দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:

"তোমার ঘরে বাস করে কারা ও মন জানো না। তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা, মন জানো না।" 

একটু রসিকতা হয়ে গেল ঠিকই, তবুও বলি - এ এক ধ্রুব সত্য। লালন সাঁই, মনের কথা কয়। বোঝে কোন জনা? আমাদের আপনজন সঙ্গে নিত্য দূরসঞ্চার যোগাযোগ হয়ে ওঠে মন থেকে যন্ত্র স্পন্দনে। সেখানে বাস করে কয় জনা? কতো বিষয় তার ইয়ত্তা নেই! 

আমরা কী জানি, হুস করে ক্রীত ডাটা ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার পিছে আমার সাথে বসতকারী কোন জনা? কে যে সিংহাসনে বসে ছবি আঁকে? কে যে রঙ মাখে একমনে? আর কে ছবি খানা নষ্ট করে? রাজনীতি, ধর্মনীতি সব কিছু পঞ্চামৃত তৈরী করে ইষ্টভৃতি লাভ করছে যজমানের মনে।

ওই একজন যে কোন জনা, আমাদের দেশে তা জানা সম্ভব না। কেন্দ্র সরকার আমাদের সামনে আলোকপাত করার অনেকগুলো জাতীয় ইস্যু এনেছেন। একজন হিন্দু হিসাবে বা দেশবাসী হিসেবে বেশ ভালো না মন্দ সে তর্ক বিতর্কে আপাতত যাচ্ছি না।

কিন্তু কেন্দ্র সরকারের কাছে আমার বিনম্র জিজ্ঞাসা --দুর্নীতি দূরীকরণ ছিল আপনাদের সব থেকে বড় ইস্যু। তাকে সওয়ার করেই ক্ষমতায় আসা, সেটা কতদূর, কী হলো? 

যে ট্যুজি স্পেকট্রাম নিয়ে ঝড় তুলেছেন, সেই টেলিকমিউনিকেশনের হালহকিকত কী? 

৫ জী? ডেটা স্পীডের কী পরিবর্তন হয়েছে? - উত্তর : কিস্যু হয়নি। এক এক একটি জী তে মোদীজিকে -- জি জি করা ছাড়া কিছুই গত্যন্তর রইলো না। এর ফলে এক একটি গতিছাড়া জি এর আগমনে মাত্র কয়েক বছরে এক একটি নতুন কোম্পানির মোবাইল কিনতে হচ্ছে আপনার জনতাকে। কাদের সুবিধা করার জন্য আপনি গদিতে বসে আছেন?

কোম্পানির দৌলতে আমরা জানলাম, কখনও ২৩, আবার কখনও ২৮ দিনে মাস। এর কারণ কী? - আমজনতাকে দিয়ে বাৎসরিক একটি বেশি রিচার্জ করিয়ে নেওয়া? জনবহুল দেশের এই বিপুল পরিমাণ অঙ্কের টাকা কার পকেটে যাচ্ছে? মোদিজীর আপনি জানেন না? 

আরও একটি বড় স্ক্যাম আম জনতার ঘরে সিঁদ কেটে বিপুল অর্থে ডাটা চুরি করা। রিচার্জ রিনিউ ডেটের সাত দিন আগে থেকে নেটওয়ার্ক স্লো করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ মাসের শেষ সাতদিন আপনার প্রাপ্য ডাটা চুরি করা হবে। যদি সচেতন গ্ৰাহক হোন, কাস্টমার কেয়ারে ফোন করবেন। কাস্টমার কেয়ারের এ্যাডভাইসার আপনার সাথে লোকেশন থেকে সেটিংস ইত্যাদি নিয়ে কথা বলবেন। তারপর ন্যাকামো করে দুঃখ প্রকাশ করে বলবেন, আমি অভিযোগ আপডেট করে দিয়েছি, দু'একদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। এসব আপনার কালহরণ ছাড়া কিছুই নয়। জেনেশুনে নেটওয়ার্ক শ্লো ডাউন করা হয়েছে। এই মোবাইল কোম্পানির আম্বানি, আদানিরা স্রেফ ডাটা চোর। কোটি কোটি টাকার ডাটা চুরি করে। আমজনতার পকেট কাটে। আর কেন্দ্র সরকারের মোদীজিরা তার দোসর। ভাগ বা বখরা হয়তো পান। নাম কা ওয়াস্তে ট্রাই আছে। পোর্ট মেসেজ পাঠালে, ডাটা ঠিক করে দেবে। এমনকি ভালো অফারও পেতে পারেন। আবার যুক্তি দেখিয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারের এ্যাডভাইসার বলবেন, নেট স্লো করা যায় না। তারপর একটি ছোট্ট অনুরোধ, "আমাদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হলে, পাঁচ নম্বর দেবেন।" 

 কোম্পানির নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা পাওয়ার লোভে কেউ কেউ রিনিউ ডেটের আগেই রিচার্জ করেন। তাতেও লাভ কিছু হয় না।

কোম্পানি আসতেও কাটে, যেতেও কাটে। 

১) মাসের দিন কমিয়ে গ্ৰাহকের পকেট কাটে।

২) সেই দিনগুলি থেকেও শেষের সাতদিন নেট স্লো ডাউন রেখে গ্ৰাহকের পকেট কাটে। এমনিতেই রিলায়েন্স সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় সুবিধাভোগী অভিযোগ ওঠে। সে কি, এমনি এমনি হরলিক্স খাওয়ার মতো? আপনারা বুঝুন। আওয়াজ তুলুন।

(www.theoffnews.com mobile sim recharge data scam)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours