সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ:

ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে ভারতের শেয়ার বাজারের কোনও ছুঁৎমার্গ নেই। ভারত সরকার অনুমতি দিলে ক্রিপ্টো কারেন্সির লেনদেন দেশীয় শেয়ার বাজারে তা অবশ্যই স্বাগত। এমনটাই মত পোষণ করলেন বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই লিমিটেড) ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাম চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুন্দরমন রামমুর্তি। তিনি বলেন, "এখনও পর্যন্ত ভারতের শেয়ার বাজারের লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে দেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। তাই আমরাও এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়ার জায়গায় নেই। যেদিন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুমোদন মিলবে সেদিনই দেশের শেয়ার বাজারে ক্রিপ্টো কারেন্সি চালু করা হবে। সবটাই নির্ভর করছে ভারত সরকার এ'বিষয়ে কি, কখন ও কিভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপর।"

ইতিমধ্যেই ক্রিপ্টো কারেন্সির মূল্যমান নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বৈধতা দিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় ক্রিপ্টো কারেন্সির কেনা ও বেচার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। ফলে ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সি ক্রয় ও বিক্রয় অনায়াসেই আগ্রহী যে কেউ করতে পারবেন। তবে ব্যবহৃত জীবনের দেশীয় উন্মুক্ত বাজারে দৈনন্দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে তা এখনও ব্যবহার যোগ্য নয়। উল্লেখ্য, দেশীয় বাজারে লেনদেনের মাধ্যমে এখনও ভারতীয় ভৌত মুদ্রাই (ভারতীয় রুপি) একমাত্র গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে ক্রিপ্টো কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা ভারতে লেনদেনের সূচকের স্বীকৃতি এখনও অর্জন করতে পারেনি।

গত সোমবার বিকেলে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র উদ্যোগে। উদ্যোক্তাদের নিজস্ব ভবণে আয়োজিত এই আলোচনায় অংশ নেন বিএসই লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাম চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুন্দরমন রামমুর্তি। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল 'ভারতীয় ইক্যুইটি বাজারে আসন্ন স্বর্ণযুগ।' সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, "১৯৯১ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাওয়ের ও তদানীন্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের যৌথ যুগলবন্দীতে ভারতে রচিত হয়েছিল অর্থনৈতিক আঙ্গিকে এক নতুন অধ্যায়। জওহরলাল নেহরুর প্রচলিত মিশ্র অর্থনীতির পথ পরিহার করে সেদিন ভারত হাঁটতে শুরু করেছিল উদার অর্থনীতির নয়া স্বনির্ভরতার সরণিতে। আর ১৯৯২ সালে একটা স্ক্যামের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে প্রথমবারের মতো ভারতের শেয়ার বাজার সম্পর্কে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছিল আকাশ ছোঁয়া। স্ক্যামে অভিযুক্ত হর্ষদ মেহেতার সৌজন্যে। এরপর নানা উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে দেশের শেয়ার বাজার কিন্তু ক্রমেই লোভনীয় তেজি ষাঁড়ে রূপান্তরিত হয়েছে বলে তাঁর অভিমত। সুন্দরমন রামমুর্তি আরও বলেন, "আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের শেয়ার বাজার অত্যন্ত বলিষ্ঠ স্তম্ভের ভূমিকা পালন করছে। তাই দেশীয় শেয়ার বাজারের অদূর ভবিষ্যৎ কিন্তু অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আগে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা সীমাবদ্ধ ছিলেন স্রেফ হাতে গোনা কয়েকটি মহানগরীতে। আজ দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও শেয়ার বেচাকেনায় উৎসাহ দেখান স্থানীয় অধিবাসীরা। ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দৈনন্দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল লেনদেনে সহজলভ্যতা এসেছে। বিএসই, সেবি, এনএসসি'র মতো নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগকারীদের বিনামূল্যে বিনিয়োগের পরামর্শ ও সতর্কতা প্রদান করে চলেছে নিরলস ভাবে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে।"

বিএসই'র উক্ত পদস্থ আধিকারিক ছাড়াও ওই সভায় মনোজ্ঞ বক্তব্য পেশ করেন আয়োজক সংস্থার দুই কর্মকর্তা মুনীশ ঝাঝারিয়া ও মমতা বিমানি।

(www.theoffnews.com Merchants' Chamber Of Commerce & Industry BSE Limited)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours