গুরুত্বপূর্ণ খবর

সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

বর্তমান সময় ফোন ছাড়া যেন কোনও কাজের কথাই ভাবা যায় না। ঘুমানোর সময় ছাড়া বাকি সময়টার বেশির ভাগই কেটে যায় ফোন নিয়ে। আর যা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকা হয় সে জিনিসটা যদি পানিতে পরে অচল হয়ে যায়, তখন অনেক কাজ করা সম্ভব হয় না। তখন অনেকেই তা শুকানোর জন্য এমন পদ্ধতি গ্রহণ করেন, যার ফলে ফোনটি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভেজা ফোনকে বাঁচাতে যা করবেন, জেনে নিন-

১. ভিজে যাওয়া ফোন সুইচ অফ করে দিন। ভেজা অবস্থায় ফোন অন করার চেষ্টা করবেন না। এমন কিছু করার চেষ্টা করলে পানি সার্কিট নষ্ট করে দিতে পারে।

২. ফোন থেকে হেডফোন বা চার্জারের মতো জিনিস বের করে দিন। ফোনের বাইরের অংশ কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। ভ্যাকিউম ক্লিনার থাকলে দূরত্ব বজায় রেখে তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন।

৩. ফোনের ব্যাক কভার খুলে ফেলুন। ব্যাটারি এবং সিমকার্ডও বের করে দিন। ফোনের ভেতরের অংশ কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ব্যাটারির স্টিকার চেক করুন। বেশির ভাগ ফোনের ব্যাটারির নিচে একটি ছোট স্টিকার আটকানো থাকে, যা সাধারণত সাদা রঙের হয়। ফোনের ভেতরে পানি চলে গেলে ওই স্টিকারটির রঙ পাল্টে যায়। তা তখন গোলাপী বা লাল রঙের হয়ে যায়।

৪. ফোনে কখনও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। গরম বাতাসে ফোন নষ্ট হতে পারে। ফোন এসি'র সামনে রাখুন।

৫. শুকনো কাঁচা চালের মধ্যে ফোন ঢুকিয়ে রেখে দিন। এর ফলে ফোনের ভেতরের পানি শুকিয়ে যায়। একটি বাটিতে কাঁচা চাল ভরে তার মধ্যে ফোন ঢুকিয়ে রাখুন। এরপর ফোন সমেত ওই বাটিকে রোদে রেখে দিন। চাল গরম হলে ফোনের ভিতরের পানি শুকিয়ে যাবে। আবার প্রত্যক্ষভাবে সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে না-আসায় ফোনটিও খারাপ হবে না। তবে লক্ষ্য রাখবেন, ফোনের অডিও পার্টের মতো অংশে চালের দানা যাতে না-ঢুকে যায়।

৬. ২৪ ঘণ্টা আগে ফোন অন বা ব্যবহার করবেন না।

সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

মোবাইল ফোন পানিতে পড়লে যা করণীয়

বর্তমান সময় ফোন ছাড়া যেন কোনও কাজের কথাই ভাবা যায় না। ঘুমানোর সময় ছাড়া বাকি সময়টার বেশির ভাগই কেটে যায় ফোন নিয়ে। আর যা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকা হয় সে জিনিসটা যদি পানিতে পরে অচল হয়ে যায়, তখন অনেক কাজ করা সম্ভব হয় না। তখন অনেকেই তা শুকানোর জন্য এমন পদ্ধতি গ্রহণ করেন, যার ফলে ফোনটি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভেজা ফোনকে বাঁচাতে যা করবেন, জেনে নিন-

১. ভিজে যাওয়া ফোন সুইচ অফ করে দিন। ভেজা অবস্থায় ফোন অন করার চেষ্টা করবেন না। এমন কিছু করার চেষ্টা করলে পানি সার্কিট নষ্ট করে দিতে পারে।

২. ফোন থেকে হেডফোন বা চার্জারের মতো জিনিস বের করে দিন। ফোনের বাইরের অংশ কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। ভ্যাকিউম ক্লিনার থাকলে দূরত্ব বজায় রেখে তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন।

৩. ফোনের ব্যাক কভার খুলে ফেলুন। ব্যাটারি এবং সিমকার্ডও বের করে দিন। ফোনের ভেতরের অংশ কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ব্যাটারির স্টিকার চেক করুন। বেশির ভাগ ফোনের ব্যাটারির নিচে একটি ছোট স্টিকার আটকানো থাকে, যা সাধারণত সাদা রঙের হয়। ফোনের ভেতরে পানি চলে গেলে ওই স্টিকারটির রঙ পাল্টে যায়। তা তখন গোলাপী বা লাল রঙের হয়ে যায়।

৪. ফোনে কখনও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। গরম বাতাসে ফোন নষ্ট হতে পারে। ফোন এসি'র সামনে রাখুন।

৫. শুকনো কাঁচা চালের মধ্যে ফোন ঢুকিয়ে রেখে দিন। এর ফলে ফোনের ভেতরের পানি শুকিয়ে যায়। একটি বাটিতে কাঁচা চাল ভরে তার মধ্যে ফোন ঢুকিয়ে রাখুন। এরপর ফোন সমেত ওই বাটিকে রোদে রেখে দিন। চাল গরম হলে ফোনের ভিতরের পানি শুকিয়ে যাবে। আবার প্রত্যক্ষভাবে সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে না-আসায় ফোনটিও খারাপ হবে না। তবে লক্ষ্য রাখবেন, ফোনের অডিও পার্টের মতো অংশে চালের দানা যাতে না-ঢুকে যায়।

৬. ২৪ ঘণ্টা আগে ফোন অন বা ব্যবহার করবেন না।

(www.theoffnews.com - mobile phone water Bangladesh)

সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

খাবার যত মজা করেই রান্না করুন না কেন, লবণ পরিমাণ মতো না হলে সেই খাবার পানসে আর বিস্বাদ লাগে। লবণের প্রয়োজনীয়তা কেবল খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, আমাদের শরীর সুস্থ রাখতেও এর ভূমিকা আছে। তবে যদি বেশি উপকার পাওয়ার আশায় বেশি লবণ খান তখন হিতে বিপরীত হবে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত লবণ তরল ধারণ করতে পারে। এটি হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিতে পারে, কিডনি নষ্ট করতে পারে এবং হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই লবণ খাওয়ার পরিমাণ পরিমিত হতে হবে। নয়তো সামান্য লবণের কারণে আপনাকে ভুগতে হতে পারে মারাত্মক সব অসুখে।

১. রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে

যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা লবণ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন। কারণ অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। সেইসঙ্গে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যার ঝুঁকি। যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই তারাও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

২. কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা সৃষ্টি করে

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে তা হার্ট এবং রক্তনালীগুলোকে চাপ দিতে পারে। এথেরোস্ক্লেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার এই অভ্যাস। তাই এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

৩. কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে

অতিরিক্ত লবণ খেলে তা কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কারণ লবণ বেশি খেলে তা কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিডনি ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়বে পুরো শরীরেই। তাই সময় থাকতে সতর্ক হোন।

৪. তরল ধরে রাখে

লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে, যে কারণে শরীরে ফোলাভাব সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত লবণ খেলে তা হাত, পা এবং গোড়ালিতে প্রচুর ফ্লুইড জমার কারণ হতে পারে। এর ফলে শরীরের এই অংশগুলো ফুলে যায়। এ ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য লবণ খাওয়ার পরিমাণ পরিমিত করতে হবে।

৫. অস্টিয়োপোরোসিস সৃষ্টি করতে পারে

হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিতে পারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল করে দিতে পারে এবং বাড়াতে পারে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি। তাই হাড় ভালো রাখতে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রথমদিকে মুখে ততটা স্বাদ না লাগলেও ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।

(www.theoffnews.com - Bangladesh salt)

পি আর প্ল্যাসিড, প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক, জাপান:

উনিশ' পঁচাত্তার সালের পনেরোই আগষ্ট। আমি তখন খুব ছোট ছিলাম যদিও, তখন ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার কথাই আমার এখনও মনে আছে। সেই সময় বাড়িতে আমাদের একটি রেডিও ছিল। প্রতিদিন রেডিওতে বাবা এবং আশে পাশের অনেকে সংবাদ শুনতেন। বড় বোনেরা শুনতো গানের অনুষ্ঠান দুর্বার। মাঝে মধ্যে বাংলা নাটক শোনার কথাও মনে আছে। 

যেদিনের কথা বলছি, সেদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে রেডিওতে বড় বোনদের কেউ একজন রেডিওতে টিউনিং করছিল গান শোনার জন্য। সময় সঠিক মনে নেই। তবে সকালবেলা রেডিও অন করতেই শুনতে পাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার সংবাদ। সাথে সাথে বোনেরা চেঁচিয়ে বলল, এই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিনের সেই চিৎকার দিয়ে বলা বোনদের দুঃসংবাদটির কথা এখনও আমার কানে বাজে। কোনো ভাবেই আমি সেদিনের অপ্রিয় সেই সত্য কথাটি ভুলতে পারছি না। 

যুদ্ধ চলাকালীন সময় আমরা প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা রেডিওতে দেশের অভ্যন্তরে কোথায় কি ঘটছে তা শুনেছি। সেই থেকে দেশ স্বাধীন হবার পরেও নিয়মিত সংবাদ শুনেছি। বাড়িতে বাবা ছিলেন সংবাদ শোনার পাগল। বোনেরা ছিল দুর্বার অনুষ্ঠান শোনার পাগল। সন্ধ্যার পর দুর্বার শুনে রেডিও বিছানায় নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত  নানা অনুষ্ঠান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তো। সকাল হলে বাবা এসে বোনদের বিছানা থেকে রেডিও চেয়ে নিতেন কিংবা আগে কেউ উঠলে বাবাকে আবার সকালের সংবাদ শোনার জন্য রেডিও নিয়ে দিত। যে কারণে সেদিন বোনেরা সংবাদ পাঠ করার সময়ের আগে রেডিও অন করে অন্য কোনো অনুষ্ঠান শুনতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা কান্ডের সংবাদটি শুনেছিল। 

ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ১৪ই আগস্ট, বাবা বাজার থেকে অনেকগুলো এরোগ্রাম কিনে এনেছিলেন। বড়ভাই তখন থাকেন লন্ডন। ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করে বাড়িতে নতুন বউ রেখে আবার লন্ডন ফিরে যাবার কিছুদিন পরের সেই ঘটনা। বড়ভাইকে প্রায়ই বৌদি, বাবা - মা সবাই নীল খামে (এয়ারমেইল) বা এরোগ্রামে (চিঠি লেখার নীল কাগজ) চিঠি লিখতেন। আগের দিন রাতে একটি এরোগ্রামে বৌদি, বাবা - মা অল্প কথায় চিঠি লিখে আমার জন্য কয়েক লাইন লেখার স্পেস রেখেছিলেন। আমি যেহেতু ছোট ছিলাম হয়তো আদর করার কারণেই সেই এরোগ্রামে চিঠি লেখার সুযোগ দেওয়া। সবাই বলাবলি করছিলেন, আমি লিখলেই এরোগ্রাম বন্ধ করে তা পোস্ট করবেন। 

সকাল বেলা সেই সংবাদ শোনার পর বাড়িতে শুরু হয় এক ধরনের অস্থিরতা। চারিদিকে চলতে থাকবে কানাঘুষা। অদৃশ্য কোনো কারণে সবার মনে তখন ভয় আর আতঙ্ক। ভয়ে কেউ মুখ খুলছিল না। সকালে আমি স্কুলে যাবার আগে বৌদি আমাকে বলছিলেন দাদাকে চিঠি লিখতে। সেদিনই বাবা বাজারে নিয়ে এই এরোগ্রামে লেখা চিঠি পোস্ট করার কথা। আমি বৌদির আদেশ মান্য করতে লিখে ফেললাম কয়েক লাইনের চিঠি। সেই চিঠি পড়ে বাড়িতে শুরু হয়ে গেল অন্যরকম কানাঘুষা। কোথায় আমাকে বাধ্য ছেলের মতো সবাই আদর করবে, তা না করে উল্টো রাগারাগি করতে শুরু করলেন আমার সাথে বাবা এবং অন্যরা। যতদূর মনে পড়ে, সেদিন সেই চিঠি আর লন্ডনে বসবাসরত বড়ভাইয়ের উদ্দেশ্যে পোস্ট করলেন না বাবা। তাদের সবার ভিতর নাকি প্রচন্ড এক ভয় কাজ করেছে। সবাই বলছিলেন সেই চিঠি পোস্ট করলে বাড়িতে পুলিশ এসে সবাইকে নাকি ধরে নিয়ে যাবে। বারবার বাবা বলছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে ঢাকায় জিপিওতে চিঠি খুলে পড়া হবে। এই চিঠি পড়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা দেখতে পেলে সবারই বিপদ হতে পারে এমন অজানা ভয়ে ভীত ছিলেন পরিবারের বড়রা।

চিঠিতে আমি লিখেছিলাম, 'দাদা তোমার প্রাণপ্রিয় নেতা শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে।' 

এটাই নাকি ছিল তখন আমার অপরাধ। এই লাইনটি লেখার কারণে সেদিন এরোগ্রামে লেখা সেই চিঠি আর পোস্ট করা হয়নি। বলা হয়েছিল আমার জন্য এত। টাকার একটা এরোগ্রাম নষ্ট করা হয়েছে। শাস্তি স্বরূপ আমাকে আর কখনও এরোগ্রামে চিঠি লিখতে দেওয়া হবে না। আমার সেইদিনের এই কষ্টের কথা পরবর্তীতে কাউকেই আর বলা সম্ভব হয়নি। আস্তে আস্তে যতই বড় হলাম কষ্ট যেন মনে জমাট বাধতে থাকলো। স্কুল জীবন শেষ এস এস সি দিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকা এসে কলেজে ভর্তি হলাম। বড়ভাই এর মধ্যে দেশে ফিরলেন। দেশে এসে ব্যবসা করার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়ালেন। যে কারণে দেশের নানা শ্রেণীর লোকদের সাথে তার যোগাযোগ, সম্পর্ক। বলা যায়, বড়ভাইয়ের দৌলতে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখক, সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ এবং এমপি - মন্ত্রীদের খুব কাছ থেকে দেখার এবং কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তাদের প্রায় সকলেরই আনাগোনা ছিল বড়ভাইয়ের বাসায়।  

আমার যতটা মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড নিয়ে আমি প্রথম তর্ক করি দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি প্রয়াত গিয়াস কামাল চৌধূরীর সাথে। এরপর ওনার পরামর্শে বিষয়টি সম্পর্কে আরও বেশি জানার জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনীদের সাথে নানা ভাবে নানা সময় দেখা করে কথা বলেছি। কথা বলেছি তাঁর বিরোধী আদর্শের রাজনীতিবিদদের সাথেও। 

আমি আওয়ামী রাজনীতি করি না। তার মানে এই নয় যে বি এন পি কিংবা অন্য কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত। কলেজ জীবন থেকে লেখক - সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ছিলাম বদ্ধপরিকর। যে কারণে নানা সময় চলে যেতাম দেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের কাছে। সেই সময় অর্থাৎ দেশে থাকা কালীন সময় আমার থেকে বয়সে বড়দের সাথে বিশেষ করে যারা স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন কিংবা দেশের রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের কারো সাথে দেখা হলেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করে নানা প্রশ্ন বানে ভাসিয়ে দিতাম তাদের। বেশির ভাগ সময় আমাকে থামিয়ে দেওয়া হতো। তারা বলতেন, বেশি করে পড়াশোনা করতে। নিজেই একসময় সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে পারবো। এমনকি বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন সময় একবার বঙ্গভবনে যাবার সুযোগ হয়েছিল। তখন রাষ্টপ্রতির হাত ধরে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, হল ঘরে বিভিন্ন জনের ছবি থাকলেও বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই কেন। তার উত্তর ছিল একই। তুমি অনেক ছোট, বড় হও, পড়াশোনা করো একদিন তুমি নিজেই জানতে পারবে সব ঘটনা।

সেদিন আমাকে এমন প্রশ্ন করতে শুনে উনার সাথে থাকা কয়েকজন লোক (সিকিউরিটি) আমার দিকে তাকিয়ে চোখ বড় করে শাসাচ্ছিলেন। ভাগ্যভালো সেই যাত্রা আমি রক্ষা পাই। কারণ বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক প্রয়াত সমর দাস উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তাঁর নজরে বিষয়টি আসলে তিনি এগিয়ে এসে আমাকে সেভ করেন। 

১৯৯১ সাল থেকে আমি জাপান প্রবাসী। জাপানে আসার পরও চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু এখানে কিংবা ওখানে (দেশে) কোথাও আমি আমার ইচ্ছের বিষয়টি উপস্থাপনের সুযোগ পাইনি। যেখানেই গিয়েছি সর্বত্রই দেখেছি প্রকৃত আওয়ামী লীগারের অভাব। তেলবাজদের জয়জয়কার। যারা প্রকৃত কাজ করার লোকদের কাজে সুযোগ করে দেওয়া তো দূরের কথা উল্টো যেন বাধাগ্রস্থ করে। তাই এখন পর্যন্ত কাজটি করতে আমি ব্যর্থ। যেকারণে আমি সরে গিয়েছি আমার ইচ্ছে পূরণের স্বপ্ন থেকে। তবে আমার খুব ইচ্ছে, আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সুযোগ পেলে বড় কোনো লেখা লিখবো। যেখানে থাকবে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার শোকাবহ স্মৃতির কথা। যেখানে লেখা হবে আমার সেই চিঠি লিখে পোস্ট না করার দুঃখের কথা।

(www.theoffnews.com - Japan Bangladesh Mujibar Rahaman Bangabandhu)

সুবীর পাল, সম্পাদক, দ্য অফনিউজ

স্বাধীনতা তুমি,রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।

স্বাধীনতা আমার, রবিকবির অজেয় জনগণমন, ভারতের অন্তরাত্মার অন্তত সুর।

স্বাধীনতা তুমি, পতাকা শোভিত স্লোগান মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।

স্বাধীনতা আমার, গণতান্ত্রিক মধুময় তামরসে মোদী মমতার এগিয়ে চলার প্রত্যয়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতন্ডা। 

স্বাধীনতা তুমি, ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।

স্বাধীনতা আমার, বোকারো ইস্পাত কারখানার অবিরাম চিমনি ধোঁয়ায় শ্রমিকের হাতে গ্রিস কালি লাগা।

স্বাধীনতা তুমি, রোদেলা দুপুরে মধ্য পুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।

স্বাধীনতা আমার, ২৯ রাজ্য, ৭টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল, ১৬১৮ টা ভাষা, ৬৪০০ জাতি, ৬ টি ধর্ম, ৬ ধরণের মানব গোষ্ঠী, ২৯ টি সার্বজনীন উৎসব, অথচ একটি মাত্র দেশ, মেরা ভারত মহান।

স্বাধীনতা তুমি, মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।

স্বাধীনতা আমার, ডিজিটাল ভারতে এক স্বপ্ন দেখা মেক ইন ইন্ডিয়ার চলমান বিশ্ব-বাস্তবতা।

স্বাধীনতা তুমি, বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শানিত কথার ঝলসানি লাগা সতেজ ভাষণ।

স্বাধীনতা আমার, ব্যক্তি আক্রমন পাশ কাটিয়ে এখনও আপোষহীন সংবাদ পরিবেশনে খিদের পেটে জনা কয়েক সাংবাদিকের লেখা অর্জুণের পাখির চোখ।

স্বাধীনতা তুমি, চা খানায় আর মাঠে ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ।

স্বাধীনতা আমার, শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপিত চন্দ্রযান৩ পৃথিবীর কক্ষরেখা ছেড়ে চাঁদের মায়াপথে স্বপ্নের জাহিরি অহংকার।

স্বাধীনতা তুমি, কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা। 

স্বাধীনতা আমার, দেশীয় শিল্প প্রেমে মকবুল ফিদার সরস্বতী আর রামকিঙ্কর বেজের রবীন্দ্রনাথ সাধনায় একাত্মতার সিম্ফনি।

স্বাধীনতা তুমি, উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।

স্বাধীনতা আমার, পিছিয়ে পড়া উপজাতির পুত্রহারা এক দ্রৌপদীর রাষ্ট্রনায়ক উত্থানের প্রেরণার উপাখ্যান।

স্বাধীনতা তুমি, বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদী রঙ।

স্বাধীনতা আমার, অদিতি স্বামীর মুঠোয় তীরধনুক ছিলার নিশানায় বিশ্বজয়ের সোনার মেডেলে চুমু খাওয়া।

স্বাধীনতা তুমি, বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে এক রাঙা পোস্টার।

স্বাধীনতা আমার, শাসক বিরোধীর তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে ঝলসে যাওয়া মনিপুরের জাতি দাঙ্গায় সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের হস্তক্ষেপ।

স্বাধীনতা তুমি, গৃহিণীর ঘন খোলা কালো চুল, হাওয়ায় হাওয়ায় বুনো উদ্দাম।

স্বাধীনতা আমার, সীতা বেহুলার স্বামী পরায়ন দেশে কল্পনা চাওলার একরাশ হাসি মুখে মহাকাশে চিরতরে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া।

স্বাধীনতা তুমি, খোকার গায়ে রঙিন কোর্তা খুকির অমন তুলতুলে গালে রৌদ্রের খেলা।

স্বাধীনতা আমার, রনবীর সিংয়ের নগ্ন ফটোশুটে যুবকের ঠেকে তুফানি স্ক্যান্ডেলের তীব্র ছয়লাপ আর উরফি জাভেদের উন্মুক্ত পোষাকে যুবতীর দলে লেটেস্ট ট্রেন্ডির হুল্লোরে চর্চা।

তামাম দুনিয়ার শান্তির দূত মেরা ভারত মহান এখন যে চাঁদের মাটি স্পর্শ প্রজ্ঞানের তিরতির অপেক্ষারত। অপেক্ষায় মনিপুরের ভিটেতে নিশ্চয়ই মহান ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উপাসনায়। হতেই পারে উর্দ্ধ গগণে বাজে মাদল নিম্নে উতলা ধরণীতল। তবু তবুও হে ভারতের স্বাধীনতা, স্বাধীনতা তুমি, স্বাধীনতা আমার। স্বাধীনতা যে তুমিই গো, স্বাধীনতা যে আমারই গো। আমাদের মুক্তির আজ যে একটাই মন্ত্র- একই আজাদি কা হামারা হাজার মহবৎ, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। যার একটাই তন্ত্র- প্রজাতান্ত্রিক ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র। জয় হিন্দ। বন্দে মাতরম।

(www.theoffnews.com - Indian independence)

সুকন্যা পাল, ম্যানেজিং এডিটর, দ্য অফনিউজ, কলকাতা:

সুদীর্ঘ ৩৭বছরের বর্ণময় সাংষ্কৃতিক কার্যকলাপে  শিল্পাঞ্জলি এখন একটি সুপরিচিত নাম। ২০০৫ সাল থেকে পুতুল শিল্পকলা চর্চার সঙ্গে শিল্পাঞ্জলি নিজেকে যুক্ত করেছে এবং বর্তমানে এটি সম্ভবত উঃ ২৪ পরগণার এক মাত্র পুতুল শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত একটি সংগঠন, যাদের পুতুলের প্রদর্শন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন মহানগরে বহু প্রশংসিত।

ঐতিহ্যময় পুতুল আঙ্গিকের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক পুতুল নাটক প্রদর্শনে ও সমান দক্ষ শিল্পাঞ্জলির পুতুল শিল্পীরা। শুধু মাত্র পুতুল শিল্পকলার প্রদর্শনই নয়, এই প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুতুল শিল্পকলার শিক্ষা চর্চা এবং অনুশীলন নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে আসছেন শিল্পাঞ্জলির পুতুল বিভাগের শিক্ষক শঙ্খব্রত বিশ্বাস ও সোমা মজুমদার। পুঁথি গত পাঠকে পুতুল শিল্পকলার মাধ্যমে আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করার লক্ষ্যে তাদের এই অসামান্য প্রয়াস প্রশংসনীয়।

শুধু তাই নয় প্রাচীন এই লোক সংস্কৃতির ধারাকে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে শিল্পাঞ্জলি প্রাঙ্গনে শুরু হয়েছে নিয়মিত পুতুল শিল্পকলার প্রশিক্ষণ । 

এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে নাট্য একাডেমীর আর্থিক সহায়তায় গত ৪ ও ৫ আগস্ট  চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুতুল নাট্যকলার কর্মশালা এবং সেমিনার।

পুতুল শিল্পকলার বিশেষ এক আঙ্গিক ছায়া পুতুলের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাতে-কলমে শিক্ষার্থীদের ছায়া পুতুল তৈরীর কলা কৌশল শেখানো হয়েছে এবং তাদের দিয়ে 'নদীর গান' প্রযোজনা নির্মিত হয়েছে। একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী দন্ড পুতুল পরিচালনার কলাকৌশলে তাদেরকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে এবং দন্ড পুতুলের উপর নির্মিত পুতুল নাটক 'মাস্টারমশাই' অভিনীত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুতুল পরিচালনা এবং একই সঙ্গে সংলাপ ও পরিবেশন করেছে।

৪ আগষ্ট দুপুরে ছিল সেমিনার 'প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় পুতুল নাট্যকলার ব্যবহার'। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, প্রধান  শিক্ষক, গোবরডাঙ্গা খাটুরা উচ্চ বিদ্যালয়, রত্না রায়, প্রধান শিক্ষিকা, ঢাকুরিয়া বালিকা বিদ্যালয়, শিক্ষক অভীক ভট্টাচার্য, সম্পাদক ভাবনা থিয়েটার এবং সেমিনারের সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন সুনীল বিশ্বাস, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। বক্তাদের সুদীর্ঘ ভাষনে পুতুল নাট্য কলার মতো বহুমাত্রিক শিল্পমাধ্যমকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্গত করার সপক্ষে সকলে মত প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ষিয়ান সাংবাদিক সরোজ চক্রবর্তী, সাংবাদিক নীরেশ ভৌমিক, শিক্ষক শ্যামল বিশ্বাস, চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপক ঘোষ, বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতির সভাপতি তরুণ মন্ডল এবং বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষিকাবৃন্দ। সমগ্র বিষয়টি পরিচালনায় ছিলেন দিপালী বিশ্বাস।

(www.theoffnews.com - puppet dance seminar)

সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

প্রতিনিয়ত কাজের চাপ, সম্পর্কের টানাপোড়েন বা শারীরিক অসুস্থতা, নানা কারণেই আমাদের বাড়তে পারে মানসিক চাপ। তবে দীর্ঘ সময় মানসিক চাপে থাকলে তা যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমন শারীরিক স্বাস্থ্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন মানসিক চাপে ভুগতে থাকলে তা ত্বক ও চুলের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। 

ত্বকের লাবণ্য কমে যাওয়া, ত্বকে বয়সের ছাপ দ্রুত পড়ে যাওয়া, চুল পড়া এই সবই হতে পারে মানসিক চাপ থেকে। অবসাদ, মন খারাপ, ক্লান্তি থেকে হতে পারে গা-হাত-পায়ে ব্যাথা, মাইগ্রেনের সমস্যা এবং ত্বক ও চুলের সমস্যা।

নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ত্বক ও যৌনরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার তাসনীম খানের কাছ থেকে চলুন জেনে নিই মানসিক চাপের প্রভাবে আমাদের ত্বক এবং চুলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে –

ত্বকের ওপর মানসিক চাপের প্রভাব

১. অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে শরীর ট্রেস হরমোন নিসঃরণ করে। যার ফলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ত্বকে তেল উৎপাদন বেড়ে যায়। যারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগছেন তাদের হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে ব্রন হতে পারে৷

২. স্ট্রেসের কারণে শরীরে কোলাজেন হরমোনের (যে হরমোন ত্বক টানটান রাখতে সহায়তা করে) ব্রেক ডাউন হয়। ফলে ত্বক কুঁচকে যাওয়া বা বলিরেখা পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোন বেড়ে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে ত্বকে চুলকানিসহ অন্যান্য চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।

৪. মানসিক চাপের ফলে বেশিরভাগ মানুষের ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। রাতে ভালো ঘুম না হলে চোখের নিচে কালি পড়ে এবং ত্বকের স্বাভাবিক লাবণ্য কমে যায়।

৫. অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে ত্বক মলিন ও নিষ্প্রাণ হয়ে যেতে পারে। যার কারণে বয়সের আগেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়৷

৬. মানসিক চাপের কারণে অনেকেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়েন। পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

চুলের ওপর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব

● দীর্ঘকাল প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগতে থাকলে ২-৩ মাস পর থেকে খেয়াল করবেন, আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ছে, চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত স্ট্রেস চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এটা শারীরিক বা মানসিক যেকোনো ধরনের স্ট্রেসের কারণেই হতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থায়, কোনো পরীক্ষার আগে সেটা নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন থাকলে, পারিবারিক কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকলেও প্রচুর চুল পড়তে পারে।  

● মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকলে বেশিরভাগ সময় মানুষ নিজের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। নিজের বা নিজের শরীরের যত্ন নিতে ভুলে যান। হয়তো চুলের যত্ন নেন না ঠিকমতো অনেকদিন ধরে। ফলে চুল পড়তে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷

আরও

ওসিডি বা শুচিবাই রোগের চিকিৎসা কি

● এ ছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে শরীরে অতিমাত্রায় হরমোন নিসঃরিত হয়। ফলে অল্প বয়সে চুল পেকে যায়।

কিভাবে কমাবেন মানসিক চাপ?

বহুদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগতে থাকার ফলে ত্বক ও চুলের যে ক্ষতি হয়, তার একমাত্র সমাধান মানসিক চাপমুক্ত থাকা। নিজের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া। কারণ মন ও শরীর একে অপরের পরিপূরক। তাই শরীরকে ঠিক রাখতে হলে অবশ্যই আপনার মনের যত্ন নিতে হবে।

চাপমুক্ত থাকার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

মানসিক চাপ যদি নিজে কোনোভাবেই কমাতে না পারেন তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

(www.theoffnews.com - Bangladesh mental tensions skin hair)

কৃষ্ণা গুহ রায়, লেখিকা ও সমাজকর্মী, কলকাতা:

জোড়াসাঁকো রবীন্দ্র ভারতীর প্রদর্শন শালার  প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ  এবং চিত্রশিল্পী সমর ভৌমিক  তার একমাত্র কন্যাটিকে যখন চৌদ্দ বছর বয়সে হারালেন তখন ছবি আঁকায় আরও মনসংযোগ বাড়িয়েছিলেন৷ আমাকে যেদিন তিনি প্রথম দেখেন   কন্যা হারা পিতার বুকে জেগে উঠেছিল অপার পিতৃস্নেহ৷ ১৯৫৫ সালে তদানীন্তন সোভিয়েত রাশিয়ায় ভারত সরকারের যুব শিল্পী হিসাবে  নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে যখন তিনি মস্কো গিয়ে চিত্র কর্মশালায় যোগ দেন তখন তিনি লক্ষ্য করেছিলেন  অধিকাংশ যুবক-যুবতী শিল্পীর মধ্যে একটাই মূল কথা ব্যক্ত হয়েছে তা হল বিশ্বজনীনতা এবং বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব। যা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। পরবর্তীকালে ভারত সরকারের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সূত্র ধরে তিনি যখন বিশ্ব ভ্রমণ করেছিলেন, বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত শিল্পী ও লেখকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় উনি লক্ষ্য করেছিলেন বিরোধিতা দিয়ে সমস্ত কাজ ভণ্ডুল করার চেষ্টা এইসব জায়গায় নেই। বরং চিন্তা ও কর্মের মিলনের চেষ্টা সকলের মধ্যে একান্ত ভাবে রয়েছে৷ এর ফলে ঐক্যমতে  পৌঁছবার একটা সর্বাত্মক চেষ্টা  লক্ষ্য করা যায়৷ উল্লেখ্য রবীন্দ্রনাথও মতান্তরে বিশ্বাস করতেন মনান্তরে নয়৷

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য শ্রদ্ধাভাজন মানুষটির মুখেই শুনেছিলাম হাঙ্গেরির কথা৷ হাঙ্গেরি দেশটি মূলত  গ্রিক ও রোমান সভ্যতা এবং ভারতীয় সংস্কৃতির মিলনস্থল ৷ হুন এবং ম্যাকগ্রেরিয়ানদের আদি বাসস্থান। অতি প্রাচীনকাল থেকে এদের সভ্যতা  এবং সংস্কৃতি প্রাচীন চিন্তার মিশ্রণে চলছে৷ দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে মোটা তাঁরে বাঁধানো সরু পথে অজস্র ফুলের গাছ। সেগুলো অনাদি অনন্তকাল ধরে রূপ ও সৌগন্ধ বিতরণ করে চলেছে।

এই হাঙ্গেরিতে বালাতান ফ্যুরাদের বৃক্ষ ছায়ায় রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ অবস্থায় থেকেও তাঁর "লেখন" সমাপন করেছিলেন৷ যেদিন এই বইয়ের কাজ শেষ হলো, সেদিনই তিনি সুস্থ হয়ে লেকের পাড়ে অনেকটা ঘুরে বেড়িয়েছিলেন৷ আর একটি পপলার গাছের চারা পুঁতেছিলেন ৷ 

সেই বৃক্ষের চারা ডালপালা ছাড়িয়ে এখন অনেকটাই বড়৷ রামকিঙ্করের গড়া রবীন্দ্রনাথের মূর্তি সেই গাছের তলায় স্থাপিত যা দ্রষ্টব্যও বটে৷ 

ঐতরেয় ব্রাহ্মণে আছে, "আত্মসংস্কৃতি বার্ব শিল্পানী", অর্থাৎ শিল্পই আত্ম সংস্কৃতিকে বিকশিত করে। একথা অনস্বীকার্য যে কোনও শিল্পের প্রতি রবীন্দ্রনাথের অগাধ পাণ্ডিত্য তার আত্মার সংস্কৃতিকে বিকশিত করেছিল৷ 

একজন রাজার কথা শুনেছিলাম শৈশবে৷ তিনি আসতেন একা একা বৈশাখে৷ গানে, কবিতায়, নৃত্যে, নাটকে ফুলের সভায়৷ শুনেছি বিশাল তাঁর চকমিলান বাড়ি৷ তাঁর মনোজগতে ছিল না পরিখা কোনও, ছি লনা প্রহরা৷ 

সে খোলা জানালার ধারে বসে কখনও অমল হয়ে নিত্য পথচারীদের আনাগোনা প্রত্যক্ষ করতো, কখনও তারাপদ হয়ে আতিথেয়তার আরাম বর্জন করে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছিল প্রকৃতির উন্মুক্ত ঠিকানায়৷ আবার কখনও বা সেই রাজাই বীরপুরুষ হয়ে উন্মুক্ত তরবারী হাতে ভয়ঙ্কর দস্যুদের হাত থেকে মাকে রক্ষা করতে দৃঢ়সঙ্কল্প৷ 

শিলাইদহের প্রজারা বুঝেছিল সেই রাজার স্নেহচ্ছায়া৷ দেশ, কালের গন্ডী ছাড়িয়ে তিনি যে তখন সবার হৃদয়ের রাজা৷ বিশ্বজয়ের মুকুট মাথায় পরেও নিরহঙ্কারী রাজাই যে একমাত্র বলতে পারেন, "এ মনিহার আমায় নাহি সাজে" 

ভানুসিংহের হাতে খড়ি, মাটি, শ্রীরাধার ছবি ঝুরঝুর। পাখোয়াজে জমজমাট গানের আসর ভেঙ্গে, শূন্য ভিটে, রিক্ত তালগাছের মাথায় ভাঙা জীবনের গান, কাক ডেকে যায়, হু হু বাতাসের শব্দে শুনি বাস্তুসাপের গাজন৷ মেহের আলীর মতন চিৎকার করে উঠি — "সব ঝুট হ্যায়" ৷ 

(www.theoffnews.com - Rabindranath Tagore)

সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

অনেকেই আছে যারা রোদ-বৃষ্টি হোক আর না হোক অল্পতেই ঘেমে যান। ঘেমে প্রায় ভিজে যাওয়ার মতো হয়। ঘাম হওয়া স্বাভাবিক হলেও অতিরিক্ত ঘাম মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। আর স্বাভাবিক ভাবেই ঘাম অস্বস্তি বোধ করেন সবাই। অল্পতেই ঘেমে যাওয়া এবং ঘাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানো ভয়ংকর কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো—এ প্রশ্ন অনেকের। ঘামের অসহনীয় দুর্গন্ধ নানা রোগের সংকেত বহন করে থাকে। 

শারীরিক অসুস্থতার কারণেই অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। দুর্গন্ধ মূলত কিছু রোগের পূর্ব লক্ষণ। যেমন ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, লিভার ও কিডনিজনিত সমস্যা। অতিরিক্ত ঘাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানো মূলত এক ধরনের অসুখ। এর নাম ক্রোম-হাইড্রোসিস। এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। 

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন: শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা ফাংগাল ইনফেকশন থাকতে পারে। Cornyebacterium’, ‘Staphylococcus Hominis’, ‘Cutivacterium Avidum’, ‘Acinebacter Schindleri’, ‘Staphylococcus Epidermidis’ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকতে পারে। এ জন্য অতিরিক্ত ঘামলে এবং ঘাম থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সতর্ক হতে হবে।

শরীরে উৎপন্ন যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ সমূহ শরীর থেকে মূলত লিভার ও কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। লিভার ও কিডনি কোনো কারণে রোগে আক্রান্ত থাকলে এসব বর্জ্য পদার্থগুলো বের হতে বাধাগ্রস্ত হয়। তখন তা শরীরের ভেতরেই জমতে থাকে। এ কারণে ঘামলে দুর্গন্ধ হয়। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের দুর্গন্ধ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ তাদের সংক্রমণের তীব্রতাও বেশি থাকে।

এছাড়াও কিছু বিষয় রয়েছে। স্পেশালাইজড কিছু স্ক্রিন কনডিশনের কারণেও ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। বাহুমূল যাদের অন্যদের তুলনায় অতিরিক্ত কালো, তাদের এই সমস্যা হয়ে থাকে। অনেকের পায়ের নিচের চামড়ায় ছোট ছোট ছিদ্র দেখা যায়। এ কারণে অতিরিক্ত ঘাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আবার কিছু বিরল রোগ রয়েছে, যার উৎপত্তি শৈশবে হয়। যেমন Trimethylaminuria’-তেও এমনটা হয়ে থাকে।

এদিকে অতিরিক্ত ঘামের কারণে অনেকের সাদা রঙের জামার রঙের পরিবর্তন হয়। সাদা পোশাক কখনো হলুদ বা বাদামি কিংবা কালো হয়ে যায়। এটা মূলত ঘাম সংক্রান্ত কারণেই হয়। এর নাম ক্রোম-হাইড্রোসিস। শরীরে এক ধরনের ক্ষরণ তৈরি হয়। যাকে ‘Lipofuscin Granules’ বলা হয়। আর এই রোগের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন।

(www.theoffnews.com - sweat)


সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

দৈনন্দিন জীবনের ধারাবাহিক অনিয়ম কানুন মেনে চলার ওপর মানুষের সুস্থতা অনেকটা নির্ভর করে। শরীরের প্রতি অযত্ন থেকেই জন্ম নেয় রোগবালাই। তাই সুস্থ থাকতে কয়েকটি নিয়মে জীবনকে বাঁধা জরুরি। ব্যস্ততম জীবনে সব নিয়ম সব সময় মানা সম্ভব হয় না। তবে একেবারে সাধারণ কিছু অভ্যাসে নিজেকে অভ্যস্ত না করালে বিপদ হতে পারে। যে অভ্যাসগুলো মারাত্মক কিছু রোগ ডেকে আনতে পারে?

১. পানি কম খাওয়া

কাজের চাপে পানি খাওয়ার কথা মনেই থাকে না অনেকেরই। কিছুক্ষণ অন্তর পানি খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে পানি খাচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম। সুস্থ থাকতে পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। পানির অভাবে কঠিন রোগ হওয়ারও ঝুঁকি থেকে যায়। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

২. কম ঘুমানো

নিজেকে সুস্থ রাখার আরও একটি ধাপ হলো বেশি করে ঘুমানো। দৌড়ঝাঁপের জীবনে ঘুমই সবচেয়ে কম হয়। কাজের চাপ তো আছেই, সেই সঙ্গে মানসিক অস্থিরতাও ঘুম কম হওয়ার কারণ। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের ঘাটতি অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখা, সবই সম্ভব যদি ঘুম ঠিকঠাক হয়।

৩. রাত করে খাবার খাওয়া

সুস্থ থাকতে চিকিৎসকেরা রাত আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে বলেন। এতে হজমও ভালো হয়। গ্যাস-অম্বলের কোনো ভয় থাকে না। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে পারলে তার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু সবার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। অনেকেরই বাড়ি ফিরতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। রাতের খাবার খেতেও আরও বিলম্ব হয়। রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে তাই ভেতরে ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে শরীর।

৪. শরীরচর্চা না করা

নিয়মিত ব্যায়াম, যোগাসনের উপকারিতা বহু। সারা দিনে অন্তত যদি ১০ মিনিট শরীরচর্চা করেন, তা হলেও সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেরই শরীরচর্চার সঙ্গে একেবারে কোনো সম্পর্ক নেই। জিমে যাওয়া তো দূরের বিষয়, হাঁটাচলাও করেন না অনেকে। শরীরচর্চা না করার ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই।

৫. বাইরের খাবার খাওয়া

আট থেকে আশি, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমবেশি সবারই আছে। প্রতিনিয়ত এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে জমা হচ্ছে ফ্যাট। বাড়ছে ওজন। স্থূলতার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো নানা রোগ।

(www.theoffnews.com - Bangladesh habits health)

সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

সবজি শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রায় অনেক বাড়িতেই দেখা যায়। এদিকে যেকোন রান্নায় স্বাদ আনতে আদা দারুণ কার্যকর। তা ছাড়া এর মধ্যে ভেষজ গুণও প্রচুর রয়েছে।

আদা টাটকা রাখতে তাই এই টিপসগুলো জেনে নিন-

১. ফ্রিজে রাখুন

আদা দীর্ঘদিন সতেজ রাখতে খোসাসহ আস্ত আদা ফ্রিজে রেখে দিন। কোনো হাওয়া বন্ধ বয়ামে বা প্লাস্টিকের জিপ লক ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এতে আদা অনেক দিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে।

২. আদা বাটা 

বেটে রাখলেই অনেক দিন ভালো থাকে আদা। এর খোসা ছাড়িয়ে প্রথমে বেটে নিন। অল্প পরিমাণ পানি বা তেল দিয়ে বাটতে পারেন। এরপর একটি পরিষ্কার, বায়ুরোধক বয়ামে আদার পেস্ট ভরে ফ্রিজে রাখুন।

৩. পাতিলেবুর রস দিন

আদার খোসা প্রথমে ছাড়িয়ে বায়ুরোধক বয়ামে রাখুন। এবার ওপর থেকে ভিনেগার বা লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। এবার ঢাকনা বন্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিলে বেশ অনেক দিন আদা ফ্রেশ থাকবে।

৪. ডিপ ফ্রিজে রাখুন

ডিপ ফ্রিজেও রাখা যায় আদা। প্রথমে এর খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবারে একটা পার্চমেন্ট পেপার পেতে তাতে আদা ছড়িয়ে দিন। এই ট্রে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। আদা জমে গেলে বন্ধ কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।

(www.theoffnews.com - ginger fresh)

মোনালিসা মুখোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, হুগলি:

পেরিয়ে এসেছি অনেকগুলো দিন৷ রইলাম অনেক ঘটনার সাক্ষী৷ কিছু সুখের কিছু দুঃখের কিছু অভিমানের পথ বেয়ে আজ মনের কোণে ঝড় আপনাকে নিয়ে মাননীয়া। 

চুলের মুঠি ধরে শাড়ি ছিঁড়ে বীরাঙ্গনা আপনাকে কেউ বা কারা রাস্তায় বার করে দিয়েছিল (কোথা থেকে সবার জানা)। মাথা ফাটিয়ে আধমরা করে দিয়েছিল। চেয়েছিল আপনার গতি চিরকালের জন্য স্তব্ধ করে দিতে। যদিও পারেনি। কিন্তু দু বেলা আজও তারা অশ্রাব্য ভাষা বলে আপনার নামে। আপনার ভালো চায় না। তবুও তারা আজ আপনার উদ্ধারকার্যে লাগছে। ভাবা যায় না ভাবতে ভালো লাগছে না। আপনার একটা কথায় প্রাণ দিতে রাজি ছিল কিছু তরতাজা প্রাণ কত কত নারী পুরুষ ছেলে বুড়ো - কিন্তু তাদের আপনি চেনেননি যদিও সেভাবে। চেনার তাগিদও অনুভব করেননি বাস্তবে। তাদের মত অনেকেই আজ হতবাক। তারা ভরসা হারিয়ে সরে গেছে দূরে অনেকদিন। তবে ভালোবেসেছে আপনায় গোপনে। অবশ্য এটা আশা করেনি যে দেশের শত্রুরা আজ আপনার আপন হবে। সেই খুনী আত্মাগুলো আপনার হাত শক্ত করতে কাজে লাগবে। প্রশ্ন আপনি চাইলে একাই তো পারতেন তবে কেন?

যাদের আবার কথায় কথায় বিপ্লব আর ফিদেল কাস্ত্রো বা চে গুয়েভারা। তাদের সব রোয়াব আজ খোয়াব হয়ে গেছে। বিকিয়ে গেছে লোভে। এত গলাবাজি বিপ্লব, এত  নিন্দে, দুবেলা চোর চোর করে চেল্লানো তথাকথিত শিক্ষিত কমুরা আজ তারই হাত ধরে চরিত্র বদল করছেন বাঁচতে। 

চটির ঘায়ে উজাড় হয়ে আবার চটির নিচে এলেন তো অস্তিত্ব সংকটে পড়ে? বাকি চুনোপুঁটিসহ এলেবেলেদের সাথে একঘাটে জল খাচ্ছেন প্রবল ভয়ে। কিসের ভয়? আপনারা তো কোথাও নেই। চিরকাল অন্য দেশের দালালী করলেন। ভারতের প্রতি ভালোবাসা কই? তো এখন ভালো লাগছে কমরেট? রেট বড়ই কম আপনাদের। মিছিল টিছিল আর করবেন না লজ্জা থাকলে। মুখ লোকান। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে কোন লজ্জায় মিটিং করবেন?

নিজের স্বার্থে শত্রুর পা চাটেন এর নাম বিপ্লব বুঝি? কোথায় আপনাদের আবার মানসম্মান। দেশপ্রেমীর মুখোশ পরছেন স্বার্থসিদ্ধির জন্য। ছিঃ। ওই মার খাওয়া ছবিটা ইন্সপিরেশন ছিল, রেখে দিয়েছিলাম লড়াকু মানসিকতার একজন ভেবে এতদিন।একদিন হাত ভরে সবুজ আবীর উড়িয়ে বেড়াতাম আপনি জিতলেই। আজ সে ছবি কুচিয়ে ফেলে দিলাম ভীষণ যন্ত্রণায় অভিমানে।

ভয় তাহলে আপনাকেও এইভাবে নিচে নামালো। হা হা। ভুল বা অন্যায় না করলে ভয় পাবেন কেন? আপনার চারপাশ বেইমানে ভর্তি মানছি কিন্তু আপনি লাগাম ধরলেন না কেন?

তবে মানছেন যে সিংহাসন টলছে ওই একজনের জন্য। মনে হয় একা লড়তে আর জীবনে আপনাকে দেখব না। আপনি ফুরিয়ে গেছেন। সে তেজের সেই আগুণে কেউ জল ঢেলে দিয়েছে। আপনি একা লড়লে ভালো লাগত। সত্যি বলছি ভালো লাগত।চৌত্রিশ বছরের ওই আগাছা শেকড় আপনি একাই তো উপড়ে ছিলেন। হারিয়ে গেলেন। ফিরে আসুন সেই চেনা মেজাজে একাই সব বদলে দেবার অঙ্গীকার নিয়ে। আমাদের স্বপ্ন ছিল অনেক। সেগুলো পূর্ণতা পাক।

(www.theoffnews.com - ekushe)

কাজী নূর, কবি, সাহিত্যিক ও ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:

আজ ১৬ জুলাই। বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক এবং দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাংবাদিকতা জগতের 'চলমান কম্পিউটার' খ্যাত শামছুর রহমান হত্যার ২৩তম বার্ষিকী। ২০০০ সালের এই দিন রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া বুলেটের আঘাতে নিজ কর্মস্থল 'দৈনিক জনকণ্ঠ'র যশোর অফিসে রিপোর্ট লেখার মুহুর্তে খুন হন সাংবাদিক শামছুর রহমান। নিহত হবার পূর্ব পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত 'দৈনিক জনকণ্ঠ' পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। চোরাচালান, মাদক, হন্ডি, ঘুষ, দুর্নীতি এবং চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার সাহসী কলম যোদ্ধা শামছুর রহমান তার ক্ষুরধার লেখনীর কারনেই খুন হন। সমাজবিরোধীদের সাথে আপোষ না করে সততা নিষ্ঠার চরম খেসারত হিসেবে প্রাণ দিতে হয় শামছুর রহমানকে। নিহত শামছুর রহমান নিকটজনদের কাছে ডাক নাম 'কেবল’ নামে অধিক পরিচিত ছিলেন।

যশোরের কৃতি সন্তান সাংবাদিক শামছুর রহমান মফঃস্বলের জেলা শহর যশোরে থেকেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন লিখে সাংবাদিকতায় ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন। শামছুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৫ মে যশোর জেলার শার্শা থানার শালকোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সোহরাব উদ্দিন এবং মাতা খাইরুন্নেছা বেগম। শামছুর রহমান ১৯৭২ সালে এসএসসি ও ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পাস করেন। সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) যশোর থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৭৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পাস করেন শামছুর রহমান। ছাত্র জীবনেই সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

শামছুর রহমান ১৯৮০ সালে 'দৈনিক ঠিকানা'র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতায় আসেন। পরবর্তীতে 'দৈনিক বাংলা, সাপ্তাহিক বিচিত্রা, কলকাতা থেকে প্রকাশিত 'দৈনিক গণশক্তি' পত্রিকায় কাজ করেন। তার বিভিন্ন উপ- সম্পাদকীয় ও রাজনৈতিক বিষয়ক লেখা দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। শামছুর রহমান ১৯৯৭ সালের ১ লা জুলাই 'দৈনিক জনকন্ঠ' পত্রিকায় দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধি (সিনিয়র রিপোর্টার) হন। পরে ১৯৯৯ সালের ১ নবেম্বর বিশেষ প্রতিনিধি হন। ভারতীয় রাজনীতির ওপর অগাধ পাণ্ডিত্য এবং দখলের কারণে ভারতের জাতীয় নির্বাচনের রিপোর্ট কাভারে তিনিই ছিলেন 'জনকণ্ঠ' কর্তৃপক্ষের একমাত্র পছন্দ।

সাংবাদিক শামছুর রহমান ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি তার ডায়েরির পাতায় লিখেছিলেন__“সব অর্জনে আনন্দ আছে। দু’হাজার সালকে স্পর্শ করতে পারা আমার কাছে অর্জন। মৃত্যু যেখানে বার বার দরজায় উঁকি দিচ্ছে, সন্ত্রাসীদের উদ্যত সঙ্গীন যেখানে তাক করা, সেখানে বিংশ শতাব্দীকে অতিক্রম করা কি আমার জন্য পরম পাওয়া ?... এ প্রশ্নের জবাব আমার জানা নেই। কিন্তু আমার অনুভূতিতে কি শতাব্দীকে আলিঙ্গন করা, নতুন সূর্যোদয়কে প্রত্যক্ষ করা-এসবই যেন নিত্য দিনের ঘটনা। মহাকালের কাছে আমার অস্তিত্ব ধুলিকণার চেয়েও ক্ষুদ্র। যতক্ষন বেঁচে আছি, ততক্ষণই আমার অস্তিত্ব। হয়তো এই স্বার্থকতা আর স্বপ্ন মিলে মিশেই আগামী কালের জন্য অপেক্ষা।

এদিকে শহীদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল হত্যার ২৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ যশোরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ দিন প্রেসক্লাব যশোর, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর এবং যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র‍্যালী, শহীদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হবে। প্রেস ক্লাব যশোর এর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।

(www.theoffnews.com - Shamchhur Rahaman Bangladesh)