প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র, লেখক, কালনা, পূর্ব বর্ধমান:
কাশ্মীরে বিগত কয়েক বছরে যা উন্নয়ন হয়েছিল তা লক্ষ্যনীয়। পর্যটকরা নির্ভয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় যাওয়া শুরু করেছিলেন। ব্যবসা বাণিজ্য বেড়েছিল (শ্রীনগর হোটেল ব্যবসায়ীর বক্তব্য)।
নতুন রেলপথের সম্প্রসারণ, শ্রীনগর-কন্যাকুমারী চওড়া রাস্তা, জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতি, রাতেও নির্বিঘ্নে শ্রীনগরে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
নাশকতা, পাকিস্তানি উগ্রপন্থী হানা অনেকটাই কমেছিল। যদিও এবছর অমরনাথ যাত্রার পূর্বে রেইসি জেলায় শিবখরী যাত্রী বোঝাই বাসে এবং কাঠুয়াতে দুটি পৃথক নাশকতা হয়েছিল, অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল। তবুও বলা যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা দশ বছর আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।
একান্ত আমার ব্যক্তিগত মত, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় এদেশের সংখ্যালঘু মানুষ উন্নয়ন নয়, ধর্ম ভিত্তিক ভোট প্রয়োগ করেন।
কোন দলকে ভোট দিলে, ধর্মীয় ভাবধারায় সুবিধা প্রাপ্তি হয় সেই ভিত্তিতে তারা ভোট দেন। কাশ্মীরের মত এরাজ্যেও সেই প্রমান পেয়েছি।
এ'বছর জুলাই মাসে কাশ্মীর যাওয়ার সময় বন্ধু ড্রাইভার সাজেদ আহমেদ গাড়ি চালাতে চালাতে বলছিলেন, "মমতা ব্যানার্জি বহুত আচ্ছা আদমি। উহ হাম লোগো কে লিয়ে আচ্ছা কাম করতে হ্যায়।"
আমি বলেছিলাম, তাই যদি হয়, মমতা ব্যানার্জি কা পার্টি কা আদমি ইধার খাড়া কর দো। উনকো কাশ্মীর কা মুখ্যমন্ত্রী বানা দো। হাম লোগো কো রেহাই মিলে গা।"
সাজেদ বলেছিল, এ হামারা মুলুক। এ নেহি হো সকতা।
উপত্যকায় কোনও দিন বিজেপি জিততে পারবে না, আমি কেন বিজেপিও জানতো। উপত্যকায় ৯০% অধিক ভোটার মুসলিম।
বিজেপির প্রতি আমার আলাদা কোনও মোহ নেই। কারন আমি জানি বিজেপিও ধর্মের ভিত্তিতে ভোট মেরুকরণের রাজনীতিতে আস্থা রাখে।
তবে আশঙ্কা এই, কাশ্মীর আবার মৌলবাদীদের স্বর্গরাজ্য হবে। ভূস্বর্গ থেকে আবার সাধারণ পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নেবেন। আশঙ্কা ভারতের নিরাপত্তা আবার বিঘ্নিত হবে।
ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মুফতি মহম্মদ সহিদ এরা প্রত্যেকেই উগ্রপন্থী দলের সহায়ক শক্তি ও ছায়া শক্তি। ইতিমধ্যে ওরা ঘোষণা করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী জেল বন্দি নেতাদের মুক্ত করবে।
(www.theoffnews.com Kashmir election)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours