দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:

অপু দুর্গার বায়োস্কোপ দেখার দৃশ্য সবার মনে এনে দেয় এক পুরনো দিনের নস্টালজিক অনুভূতি। সেই হারিয়ে যাওয়া শৈশব। তার ছোঁয়া বা স্পর্শ পাবেন শান্তিনিকেতন। কলা ভবনের গেটের সামনে দেখতে পাবেন বায়োস্কোপ। এই যন্ত্রের গবাক্ষে চোখ রাখলে দেখতে পাবেন বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী ভবন, রামকিঙ্কর বেইজ, কে জি সুব্রামানিয়াম, সুরেন্দ্রনাথ কর প্রভৃতি বিশ্ববরেণ্য শিল্পীদের অনবদ্য সৃষ্টি। বিশ্বভারতীর নতুন নিয়মে পর্যটকদের ক্যাম্পাসে এখন প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই পর্যটকদের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে এক অনবদ্য সাহচর্য এই বায়োস্কপের। কলা ভবনের ভাস্কর্য বিভাগের ছাত্র রোহিত সেন প্রায় একমাস ধরে নিজের চেষ্টায় তৈরি করেছেন এই বাইস্কোপ। বিশ্বভারতীতে পর্যটকদের মনের সাধের খোরাক জোটাতে বিপুল সম্ভার নিয়ে হাজির তার এই বায়োস্কোপ। রোহিত সেন বলেন, পর্যটকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে না তাই তাদের সুবিধার জন্য এই বায়োস্কোপ বানিয়েছি এখানে চোখ রাখলেই কলা ভবন সহ পুরো ক্যাম্পাসটা দেখা যাবে। 

২০২৩ সালে ইউনেস্কোর কাছ থেকে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পায়। সেই অনন্য তকমা বা ট্যাগকে ধরে রাখতে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধের এক নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেদিক থেকে এই বায়োস্কোপ পর্যটকদের কাছে পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার আনন্দ। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারলেও বাইরে থেকে খুব সুন্দরভাবে বাইস্কোপের গবাক্ষে চোখ রেখে দেখা যাবে ভিতরের পুরোটাই। পর্যটকরা জানিয়েছেন, খুব সুন্দর এই বায়োস্কোপ। আমরা তো আগে দেখিনি, মা ঠাকুমার কাছে শুনেছি এই বায়োস্কোপের কথা। এখন চাক্ষুষ করে খুব ভালো লাগলো। আরেক পর্যটক বলেন, আমরা ছোটদের বায়োস্কোপের কথা বলেছি। তারা আজ চাক্ষুষ করতে পারলো। আমরা পড়েছি ১৫ দশকের অরুণোদয়ের জলের বায়োস্কোপ বই বা হালে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বায়োস্কোপের সেই বিকেল বেলার গান। একটা নস্টালজিয়া ফিলিং বলতে পারেন। এই বায়োস্কোপও তো ধরে রেখেছে অনেক পুরনো স্মৃতি।

(www.theoffnews.com Bioscope Shantiniketan)



Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours