দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:

বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমক বীরভূম জেলাশাসককে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, প্রশাসনিক নির্দেশের পরেও, বীরভূমে বালি পাচার থামেনি কেন? সেই বালি পাচারের টাকা বিজেপির একাউন্টে কী করে যায়? রাজ্য জুড়ে বালি পাচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ -প্রশাসনকে আগেই কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে বিজেপির পকেট ভারি হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ। 

জেলায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বেড়েছে। তাদের অর্থের দৌলতে আলিশান কার্যালয় গড়ে উঠেছে জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহর গুলোতে। এসব নিয়ে বিজেপির অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির এক জেলা সভাপতির সম্বন্ধে বিজেপির এক বহিষ্কৃত নেতা অনিল সিং খোলাখুলি সমাজ মাধ্যমে তার প্রদিবাদ করেছেন। একটি মণ্ডলের নাম বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘কিছু আইসি-ও যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছেন। কী করছেন দুবরাজপুর, সিউড়ি, মহম্মদবাজারের আইসি? ওঁরা কী ভাবেন কিছুই আমার নজরে নেই? আমি সবরকম খবর রাখি। মানুষের জন্য কাজ না করলে রেয়াত করা হবে না।’  বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে বীরভূমের জেলাশাসককে রীতিমতো ধমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সবচেয়ে বেশি বালি পাচার ওখান থেকেই হচ্ছে। এছাড়াও নলহাটিতেও বিজেপি ও মাফিয়া আঁতাত গড়ে উঠেছে। এর ফলে বিজেপির বেশ কিছু নেতা ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। ক্ষতি হচ্ছে সরকারি রাজস্বের। এনিয়ে মানুষের ক্ষোভ আছে। সে খবর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আছে। 

পাশাপাশি, দেউচা পাঁচামি নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন, ‘দেউচা পাচামির যখন জমি নেওয়া হলো কেন খাপছাড়া খাপছাড়া নেওয়া হল? কেন সংলগ্ন জমি দেখা হলো না? সরকারের রেভিনিউ কেউ নিয়ে চলে যাবে আর তোমরা আঙুল গুটিয়ে বসে থাকবে এটা চলবে না।’

এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি মনে করিয়ে দেন, বীরভূম নিয়ে তিনি একেবারেই খুশি নন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘বীরভূমে আমাদের নেতাদের কথায় এসব হচ্ছে না। ওখান থেকে বিজেপির ফান্ডে টাকা যাচ্ছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।

(www.theoffnews.com Birbhum sand)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours