দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
পুলিশের মারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ১৪ বছরের এক কিশোর, এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে লাভপুর থানার চৌহাট্টা গ্রামে। বাবা গোষ্ঠ গোপাল বাগদি টোটো চালিয়ে জীবিকা অর্জন করেন। বাবার টোটো নিয়ে অর্থ উপার্জন করতে বেরিয়ে পড়ে ১৪ বছর বয়সী টুটুল বাগদি। সে জানায়, বাড়িতে টোটো থাকায় সেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে যায়। আমদপুর থেকে প্যসেঞ্জার নিয়ে টোটো চালিয়ে আসছিল সে। টোটো চালানো ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বেলুনের ব্যবসা করেন বাবা গোষ্ঠ গোপাল বাগদি। সেদিন বেলুন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। বাড়িতে টোটো থাকার জন্য ছেলে টোটো নিয়ে প্যাসেঞ্জার তুলতে বেরিয়ে পড়ে। আমদপুর থেকে প্যাসেঞ্জার নিয়ে আসার সময় চৌহাট্টা থেকে আরও কয়েকজন প্যাসেঞ্জার পায় সে। কিছু দুর যেতে লাভপুর থানার পুলিশ টোটোটিকে আটক করে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, সকলে নকল কয়েন সোনা দিয়ে প্রতারণার ব্যবসা করেন। এই টোটো চালকের সঙ্গে সকলে যুক্ত। কিন্তু পরিবারের দাবি, ছেলে নিরপরাধ। সকলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, তাদের ছেলেকে বেধড়ক মারধোর করে লাভপুর থানার পুলিশ। এমন মার মারা হয়েছে যে তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। হাতে চোট পেয়েছে, পেটে লাথি মারার ফলে মুত্রনালি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। আহত কিশোরের আরও দাবী অতিরিক্ত মারধর করার পরেও সেই মারধরের কথা অন্যকে না জানাতে বারণ করে লাভপুর থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, অন্যকে জানালে হাজত বাস করানোর হুমকি দেয় পুলিশ।
পুলিশের দাবি, সকলে নকল কয়েন র্যাকেটের সাথে যুক্ত। যেহেতু ছেলেটির অল্প বয়স তাই পরিবারের কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
(www.theoffnews.com police tortured boy Birbhum)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours