মোনালিসা মুখোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, হিন্দমোটর, হুগলি:
ব্যস্ততার চাদরে নিজেকে মুড়ে রাখা দিনও শেষ হয়ে আসে। পরিশ্রান্ত উড়ান শেষে ডানা গোটাবার ইচ্ছেও হয় ওই পরিযায়ী পাখিটার।
প্রশ্নের ভীড় ঠেলে চলে একদিন উত্তর দেবার ইচ্ছেরাও ক্লান্ত হয়। ভীড়ের মাঝে একলা চলাটাও শেখা হয়ে যায় সুনিপুণ ভাবে।
মুখ আর মুখোশের খেলা দেখতে আর খেলতে মন্দ লাগে না। তালিম ছাড়া অভিনয়ও মন্দ হয় না তাই। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধে হারজিতের লড়াইয়ে সময় মন্দ কাটে না। কখনও নিজেকে বাহবা কখনও নিজেকে দুষে যাওয়া নিজের মনে। বন্ধু থেকে শত্রু কিভাবে হয়, কেন হয় সে জটিল অঙ্কের সমাধান হাতের মুঠোয় এসে যায়। হাসতে হাসতে কান্না বা কান্না চেপে হাসির সহজ নিয়মের হাতেখড়ি হয় জীবনের পালাবদলে।
সময় যত এগোয় আপনজনের মুখোশগুলো, বন্ধুত্বের মুখোশগুলো খুলে যায় এক ঝটকায়। সোজা হিসেব বুক চিতিয়ে বলে -
কেউ কারোর না তুমি তোমার। লাখে একটা দুটো বন্ধু মেলে কিন্তু শত্রু মেলে হাজার।
এই শত্রুদের ভীড় ঠেলে এগোতে হয়। যারা এগোতে পারে তারা রক্তাক্ত হয় যারা পারে না তারা মুখ লুকিয়ে পালাতে চায় জীবন থেকে। মনে হয় সব সম্পর্ক মাপা হয় অর্থের মূল্য দিয়ে। যারা মাপতে শেখেনি এভাবে তারা গুড ফর নাথিং বলে গণ্য হয়। মানুষের মাঝে থেকেই এক একসময় মানুষ ছাড়া বাকি সব কিছু ভালো লাগে।
চারপাশে একদল বিষাক্ত মানুষের নিঃশ্বাস যাদের মুখে আর কাজে মিল নেই৷ যারা নিজের জন্যই বাঁচে আবার নীতিকথা শেখায়। এই দু'মুখো চরিত্রগুলো অভিনয়ে সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখে জীবনের রঙ্গমঞ্চ। সার বুঝে নিয়ে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচা মানে একটু সুস্থ আবহাওয়া ফিরে পাওয়া।
এভাবেই এগিয়ে যাওয়া শেষের দিকে। যা পাওয়া গেল বা যা পাওয়া গেল না তার হিসেব আর ব্যতিব্যস্ত করবে না হয়তো। মানুষ চেনা হয়ে গেলে সব চেনা হয়ে যায়। তখন শুধু নিজেকে চেনার সময় বাকি থাকে। নিজেকে নিয়ে নিজের সাথে এত কথা বাকি ছিল নিজের সাথে, তা কে জানত?
(www.theoffnews.com human face mask myself)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours