দেবাত্রেয়ী গুহ, লেখিকা, বারাসাত, কলকাতা:

দলে দলে মানুষ ছুটে চলেছেন সরু রাস্তা দিয়ে। মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোস্কামনা পূর্ণ করার জন্য ভিড় করেছেন অগুনতি মানুষ। 

এই পুজোয় দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য উপাচার হিসাবে ভক্তেরা শরীরে জড়িয়ে নেন জ্যান্ত সাপ। এক বা একাধিক সাপ নিয়ে উল্লাস করতে করতে ভক্তেরা জড়ো হন মন্দিরে। 

বিহারের সমস্তিপুরের সিংহিয়া ঘাটে শত শত মানুষ জড়ো হোন নাগ পঞ্চমী মেলায় যোগ দিতে।

এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সাপ। ভক্তদের হাতে একটা করে জ্যান্ত সাপ থাকে, প্রাচীন প্রথা মেনেই পালিত হয় এই মেলা।

প্রায় প্রত্যেকের হাতে একটা করে সাপ। প্রতিটি সাপই জ্যান্ত। দেখলে হাড় হিম হতে পারে। কিন্তু এটাই প্রথা। এভাবেই প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে এই মেলা।

মাতাবিষহারীর নামে জয়ধ্বনি দিতে নাগপঞ্চমীতে ভক্তরা পুজো দেন সাপকেই। পুজো শেষে অধিকাংশ সাপকে স্থানীয় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই মেলায় শুধু সমস্তিপুর নয়, বিহারের মিথিলা এলাকার বিভিন্ন জেলা, খাগড়িয়া, সহরসা, বেগুসরাই, মুজফ্ফরপুর থেকেও বহু ভক্ত আসেন। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ঐতিহ্য প্রায় শতাধিক বছরের পুরনো, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে একইভাবে।

মহিলাদের মধ্যেও রয়েছে একান্ত পূজা-পদ্ধতির রেওয়াজ। তাঁরা গহ্বর বা নির্দিষ্ট পবিত্র স্থানে নাগদেবতার আরাধনায় বসেন। সন্তান প্রাপ্তি, পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করেন। মনস্কামনা পূর্ণ হলে পরবর্তী নাগপঞ্চমীতে ‘ঝাঁপ’ ও প্রসাদ অর্পণ করে কৃতজ্ঞতা জানান।

স্থানীয়দের দাবি, মেলায় এখনও পর্যন্ত কোনও সাপের ছোবলের ঘটনা ঘটেনি।

(www.theoffnews.com snake fair)

 
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours