দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:
শনিবার শান্তিনিকেতনের কলাভবনে শুরু নন্দন মেলা। মেলা চলবে দুদিন। দুদিনের এই মেলায় কলাভবনের ছাত্র ছাত্রী সহ অধ্যাপকদের হস্তশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এই মেলায় আসে। মেলার আয় থেকে দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কলাভবনের ছাত্র ছাত্রী কল্যাণ তহবিলে রাখা হয়।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে এই মেলার প্রবর্তন হয়। কলাভবনের অধ্যাপক দিনকর কৌশিকের নেতৃত্বে ছাত্র ছাত্রীরা এই মেলার প্রবর্তন করেন। দিনকর ১৯৭০ সালে কলাভবনকে নতুন রূপ দেন। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তিনিই নন্দন মেলার আয়োজনের প্রধান ভূমিকা নেন। বছর তিনেক আগে তিনি প্রয়াত হন। ১৯৭৩ সালে বীরেণ বোরা নামে কলা ভবনের এক ছাত্র দুর্ঘটনার শিকার হয়। তখন ছাত্র ও শিক্ষক মিলে দুঃস্থ ছাত্রদের কথা ভেবে তাদের সৃষ্ট শিল্প দ্রব্য বিক্রির জন্য একটি মেলার কথা ভাবেন। সেই সময় কলাভবনের অধ্যাপক দিনকর কৌশিকের নেতৃত্বে ছাত্র ছাত্রীরা এই মেলা শুরু করেন। বিশিষ্ট শিল্পী নন্দলাল বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হয়ে আসছে এই নন্দন মেলা। বৈতালিকের মাধ্যমে শুরু হয় মেলা। শিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম তারিখ ৩ ডিসেম্বর। সেদিন বনভোজনের মাধ্যমে এই মেলার সমাপ্তি ঘোষণা হয়। এই বার্ষিক মেলার উদ্দ্যোক্তা কলা ভবন। প্রথম দিকে এই মেলায় শুধুমাত্র কলাভবনের ছাত্র ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করলেও, এখন সমস্ত ভবনের ছাত্র ছাত্রীদের অঙ্কন সামগ্রী এবং অন্যান্য শিল্প দ্রব্য বিক্রি হয়। এই মেলার আয় থেকে দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ব্যয় করা হয়। বহু বিদেশীদের আগমন ঘটে কলা ভবনের ছাত্র ছাত্রীদের শিল্প কর্ম কিনতে।
(www.theoffnews.com Shantiniketan fair)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours