিল্পাঞ্জলির পুতুল শিল্পীরা। শুধু মাত্র পুতুল শিল্পকলার প্রদর্শনই নয়, এই প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুতুল শিল্পকলার শিক্ষা চর্চা এবং অনুশীলন নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে আসছেন শিল্পাঞ্জলির পুতুল বিভাগের শিক্ষক শঙ্খব্রত বিশ্বাস ও সোমা মজুমদার। এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে সম্প্রতি চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো পুতুল নাট্যকলার কর্মশালা এবং সেমিনার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইলা বাগচী, সভাপতি ,গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতি, প্রাক্তন শিক্ষক কালীপদ সরকার, প্রধান শিক্ষক রুইদাস কবিরাজ সবাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাংবাদিক নীরেশ ভৌমিক, শিক্ষক শ্যামল বিশ্বাস, বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতির সভাপতি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপম দে, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা এবং উক্ত বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ছাত্রী। এদিন অনুষ্ঠিত হলো সেমিনার 'সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিচয় ঘটানোর পদ্ধতি'।বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক অশোক পাল, ইছাপুর হাই স্কুল, বিশিষ্ট সাংবাদিক অলোক বিশ্বাস, প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামল বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা প্রীতিলতা স্কুল শ্রাবনী মুখোপাধ্যায় এবং সেমিনারের সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন সুনীল বিশ্বাস, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশরপাড়া কোদালিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সমগ্র বিষয়টি মলয় কুমার বিশ্বাস ও দীপালি বিশ্বাসের অভিভাবকত্বে সম্পন্ন হয়। পুতুল শিল্পকলার উৎপত্তি, ইতিহাস, বিস্তার ও প্রকারভেদ আলোচনার পাশাপাশি সব ধরনের পুতুল পরিচালনা পদ্ধতি তাদের প্রদর্শন করেন সংস্থার পুতুল বিভাগের শিক্ষিকা সোমা মজুমদার। পুতুল শিল্পকলার বিশেষ এক আঙ্গিক দন্ড পুতুলের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। হাতে-কলমে শিক্ষার্থীদের দন্ড পুতুল তৈরির কলা কৌশল শেখানো হয় এবং তাদের দিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের উপর নির্মিত পুতুল নাটক 'বন্ধুত্ব' প্রযোজনা নির্মান করা হয়েছে। (www.theoffnews.com - puppet show)
google.com, pub-2412686623726664, DIRECT, f08c47fec0942fa0