শামা আরজু, লেখক, বাংলাদেশ:
প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে পড়ে তুষার। স্কেবিসের কারণে হাতে পুঁজ হয়ে গেছে। রোগটা ছোঁয়াচে তাই ওর মাকে বললাম ওকে নিয়ে যান বাড়িতে। সুস্থ হলে পাঠাবেন। মা গজগজ করে উঠলো। স্কুলে না আসলেও যন্ত্রণা, আসলেও যন্ত্রণা। আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আপনি কি বলছেন এসব! আপনি কি চান আপনার বাচ্চার কারণে বাকি সবগুলো বাচ্চার এই অসুখটা হোক! মা কেঁদে উঠলেন কান্না। জানালেন, না আনলে আপনারা ফোন করেন। আমি এই বাড়িতে (স্বামীর বাড়িতে) তো থাকতে পারি না। বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকি। আমার তো কোনও খরচ দেয় না ওদের বাবা। বাচ্চাদেরও কোনও খরচ দেয় না। তাই বাবার বাড়িতে পড়ে থাকি।
আপনার মুখে কিসের দাগ?
আমাকে টর্চ লাইট দিয়ে মেরেছিল সেই দাগ।
আপনার গায়ে হাত তোলে!
মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে।
আপনি এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারকে জানাননি?
তাদের জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। জেলও খেটেছে তবু তার পরিবর্তন নাই। কিছু বললেই মারে।
আমি অনুতপ্ত হয়ে বললাম কিছু মনে করবেন না। আমি তো এসব জানতাম না। সমস্যা নেই আপনি আপনার সুবিধামতো বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে আসবেন। তবে এখন না, সুস্থ হলে।
বাবার বাড়িতে থাকলে আসতে যেতে সিএনজি ভাড়া লাগে তো। সেই টাকাটাই আমাকে কে দেয়!
এর উত্তর আমার কাছে নেই। আমি এরকম অনেক গল্প জানি। আমি এরকম অনেকের গল্প জানি। আমার গল্পও যে এরকমই।
(www.theoffnews.com Bangladesh women tortured)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours