দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:
শুক্রবার বোলপুর রেলওয়ে ময়দানে বোলপুর বিধানসভার অন্তর্গত এলাকা থেকে সর্বমোট ২৫ টি রথ কমিটিকে সম্মান প্রদান করা হলো শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের (এসএসডিএ) পক্ষ থেকে। রথ কমিটির হাতে একটি স্মারক, একটি মানপত্র ও ১০,০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, রথের দিনই দুর্গা প্রতিমার কাঠামোয় মাটি পড়ে। তাই একটা গুরুত্ব আছে। তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন পূজা পার্বণে বিশেষ করে রথযাত্রায় সঙ দেখেছেন। মূলত এই সঙের আকর্ষণে তারা রথের পেছনে ছুটতেন। কিছুটা আর্থিক অসংগতির কারণে সঙের মতো লোকশিল্প আজ গ্রামবাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এসব কারণেই এবার রথযাত্রা কমিটিকে সম্মাননা প্রদানের কথা এসএসডিএ ভাবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রজন্ম এই সঙ কি তা জানে না। সঙে যেমন বিচিত্র সাজ থাকে, তেমনি তার গানও বিচিত্র ভাবে লেখা হতো। যা শুনে ও দেখে আট থেকে আশি সবাই হেসে মজা পেতেন। যেমন, "লেট মি গো গিরিধারী। আই ভিজিট টু বংশীধারী। আমি এসেছি ব্রজ হতে। আমি ব্রজনারী। কিম্বা, সাপ্লাই অফিস দেখুন, মশাই। এখানে যতসব যুধিষ্ঠিরের নাতি। ভক্তি ভরে শিন্নি দিলে, এরা ছুঁচে গলায় হাতি।"
অনেকের ধারণা এই সম্মাননা প্রদর্শনের ফলে রথযাত্রায় আবার সঙ ফিরে আসবে। মন্ডল বাড়ি রথ কমিটির কর্ণধার জীবন মন্ডল সম্মাননা পেয়ে জানান, রথ তার নিয়মেই চলে। আমরা উপলক্ষ্য মাত্র। আর্থিক সাহায্য এখানে বড় কথা নয়। বড় কথা হলো সম্মাননা প্রদান। আজ ৪০ বছর ধরে জগন্নাথের রথ চলছে। এতদিন বাদে এই সম্মাননা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই এসএসডিএকে। এদিন মন্ত্রী চন্দনাথ সিনহা আরও বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী বরাবর বলে থাকেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলায় দুর্গাপূজায় যেমন সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একত্র হয়, তেমনি ঈদেও সকলে একসঙ্গে উৎসব পালন করে। এখানে কোন ভেদাভেদ নেই। বিজেপি ধর্মের নোংরা রাজনীতি করতে গিয়ে তারা ধর্মের ব্যবসা ফেঁদেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই মেকি ধর্মের বিরুদ্ধে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস উন্নয়নকে মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিয়েছি।
(www.theoffnews.com Bolpur Rath)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours