সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ:

এতো পর্বতের মুসিক প্রসব! হায়রে হায়, এতোদিন ধরে তাহলে আমরা সবাই একটা বোগাস ইভেন্ট দেখলাম।

অনেক নাচু, অনেক কাঁদু করেছ। যাও 'কমপ্লেন বয়' বাবা আমার, এবার ঘরে গিয়ে একটু দুদুভাতু খাও। পারলে চুষিতে একটু মধুও চুষতে পারো।

অনেক খেল দিখিয়েছ কয়েকদিন। শেষে কিনা এক্কেবারে ০/১০'য়ে রণেভঙ্গ দিলে বাছাধন। আর অভয়া? ভাঁড় মে যা। আরে বাবা কমিটিতে নিজেদের রসালো জব্বর পদ পেলেই তো হলো। ঠিক না! বাকিটা দিদি তো দেখবেন বলেছেন, নাকি?

প্রকৃত অভিজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়ে অন্যদের তাচ্ছিল্যের হামবরা ভাব দেখানো আর নিখুঁত হোমওয়ার্ক না করে তুখোড় রাজনৈতিক চাণক্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলে যা প্রত্যাশিত হবার তাই ঘটেছে। লজ্জাও করল না এদের একবারও, দুর্নীতির ইস্যুতে যে স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগের দাবিতে এতদিন চিল চিৎকারে আকাশ বাতাস ঝালাপালা করে ছেড়েছে, সেই তারাই নবান্নে গোটা মিটিংটা তাঁর সঙ্গে একাসনে বসে কাটালো। তাদের নাক কাটার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাতা ফাঁদে ওরা তো অবশেষে পা দিয়েই বসলো। যদি একাসনে না বসে শুধুমাত্র এই ইস্যুতে ওয়াক আউট করলে তবে সেটাই হতো তাদের কাছে অত্যন্ত সন্মানজনক আন্দোলনের দৃষ্টান্ত। অবশ্য এটাও মানতেই হবে একমাত্র অনিকেত মাহাতো এখানে ছিল বলিষ্ঠ, তীক্ষ্ণ ও ব্যতিক্রমী। বাকিরা তো তুতু ম্যা ম্যা'র পরিহাসের নিদর্শন।

যত্তসব আনপ্রেডিক্টেবল, আনরিলায়েবল ফালতু মিডিয়ায় কাগুজে বাঘ। টেবিল টকে অষ্টরম্ভা। আগডুম বাগডুম ফোকা খাজা মাল কোথাকার! তোমরা কে জানো? তোমরা আর কেউ না, তোমরা হলে তামাম বঙ্গবাসীর চোখে এখন পয়লা নম্বর সুবিধাবাদী বিশ্বাসঘাতক। তোমরা শাসকদের থেকেও বহুগুণ বড় ধোঁকাবাজ। কারণ শাসকদের অভ্যাসগত ডোন্ট কেয়ার অবস্থান আমাদের বহুদিনের চেনা বিষয়বস্তু। কিন্তু তোমাদের হঠাৎ ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা দাম্ভিক কর্মপদ্ধতি আমাদের কাছে আজ বড্ড অচেনা। তোমাদের চিনতে আমরা ভুল করেছি। একযোগে অপরাধীও তোমরা। কারণ এই রাজ্যবাসীর অন্তরাত্মার দ্রোহের সঙ্গে তোমরা স্রেফ চুড়ান্ত দায়িত্বহীন পর্যায়ে ছিনিমিনি খেললে। অকালকুষ্মাণ্ড রাবিস! একটা কথা বলবে, এখন তোমাদের মেরুদন্ডটা কি তবে নবান্নের অভিঘাতে গঙ্গার ওপারে ফেলে এসেছো?

(www.theoffnews.com RGKar Hospital doctors' agitation)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours