রণজিৎ গুহ, লেখক ও সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

(লেখক একজন গর্বিত প্রাক্তন ইস্পাত কর্মী)

সত্যি বলতে কি বাঙালিয়ানায় সৌজন্য সম্ভাষণ হিসাবে সকাল সন্ধ্যায় কোনও দিনই এইসব সুপ্রভাত শুভসন্ধ্যা ইত্যাদির চল নেই। ইংরেজদের সম্ভাষণের অযথা অনুসরণ এবং অনুবাদ। দেখতে দেখতে গুড মর্নিং শব্দটা অবশ্য বাংলা ভাষায় অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ফেলেছে প্রায়। সেরকম তো হয়ই।

অন্য দিকে 'নমস্কার' শব্দটা সময়কাল নিরপেক্ষ এবং চমৎকার ভাবে বহুমাত্রিক। আবাহন আপ্যায়ন প্রত্যাখ্যান কিংবা বিদায় সম্ভাষণ সবেতেই চলে। সৌজন্যে ভরপুর। আর অবশ্যই বাঙালিয়ানায় পুরোপুরি সিদ্ধ।

তবে আনুষ্ঠানিকতার বাইরে একান্ত বাঙালি ঢঙে 'কেমন আছো?' 'কি খবর?' ইত্যাদির ডাক খোঁজ সখ্যতা জোরদার করে পরিচিতজনের নৈকট্য বাড়ায়। বিদায় কালে 'আসি' বা 'চলি'  'শুভ রাত্রি' র চেয়ে কিছু কম আন্তরিক নয়।

তাই আমার মনে হয় বাঙালিয়ানা দেখাতে ইংরেজ অনুকরণে শুভ দুপুর শুভ বিকেল জানানোর দরকারই নেই। ধ্রুপদী বাংলা ভাষা বাঙালিয়ানার একটা জরুরি অঙ্গ। বাঙালিয়ানার অন্যান্য লক্ষ্মণ ও শর্তগুলো অবহেলা উপেক্ষা করলে ভাষার ওপর দরদ ও আগ্রহ কিন্তু কমে যেতে পারে। সংস্কৃত ভাষার মতই সাহিত্যের জোরে বাংলাও বিনোদন ও গবেষণার জন্য হয়তো টিকে থাকবে। বাঙালিয়ানা না থাকলে বাংলা ভাষা সজীব নাও থাকতে পারে।

সাধু সাবধান।

(www.theoffnews.com welcome)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours