দি এডিটোরিয়াল ব্যুরো, দ্য অফনিউজ:
ভ্রাইবেটর ভৌগলিক চৌহদ্দির হিসেব রাখে না। পাশ্চাত্য থেকে এখন প্রাচ্যে ঢুকে পড়েছে। তবে এব্যাপারে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বলতে পারেন, স্বমেহনের পর ভালো করে এ্যান্টি বায়োটিক লোশন দিয়ে ভাইব্রেটরকে ধুয়ে ফেলুন! যাতে কোন রোগ না ছড়ায়!
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে ভাইব্রেটর এখন পৌঁছে যাচ্ছে মেট্রোপলিটন সিটিতেও!
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আঠারো বছর বয়েসী তরুণী সুজান (আসল নাম নয়) তার প্রথম ভাইব্রেটরটি কিনেছিলেন অনলাইন থেকে।
'জিনিসটা বড় দারুণ দেখতে, সাদা রঙ, কালো বোতাম। এটা দেখতে পুরুষাঙ্গের মতো।
তার বয়েস তখন ষোল হয়ে গেছে, ১৫ বছর বয়েসে তার যৌবন চলে আসে। কয়েকজন ছেলেবন্ধুর সাথে যৌন সম্পর্ক হয় তার। কিন্তু কখনো চরম যৌনতৃপ্তি বা অরগ্যাজম হয় নি তার।
সেক্স তার ভালো লাগতো, উত্তেজনা হত। কিন্তু অরগ্যাজম কখনো হয় নি, বলে সুজান।
বন্ধুরা এই সব নিয়ে এমন সব গল্প করতো যেন প্রতিবারই সেক্সে তাদের চরমতৃপ্তি হচ্ছে।
সুজান বলছেন, তিনি কখনো যৌন মিলনে চরম তৃপ্তি পান নি
শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যাপারটা খুলে বলেন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠদের কাছে।
"সেই বন্ধুটিই তাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তোমার কখনো এটা হয় নি কারণ তুমি কখনো স্বমেহন করো নি।"
এক দিন সকালে তিনি হাতের নাগালে পেলেন ভাইব্রেটর। তার গাইড লাইন দেখে ব্যবহার করে সে এক অদ্ভুত চমৎকার অভিজ্ঞতা হলো তার।
'শেষ পর্যন্ত আমার অরগ্যাজম হয়েছে, ... এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা" - বলেন সুজান।
অনেকে বলেন, যৌন খেলনা বেশি ব্যবহার করলে যৌনাঙ্গের অনুভুতি নাকি কমে যায়। যদিও, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোন প্রমাণ নেই।
সুজান বলেন, "যেহেতু এখন আমার নিয়মিত অর্গ্যাজম হচ্ছে তাই আমার দুশ্চিন্তা অনেক কমে গেছে।
তবে আগেকার যুগে ভাইব্রেটর ছিল একটা গোপন ব্যাপার। এখন তো এসব খুল্লাম খুল্লা।
'র্যাবিট' নামে একটি ভাইব্রেটর চালু হয়েছে অনেক আগেই।
নারীদের যৌনতৃপ্তি নিয়ে কথা বলা একসময় ছিল এক 'নিষিদ্ধ' ব্যাপার
যৌন খেলনা নিয়ে বিনোদন পুরুষের জন্য "হ্যাঁ" হলেও, নারীর জন্য "না" শুধু নয়, নিন্দনীয়ও বটে!
এক সময় 'সেক্স এ্যান্ড দি সিটি' নামে যে মার্কিন টিভি সিরিয়াল সারা দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়। তাতে ১৯৯৮ সালে একটি পর্ব উৎসর্গ করা হয় এই র্যাবিটের উদ্দেশ্যেই।
তার পর থেকেই এই 'র্যাবিট' যৌন খেলনা নিয়ে সোরগোল পড়ে যায়।
এখন নানা রকম ভাইব্রেটর ইতিমধ্যে বাজারে এসে গেছে। সুজান বলেন, 'সোনা' নামে তাদের নতুন ভাইব্রেটরে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে কম্পন সৃষ্টি করা হয়। এই ভাইব্রেটর সাইজে ছোট। ব্যাটারী চালিত এই ভ্রাইবেটর ভ্যাজাইনার ভেতরে কম্পন শুরু করে। ভগাঙ্কুরেও ঘর্ষণে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এসব ভাইব্রেটর কম দাম নয়।
সবচেয়ে দামি যে ভাইব্রেটরের কথা জানা যায় তা হীরে-বসানো, তার দাম আকাশছোঁয়া।
সুজান বলেন, "আমি আমার বিছানায় ভাইব্রেটরটা রাখি। আমার পুরুষাঙ্গ আকৃতির ভাইব্রেটর আছে। খুব ফ্লেক্সিবল। প্রথমে লুব্রিকেন্ট ওয়েল দিয়ে ভ্যাজাইনার মধ্যে দিই। ভাইব্রেটরেও লেপন করি। তার পর সোজাসুজি একটু আড় করে ভাইব্রেটর ঢুকিয়ে নিই। প্রতিদিনই ওটা ব্যবহার করতাম। আমার মনে হয়েছিল, যৌন অনুভূতির দিক থেকে এটা ছিল একটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এছাড়াও, আরেক ধরনের ভাইব্রেটর আছে যা পুরুষাঙ্গের মত নয়। মুণ্ডিটা গোলাকার। ভ্যাজাইনার ভিতরে এটি ঘুরতে থাকে। ভগাঙ্কুরে খুব ভালো ঘষাও যায়। এত আরাম হয়, যা কোন পুরুষাঙ্গ দিতে পারে না।
তবে একটা ভয় পেয়ে বসেছে আমাকে। ওই ভাইব্রেটরটি ছাড়া আমি বিছানায় শুতে পারি না। আমার সঙ্গী ক্লান্ত হওয়ার পর ওই আমাকে চরম তৃপ্তি দিতে সক্ষম। ভেবে দেখলে, সত্যি বলতে কি সেভাবে পুরুষাঙ্গ আমাকে অরগ্যাজম দিতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীরা একাধিক উপায়ে যৌনতৃপ্তি লাভ করতে পারেন। সুজান বলেন, " আমার মনে হচ্ছে যেন আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। কিন্তু তার পর বিয়ের ব্যাপারে এগোতে পারছি না।" বলেন সুজান।
এব্যাপারে এক গাইনীকোলজিস্টস বলেন, কোন নারী যদি মাত্র একটি যৌন খেলনা, বা একটি মাত্র শারীরিক পজিশনে অরগ্যাজম লাভ করতে পারেন, এতে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
একজন সেক্স টয় পরীক্ষক বলেন, তিনি এ ক্ষেত্রে তার ফ্যান্টাসি বা যৌন-কল্পনাকে ব্যবহার করেন। আগে তিনি দিনে পাঁচ-ছ'বার স্বমেহন করতেন । কিন্তু এখন তিনি দিনে একবার - ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ধরে স্বমেহন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন আনন্দদায়ক যৌন জীবন লাভের জন্য অনেক উপায়ই আছে। সুজান তার এখনকার সঙ্গীর সাথে তিনি আছেন পাঁচ বছর ধরে। কিন্তু ভাইব্রেটর তার যৌন জীবনে তিনি সব থেকে বেশি সুখী। ওটা আমরা যৌনমিলনের আগে ব্যবহার করি।"
২০১৬ সালে 'ডেড ভ্যাজাইনা সিনড্রোম' নামে একটা রোগের কথা বলা হচ্ছিল।
তাতে বলা হয়, মহিলারা যৌনজীবন অতিমাত্রায় ভাইব্রেটর ব্যবহার করলে তাদের ভ্যাজাইনাতে এরকম অনুভূতিহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও, ভাইব্রেটর ব্যবহার করলে এরকম কোন সমস্যার প্রমাণ মেলে নি।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ব্যবহারের পর এ্যান্টি বায়োটিক লোশন দিয়ে ভাইব্রেটর ধুয়ে ফেলুন।
ভ্রাইবেটর ভৌগলিক চৌহদ্দির হিসেব রাখে না। পাশ্চাত্য থেকে এখন প্রাচ্যে ঢুকে পড়েছে। তবে এব্যাপারে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বলতে পারেন, স্বমেহনের পর ভালো করে এ্যান্টি বায়োটিক লোশন দিয়ে ভাইব্রেটরকে ধুয়ে ফেলুন! যাতে কোন রোগ না ছড়ায়!
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে ভাইব্রেটর এখন পৌঁছে যাচ্ছে মেট্রোপলিটন সিটিতেও!
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আঠারো বছর বয়েসী তরুণী সুজান (আসল নাম নয়) তার প্রথম ভাইব্রেটরটি কিনেছিলেন অনলাইন থেকে।
'জিনিসটা বড় দারুণ দেখতে, সাদা রঙ, কালো বোতাম। এটা দেখতে পুরুষাঙ্গের মতো।
তার বয়েস তখন ষোল হয়ে গেছে, ১৫ বছর বয়েসে তার যৌবন চলে আসে। কয়েকজন ছেলেবন্ধুর সাথে যৌন সম্পর্ক হয় তার। কিন্তু কখনো চরম যৌনতৃপ্তি বা অরগ্যাজম হয় নি তার।
সেক্স তার ভালো লাগতো, উত্তেজনা হত। কিন্তু অরগ্যাজম কখনো হয় নি, বলে সুজান।
বন্ধুরা এই সব নিয়ে এমন সব গল্প করতো যেন প্রতিবারই সেক্সে তাদের চরমতৃপ্তি হচ্ছে।
সুজান বলছেন, তিনি কখনো যৌন মিলনে চরম তৃপ্তি পান নি
শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যাপারটা খুলে বলেন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠদের কাছে।
"সেই বন্ধুটিই তাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তোমার কখনো এটা হয় নি কারণ তুমি কখনো স্বমেহন করো নি।"
এক দিন সকালে তিনি হাতের নাগালে পেলেন ভাইব্রেটর। তার গাইড লাইন দেখে ব্যবহার করে সে এক অদ্ভুত চমৎকার অভিজ্ঞতা হলো তার।
'শেষ পর্যন্ত আমার অরগ্যাজম হয়েছে, ... এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা" - বলেন সুজান।
অনেকে বলেন, যৌন খেলনা বেশি ব্যবহার করলে যৌনাঙ্গের অনুভুতি নাকি কমে যায়। যদিও, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোন প্রমাণ নেই।
সুজান বলেন, "যেহেতু এখন আমার নিয়মিত অর্গ্যাজম হচ্ছে তাই আমার দুশ্চিন্তা অনেক কমে গেছে।
তবে আগেকার যুগে ভাইব্রেটর ছিল একটা গোপন ব্যাপার। এখন তো এসব খুল্লাম খুল্লা।
'র্যাবিট' নামে একটি ভাইব্রেটর চালু হয়েছে অনেক আগেই।
নারীদের যৌনতৃপ্তি নিয়ে কথা বলা একসময় ছিল এক 'নিষিদ্ধ' ব্যাপার
যৌন খেলনা নিয়ে বিনোদন পুরুষের জন্য "হ্যাঁ" হলেও, নারীর জন্য "না" শুধু নয়, নিন্দনীয়ও বটে!
এক সময় 'সেক্স এ্যান্ড দি সিটি' নামে যে মার্কিন টিভি সিরিয়াল সারা দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়। তাতে ১৯৯৮ সালে একটি পর্ব উৎসর্গ করা হয় এই র্যাবিটের উদ্দেশ্যেই।
তার পর থেকেই এই 'র্যাবিট' যৌন খেলনা নিয়ে সোরগোল পড়ে যায়।
এখন নানা রকম ভাইব্রেটর ইতিমধ্যে বাজারে এসে গেছে। সুজান বলেন, 'সোনা' নামে তাদের নতুন ভাইব্রেটরে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে কম্পন সৃষ্টি করা হয়। এই ভাইব্রেটর সাইজে ছোট। ব্যাটারী চালিত এই ভ্রাইবেটর ভ্যাজাইনার ভেতরে কম্পন শুরু করে। ভগাঙ্কুরেও ঘর্ষণে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এসব ভাইব্রেটর কম দাম নয়।
সবচেয়ে দামি যে ভাইব্রেটরের কথা জানা যায় তা হীরে-বসানো, তার দাম আকাশছোঁয়া।
সুজান বলেন, "আমি আমার বিছানায় ভাইব্রেটরটা রাখি। আমার পুরুষাঙ্গ আকৃতির ভাইব্রেটর আছে। খুব ফ্লেক্সিবল। প্রথমে লুব্রিকেন্ট ওয়েল দিয়ে ভ্যাজাইনার মধ্যে দিই। ভাইব্রেটরেও লেপন করি। তার পর সোজাসুজি একটু আড় করে ভাইব্রেটর ঢুকিয়ে নিই। প্রতিদিনই ওটা ব্যবহার করতাম। আমার মনে হয়েছিল, যৌন অনুভূতির দিক থেকে এটা ছিল একটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এছাড়াও, আরেক ধরনের ভাইব্রেটর আছে যা পুরুষাঙ্গের মত নয়। মুণ্ডিটা গোলাকার। ভ্যাজাইনার ভিতরে এটি ঘুরতে থাকে। ভগাঙ্কুরে খুব ভালো ঘষাও যায়। এত আরাম হয়, যা কোন পুরুষাঙ্গ দিতে পারে না।
তবে একটা ভয় পেয়ে বসেছে আমাকে। ওই ভাইব্রেটরটি ছাড়া আমি বিছানায় শুতে পারি না। আমার সঙ্গী ক্লান্ত হওয়ার পর ওই আমাকে চরম তৃপ্তি দিতে সক্ষম। ভেবে দেখলে, সত্যি বলতে কি সেভাবে পুরুষাঙ্গ আমাকে অরগ্যাজম দিতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীরা একাধিক উপায়ে যৌনতৃপ্তি লাভ করতে পারেন। সুজান বলেন, " আমার মনে হচ্ছে যেন আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। কিন্তু তার পর বিয়ের ব্যাপারে এগোতে পারছি না।" বলেন সুজান।
এব্যাপারে এক গাইনীকোলজিস্টস বলেন, কোন নারী যদি মাত্র একটি যৌন খেলনা, বা একটি মাত্র শারীরিক পজিশনে অরগ্যাজম লাভ করতে পারেন, এতে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
একজন সেক্স টয় পরীক্ষক বলেন, তিনি এ ক্ষেত্রে তার ফ্যান্টাসি বা যৌন-কল্পনাকে ব্যবহার করেন। আগে তিনি দিনে পাঁচ-ছ'বার স্বমেহন করতেন । কিন্তু এখন তিনি দিনে একবার - ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ধরে স্বমেহন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন আনন্দদায়ক যৌন জীবন লাভের জন্য অনেক উপায়ই আছে। সুজান তার এখনকার সঙ্গীর সাথে তিনি আছেন পাঁচ বছর ধরে। কিন্তু ভাইব্রেটর তার যৌন জীবনে তিনি সব থেকে বেশি সুখী। ওটা আমরা যৌনমিলনের আগে ব্যবহার করি।"
২০১৬ সালে 'ডেড ভ্যাজাইনা সিনড্রোম' নামে একটা রোগের কথা বলা হচ্ছিল।
তাতে বলা হয়, মহিলারা যৌনজীবন অতিমাত্রায় ভাইব্রেটর ব্যবহার করলে তাদের ভ্যাজাইনাতে এরকম অনুভূতিহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও, ভাইব্রেটর ব্যবহার করলে এরকম কোন সমস্যার প্রমাণ মেলে নি।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ব্যবহারের পর এ্যান্টি বায়োটিক লোশন দিয়ে ভাইব্রেটর ধুয়ে ফেলুন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours