সীমন্তী দাস, লেখিকা, দুর্গাপুর:

দুর্গাপুর শহরের নিজস্ব সৌন্দর্য তার গাছগাছালি।বসন্তের রঙ ফেব্রুয়ারি শুরু থেকেই লাগে শহরের গায়ে।

বিশ্বায়নের হাওয়ায় এই শহরের বস্ত্রহরণ শুরু হয় নব্বই এর গোড়ার থেকে।

বন জঙ্গল কেটে নতুন কলোনি, সপিং মল,তারা যুক্তহোটেল,আকাশ ছোঁয়া বিল্ডিং।আধুনিক দুর্গাপুর যেন রঙ মেখে সঙ সাজার প্রতিযোগিতায় নাম লেখায়।

এখানের সেই একাত্ম মানবতায় যেন ভাটা পরে।সেই দল বেঁধে রঙ খেলা,সুরে বেসুরে আনন্দের গানের প্রভাতফেরি হঠাৎই হারিয়ে যায়,দমবন্ধ মাদকের নেশা ও বাইকের দলবদ্ধ উশৃঙ্খলতায়।দোলের নামে নারী শরীর চেখে দেখার এই কুৎসিত অপরাধ এই শহরের ঐতিহ্যকে  গ্রাস করলো যে খবর," 'রঙের উৎসবে শালীনতাহানীর' 'জেড়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা' "।

বিশিষ্ট মানুষেরা তাদের শিল্প সংস্কৃতি আঁকড়ে দোলের সময় যেতে থাকলেন শান্তিনিকেতনে।আর তা না হলে একদমই মুষ্টিমেয় বন্ধুবৃত্তে, যেখানে প্রাণের দোলে মিলিত প্রাণের সংখ্যা হাতে গোনা।
আলোচনা হচ্ছিল, বা হয়েছিল বড় বড় তত্ত্ব কথার অবক্ষয়, অবমূল্যায়ন ইত‍্যাদি শব্দ ও শিল্পাঞ্চল।

কিন্তু সত্যিই কি সেই কষ্ট উপলব্ধি করেছিলেন কেউ ?
কেউ কি ভেবেছিলেন সেই শিশুদের কথা,যারা আজ যুবক, যুবতী ।
সেই তারা,যারা তাদের দেশ গাঁ চেনেনা, যাদের জন্ম স্থান দুর্গাপুর হাসপাতাল,ছেলেবেলার বেড়ে ওঠা টাউনসিপের স্টিটে।স্কুল বলতে কারখানার প্রাইমারি স্কুল,সেকেন্ডারি স্কুল।তাদের দেশের বাড়ি আছে বটে কিন্তু সেই টান?সেই টানতো এই শিল্পাঞ্চলে।

তাই বিশ্বের যে প্রান্তেই তারা থাক কেউ যদি ডাকে,ছুট্টে যাবো,এক পা তুলেই আছি।
আর তার ডাক যদি আসে রঙে ?
ও, আবার তোকে ভিজিয়ে দেবোই পলাশ রঙে।
সেই তুই,ছিপছিপে শ‍্যামলা গড়ন,এখন নিশ্চয় মুটিয়েছিস?
তুই বা আর কোথায় রে  কেষ্ট ঠাকুর?মাথায় যে তোর টাক।

জানি জানি সেই ডাক কেউ ডাকছে,
আসছিগো............আসছি।(ক্রমশঃ)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours