সোমনাথ রায়, প্রত্নগবেষক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক, দুর্গাপুর:
ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন যে এই প্রথম হায়দ্রাবাদ শহরে নিওলিথিক হাতিয়ারের সন্ধান পাওয়া গেছে
হায়দ্রাবাদের কচ্ছপের আকারে গঠিত একটি বিশেষ শিলার নীচে নিওলিথিক হাতিয়ারগুলির আকস্মিক আবিষ্কারের ফলে ওই প্রত্নস্থানটিকে সুরক্ষার দাবি উঠেছে।
কোথা তেলেঙ্গানা চরিত্র ব্রুন্ডমের সদস্যরা কচ্ছপ শিলার (যা এখন বিএনআর পাহাড়ের কাছে একটি ট্র্যাফিক আইল্যান্ড) নীচে দুটি নিওলিথিক সেল্ট (প্রাগৈতিহাসিক যুগের পাথর বা ব্রোঞ্জের লম্বা, পাতলা হাতিয়ার যা একটি কুড়াল বা কুড়ালের মতো) আবিষ্কার করেছেন। প্রত্নবিদ ই. শিভানাগী রেড্ডি বলেছেন - “আমরা পেইন্টিং বা স্কেচের আকারে প্রাগৈতিহাসিক রক আর্টের অনুসন্ধান করছিলাম কিন্তু প্রাকৃতিক আস্তানার মেঝেতে দুটি পাথরের কুড়াল খুঁজে পেয়েছি। সেল্টগুলি যথাক্রমে ১২x৭.২x২.১ সেমি এবং ৯.২x৩.৯x২.২ সেমি দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং বেধ মাপ যুক্ত।
এই অনুসন্ধানটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর ফলে হায়দ্রাবাদ শহরের ইতিহাস ৬,০০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস বিশেষজ্ঞ কে.পি. রাও বলেছেন - “এই প্রথম হায়দ্রাবাদের অভ্যন্তরে নিওলিথিক হাতিয়ার পাওয়া গেল। আগের অনুসন্ধানগুলি জানগাঁও এবং হায়দ্রাবাদের অন্যান্য দূরবর্তী এলাকায় ছিল। পালিশ করা নিওলিথিক সেল্টস প্রাগৈতিহাসিক মানুষের হাতিয়ার তৈরির জ্ঞান ও দক্ষতার অগ্রগতির প্রমাণ দেয়”।
এই সরঞ্জামগুলি ৪০০০ থেকে ২০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের সময়কালের মধ্যে নিওলিথিক বা নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষদের চাষবাস, পশুপালন এবং অস্থায়ী বসতি স্থাপনে সাহায্য করেছিল। অনুসন্ধানকারী দলটির মতে ‘কচ্ছপ শিলা’ একটি মরশুমী বাসস্থান হিসেবে হয়ত ব্যবহৃত হয়েছিল কারণ সেটির আশেপাশে প্রচুর জলের উৎস অবস্থিত ছিল যেগুলি বর্তমানে ‘দুর্গাম চেরুভু’ এবং ‘মালকাম চেরুভু’ নামে পরিচিত।
(www.theoffnews.com Hyderabad)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours