প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র, লেখক, কালনা, পূর্ব বর্ধমান:
জেলায় জেলায় মধ্যবিত্তের শ্রেণি সংগ্রাম চলছে। পদে টিকে থাকা, পদন্নোতির জন্য অপরকে ল্যাং মেরে নিজে এগিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে দেখে এক কমরেডের দুঃখের পোষ্টে যা লিখেছি তাই হুবহু তুলে ধরলাম। কারন সমস্যাটা কোনও একটা শহরের নয়।
সমস্যা রাজ্যের সর্বত্রই একই।
অনৈতিক, সুবিধাবাদী, অসভ্য নেতা এই সমাজেরই অংশ। সুতরাং তাঁদের কমিউনিষ্ট পার্টিতে প্রবেশের ফলে কলুষিত এই সমাজের বিষ সংগঠনকেও ধারণ করতে হয়।
আমার কমেন্ট:-
আহা, যখন সে বা তিনি বক্তৃতা করেন তখন সে/তিনি কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা। যখন চুলকায় পরস্ত্রীগামী হয় তখন সে/তিনি রক্ত মাংসের একটা সাধারণ কামুক মানুষ - আমি এমনই ভাবি।
তাদের চিনি, কয়েকজনকে জানি অস্বীকার করছি না।
জমি জায়গা সংক্রান্ত দালালি, চাকুরী সহ ব্যবসা, প্রমোটারি করেন কয়েকজনকে চিনি বটে। এরা তো সুসময়েও ছিল আজও আছে। আজ পার্টিকে ভালোবেসেই আছে, তবে পিঠ বাঁচাতে একটু তৃণমূলকে আগাম কর্মসূচি জানিয়ে নিজে বাঁচে-এতে অন্যায় দেখি না।
আপাতত ভাবো ২০২৬ সালে ৫% থেকে যদি ১০% মানুষকে আনা যায়।
সমাজটাই তো শেষ হয়ে গেছে। এই সমাজের মানুষই তো কমিউনিষ্ট পার্টি করছে। সেখানে মাতাল, চরিত্রহীন, লম্পট, সুদখোর, কন্ট্রাক্টর, জমি মাফিয়া নিয়েই পার্টি গড়ে তুলতে হবে।
মধ্যবিত্ত মানুষের চরিত্রই এমন। এরাই নেতাকে চাটে। শিক্ষিত ভদ্র দেখতে শুনতে ভালো কেউ আবার গন্ধযুক্ত।
আপনার শহরে পার্টিতে কতজন শ্রমজীবী কৃষক, শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি, দোকান কর্মচারী রয়েছে? এই অংশের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে যা হবার তাই হবে। লেভি কেন্দ্রিক পার্টি। চামচা কেন্দ্রীক নেতা, চামচা পার্টি সদস্য।
সর্বশেষে মেরুদন্ডহীন একটা গোষ্ঠী।
(www.theoffnews.com communist society group)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours