দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
ব্যাঙ্গালুরুর এমবিএ ছাত্রী অবৈধ কাজে যুক্ত থাকার হুমকি দেখিয়ে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের পরিচয় দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করা হলো কীর্ণাহারের এক পরিবারের সঙ্গে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে মা মারা যাওয়ার পর বীরভূমের কীর্ণাহারের কড়েয়া গ্রামে মামার বাড়িতে মানুষ বছর তেইশের রাহী পান। বর্তমানে সে ব্যাঙ্গালুরুতে এমবিএ পাঠরতা। নভেম্বরের ২ তারিখ ওই ছাত্রীর মাসি কাবেরী রায় পালের ফোনে একটি ফোন আসে। সেই ফোনের ট্রু কলারে ইণ্ডিয়ান পুলিশ লেখা স্ক্রীনে ভেসে ওঠে। সেই নাম্বার থেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বলা হয় রাহী পান পিতা রাজ নারায়ণ একটি হোটেলে মধুচক্রের আসরে ধরা পড়ে। আপনারা যদি ওকে ছাড়াতে চান, তাহলে অনলাইনে ষাট হাজার টাকা পাঠান। না হলে ওকে কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওই ছাত্রীর মামা সন্ন্যাসী রায় বলেন, ঠিক আছে। আমরা আগে ভাগনির সাথে কথা বলি। তারপর টাকা পাঠাবো। তখন ফোন থেকে বলা হয় যে, ভাগনির ফোন তাদের হেফাজতে আছে। সেই ফোনে কল করলে তারা জড়িয়ে যাবে। কারন ওই নাম্বার ট্যাপ করা আছে। আগে টাকা পাঠান। তারপর কথা বলিয়ে দেব। তারপর ফোনে একটি মেয়ের কান্না শোনানো হয়। আর সেই কান্না শুনে ভাগনির কান্না মনে হয়। তারপর ষাট হাজার টাকা অনলাইনে পাঠানো হয়।
সন্ন্যাসী রায় জানান, তখন ওরা বলে, ওতে হবে না। নাম উঠে গেছে। আরেক জন অফিসারকে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা দিতে হবে। তারপর ফের সেই টাকা পাঠানো হয় নির্দিষ্ট ফোন নাম্বারে। একটু পরে বলছি, বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। তারপর ভাগনিকে ফোন করে তিনি জানতে পারেন ওসব কিছু ব্যাপার না। ভাগনি হোস্টেলে বহাল তবিয়তে আছে। এরপর ওই ফোনে ফোন করলে তারা বলে আমরা ভুল করেছি। আপনি আরেকবার আটশো কুড়ি টাকা পাঠান। ওটা পাঠালেই পুরো টাকা পাঠাবো। তাদের আর এক টাকা পাঠাবে না বলাতেই, ওরা গালমন্দ করে ফোনের লাইন কেটে দেয়। ওই দিনই কীর্ণাহার থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ হয়। তারপর গত সোমবার সিউড়ী সাইবার ক্রাইম থানায় ফের তারা অভিযোগ দায়ের করে।
(www.theoffnews.com fraud)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours