দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:
শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষ মেলায় এবার হরেক কিসিমের মাছ ধরার জাল। কোনটার নাম খেয়া জাল। আবার কোনটার নাম ফাঁসি জাল, পেট জাল, ফ্যাকা জাল। মাছে ভাতে বাঙালির জন্য এই বিপুল আয়োজনের দেখা মিলবে মেলার দক্ষিণ দিকে নাগরদোল্লার পিছনের গেটের প্রবেশ পথে।
সেখানে গুনগুনিয়ে জাল বিক্রেতা সুর ভেঁজে চলেছেন, "মাছের মতো সেরা দেখি অল্প জলের তিঁতকুটি। সারা বাজার ঘুইরা মরি। পাই না আমি সরপুঁটি।"
জিজ্ঞেস করে জানা গেল, মোট চারজনের দল দশ হাজার টাকা দিয়ে স্টল কিনেছেন। বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মণ্ড হারবারের কলসবাজার। একজনের নাম কুতুবউদ্দিন মোল্লা। তিনি জানালেন, তার কাছে মেশিনের তৈরী ও হাতে বোনা জাল দুইই আছে। হাতে বোনা জালের দাম পাঁচ হাজার। মেশিনে বোনা জালের দাম অনেক কম। তবে মানের তরিতফাৎ আছে-- জানালেন পাশেই বসে থাকা মহম্মদ আব্দুল খালেক ও সইফুল আলম।
কুতুবউদ্দিন জানান, খেয়া জাল হাজার থেকে তিন হাজার পর্যন্ত দাম। ফাঁসি জাল পঞ্চাশ টাকা থেকে হাজার পর্যন্ত। ফ্যাকা জালের কোনটার আঠারোশো। আবার কোনটার তিন হাজার। তিনি আরও জানান, মেশিনে বোনা জালগুলো তামিলনাড়ু থেকে আসে। তারা বড়ো বাজারে কিনে কাটিং করে মাছ ধরার উপযোগী জাল বানান।
জানা গেল, এই মাছ ধরার জাল বিক্রি করতে কুতুবউদ্দিন আসেন শান্তিনিকেতন পৌষমেলায়, জয়দেব মেলায় এবং পাথরচাপুরি মেলায়। এই মাছ ধরার জাল বিক্রি করে স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে তাঁর পাঁচ জনের সংসার। বড় মেয়ে মেঘনা খাতুন নবম শ্রেণিতে পড়ে। আরেক মেয়ে তাসমিনা ক্লাস ওয়ানে পড়ে। আর ছোট ছেলে আল আমিন মোল্লা খুবই ছোট।
কুতুবউদ্দিন জানায়, পঁচিশ ডিসেম্বর তাঁর আবাস যোজনার টাকা ঢোকার কথা ছিল। এখনও পাননি। এদিকে মেলায় পড়ে আছেন। একটু চিন্তা হচ্ছে বৈকি।
(www.theoffnews.com fishing net Poush Mela Shantiniketan)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours