দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম: 

রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ‍্যোগের যুগলবন্দীতে সর্ব সাধারণের কাছে আরও দ্রুত প‍ৌঁছে যাবে মানবিক পরিষেবা।  

গত শনিবার প্রাইভেট নার্সিংহোমস এন্ড হসপিটালস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশানের যুগ্ম সম্পাদক তাহের শেখ ও উপদেষ্টা এবং অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি মোহম্মদ বাকিবুল্লাহ মোল্লা রাজ্যের মুখ্য সচিব ড. মনোজ পন্থ (আই এ এস) এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। 

বৈঠকের পর তাহের শেখ এক অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে এমনটাই জানান।  রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি একযোগে কাজ করা হলে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে।  

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে একযোগে কাজ করার যে প্রাথমিক সম্মতি মিলল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তাতে পরিষেবার ক্ষেত্র আরও প্রশস্ত হলো সাধারণ মানুষের জন‍্য, বলে তথ‍্যভিজ্ঞ মহলের ধারণা। 

উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর কলকাতার বিধাননগরে পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি মঞ্চে প্রাইভেট নার্সিংহোমস এন্ড হসপিটালস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশানের ৫০০ জনেরও বেশি সদস্যদের উপস্থিতিতে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে আগামীদিনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে এবং তাদের সহযোগিতায়, সমন্বয় স্থাপন করে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। সেদিন এই নতুন সোসাইটির কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে ১১ জনের এক বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়। আগামী তিন মাসে এই অস্থায়ী কমিটি সোসাইটি গঠনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবার পর নির্বাচন বা মনোনীত করে স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে। এর ফলে স্বভাবতই খুশির হাওয়া গোটা রাজ‍্যে। 

আগামী ২০ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে  আরও এক সম্মেলন ডাকা হয়েছে। তার আগেই রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিবের সঙ্গে এই আলোচনা সভা সরকার ও পিপি মডেলের অগ্রগতিতে শীলমোহর বলা যেতে পারে।  

শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি তথা এই নবগঠিত এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য মলয় পীট বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। সংগঠন একটা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মূল যে ভাবনা, সেখানে একটা ঘাটতি ছিল বলে ব‍্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি। মূল ভাবনা হলো সরকারের যে প্রকল্পগুলো আছে, তার সঠিকভাবে রূপায়ণ এবং সরকার যে উদ্দেশ্যে প্রকল্পগুলো মানুষের জন‍্য করেছে, সেই পরিষেবা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। রাজ‍্য সরকারের সহায়তায় এবং আন্তরিক ইচ্ছায় এই সংগঠন সেগুলো দেখবে। সংগঠনের কর্তৃপক্ষ এই কথা জানিয়েছেন। আমি আনন্দিত, উজ্জীবিত কারণ এই সংগঠনের সঙ্গে উনারা আমাকে যুক্ত করেছেন। আমি আশা রাখি, রাজ‍্য সরকারের সাহায্যে এই সংগঠন এখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবার অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটাতে পারবে। ইতিমধ্যে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস‍্য রাজ‍্য সরকারের মুখ্য সচিবের সাথে দেখা করেছেন। সেখানে সংগঠনের উদ্দেশ্য বা কর্মপন্থা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়েছে। এই সংগঠন যাতে ভালো ভাবে কাজ করতে পারে সে ব‍্যাপারে তিনিও সংগঠনকে সাহায্য করতে বা নৈতিক সাহায্যের কথা বলেছেন।  মলয় পীট বলেন, স্বাস্থ্য সাথী সম্পর্কে যে ধারণা এই কেস করা যাবে, এটা করা যাবে না এমন কিছুটা বিকৃতি বা অপপ্রচার অনেকখানি কমে যাবে। সরকার তার নিজস্ব ক্ষমতার মধ‍্য দিয়ে কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে এই প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে। এতদিন সমন্বয়ের অভাব ছিল, বলে ঘাটতি ছিল। বিভিন্ন ব‍্যাখ‍্যা অপব‍্যাখ‍্যা ছিল। কোনও সিস্টেম যদি আমলাতন্ত্রের উপর থাকে। তার মোবিলাইজেশন না হয়, তাহলে অসুবিধা হয়। সেই অসুবিধাটা ছিল, আশা করি দূর হয়ে যাবে।"

(www.theoffnews.com public private project health)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours