দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:
ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ সরেজমিনে নলহাটি দুই ব্লকের ভদ্রপুর এক, দুই পঞ্চায়েত এবং বারা -দুই পঞ্চায়েত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন রাজ্যের তিন সদস্যের একটি দল। ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রবীর কুমার দত্ত জানান, জেলার ছয়টি ব্লক ঘুরে দেখবেন এই দল। তার মধ্যে নলহাটি দুই ব্লক ঘুরে দেখছেন তারা। প্রবীর কুমার দত্ত জানান, ভদ্রপুর এক পঞ্চায়েতে বাড়ির ড্রেনের দূষিত জল পুকুরে না ফেলে ফিল্টার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে পরিবেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বারা -দুই এবং ভদ্রপুর দুই পঞ্চায়েতে যেখানে ড্রেনের জায়গা নেই, সেখানে গর্ত করে বাড়ির জল মাটির তলে পাঠিয়ে গ্রাউন্ড ওয়াটার লেবেল রিচার্জ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০৪০ সালে ভারতে ভূগর্ভস্থ জল ভাণ্ডার শুন্য হবে। জল অপচয় রোধ ও বৃষ্টির জল নিয়ে অনেক জায়গায় 'জল ধরো, জল ভরো' সরকারি প্রকল্পে কাজ শেষ হয়েছে। উনিশ সাল থেকে সেই কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই মানুষ তার সুফল পাবে, বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, চেন্নাইয়ে জল নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি ও বীরভূমে অবস্থা ভালো নয়। এব্যাপারে বিশ্বভারতীর প্রাণী বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অংশুমান চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, মাত্র পাঁচ দিনে দুটি গর্ত করে ২০ হাজার ব্যয় করে জল সংরক্ষণ করা যায়। এর জন্য ১০ -১৪ ফুট গর্ত করে পোড়া মাটির ছিদ্র যুক্ত তিন ফুট ব্যাসের রিং গুলো সিমেন্ট দিয়ে জুড়তে হবে। ছাদ থেকে রেন পাইপ দিয়ে বৃষ্টির জল সেই গর্তে ফেলতে হবে। তার আগে গর্তে তিনটি স্তর বানাতে হবে। প্রথমে থাকবে বালি, তার পর ১-২ ফুট ছোট আকারের নুড়ি পাথর। সব শেষে থাকবে বড় পাথর। যা ফিল্টারের কাজ করবে। অংশুমান বাবু জানান, প্রচণ্ড বৃষ্টির সময় জল ড্রেন দিয়ে চলে যায়। শক্ত মাটির আবরণ ভেদ না করেই বয়ে যায়। ফলে যে স্তরে জল জমা থাকে সেটা শুন্য হয়ে যায়। গভীর নলকূপ, পাম্প ও সাবমার্সিবল ব্যবহারের কারণেই এটা ঘটে। আজকে চেন্নাইয়ে ওই স্তরে জল নেই। এটা ঘোষিত। কিন্তু এই গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জিং সিস্টেমের ফলে ওই স্তরে আবার জল জমবে। এখন থেকে এই স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ে এই প্রকল্প গ্রহণ না করলে সেদিন আর বেশি দূরে নেই যে আমরা বিনা জলে মারা যাব।
(www.theoffnews.com Birbhum water)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours