দেবর্ষি মজুমদার, সিনিয়র জার্নালিস্ট, বীরভূম:
ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট শান্তিনিকেতনে ঐতিহ্য মেনে গৌর প্রাঙ্গণে ভোরবেলা বৈতালিক, সানাই, উপাসনার মাধ্যমে সূচনা হল ১৮১তম পৌষ উৎসব বা পৌষমেলা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেণ, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ সহ বিভিন্ন ভবনের ছাত্রছাত্রী, আশ্রমিক, অধ্যাপক কর্মীবৃন্দ।
সোমবার থেকে পূর্বপল্লির মাঠে শুরুতেই পৌষমেলা হয়ে দাঁড়াল মিলনক্ষেত্র। এদিন সকালে বৈতালিকের মাধ্যমে বোলপুরে সূচনা হয় পৌষমেলা। ১৮০০ দোকান নিয়ে শুরু হল মেলা। চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উনিশ সালের পর এই প্রথম শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পরিবেশ বান্ধব পৌষমেলা। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌষমেলার অনুষ্ঠান সূচী প্রকাশ করে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থাকছে তিনশোর বেশি পুলিশ। ওয়াচ টাওয়ার, ড্রপগেট, পর্যটকদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। থাকছে বায়োটয়লেটের ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, মাঝে কয়েক বছর বিশ্বভারতী মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজস্ব উদ্যোগে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করে। এবারও ঐতিহ্য মেনে ২২ ডিসেম্বর রবিবার রাত ন'টায় গৌরপ্রাঙ্গনে বৈতালিক অনুষ্ঠান এবং রাত সাড় ন'টায় শান্তিনিকেতন গৃহে সানাই বাদনের মধ্য দিয়ে সূচনা হচ্ছে পৌষ উৎসব ও পৌষমেলা। তবে গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞার গেরোয় হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী আতশবাজি।
এবার এই মেলার আরেকটি আকর্ষণ হলো আশ্রম প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জন্য প্রেস কর্ণার এবং এমনকি খ্রীষ্টোৎসবে মন্দিরেও থাকছে একই ব্যবস্থা।
এবারও গ্রামীণ হস্তশিল্প ও লোকশিল্পের প্রসারে থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাই বেশে নাচ, কীর্তণ, বাউল, যাত্রা সহ বিভিন্ন লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণের সংস্কৃতিমঞ্চে। আটই পৌষ থাকছে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব। নয় পৌষ থাকছে পরলোকগত আশ্রমবাসীদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিবাসর। অনলাইনে বুকিং সম্পূর্ণ। ২০১৯ সালে প্রথম অন লাইন বুকিং হয়। সেই সময়কার আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবার। প্রায় আঠারোশোটি স্টল থাকছে এবারের পৌষমেলায়।
(www.theoffnews.com Poush Mela Poush Utsav Shantiniketan)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours