সোমনাথ রায়, প্রত্নগবেষক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক, দুর্গাপুর:

পাখির ভাষা মানে তো পাখির ডাক। এই ভাষাতে কি মানুষ নিজেদের মধ্যে কথা বলতে পারে? 

তুরস্কের কুসকয় গ্রামে কিন্তু পাখির ভাষাতেই এখনও কথা বলেন মানুষজন। এ গ্রাম পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। চারদিকে পাহাড়। তার ঢাল ধরে সবুজ বনানী। নীল আকাশের তলায় এই পাহাড়ের ঢালে গড়ে উঠেছে জনবসতি। এখানেই রয়েছে একটি অপূর্ব সুন্দর গ্রাম যেখানে মানুষকে পাহাড়ের ঢালেই ফসল ফলাতে হয়, অন্যান্য কাজ করতে হয়। বহু দূরে এ পাহাড়, ও পাহাড়ের ঢালে এ গ্রামের মানুষজন কাজে ব্যস্ত থাকেন। তখন যদি তাঁদের নিজেদের মধ্যে কথা বলার দরকার পড়ে তখন তাঁরা পাখির ডাকের মত শিস দিয়ে বার্তা পৌঁছে দেন। আর এভাবেই চলতে থাকে কথা। এ প্রান্ত থেকে শিস দিয়ে কিছু জানানোর পর তার উত্তরও আসে শিস দিয়ে। ঠিক যেমন করে পাখিরা কথা বলে। তাই এই গ্রামকে বলা হয় পাখির ডাকের গ্রাম। বলা হয় ৪০০ বছর ধরে এই গ্রামে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে এই পাখির ডাকে কথা বলা। ঠিক কবে কে বা কেন এই পাখির ডাকের ভাষা তৈরি করেছিলেন তা পরিস্কার করে জানা নেই। তবে এই পাখির ডাকে কথা বলা এখানকার শিশুরা জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই রপ্ত করতে থাকে। পাহাড়ে বহু দূরে দূরে কাজ করা গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় বার্তা আদান প্রদান করতে এই পাখির ডাকের শিস ব্যবহার করেন। যা স্পষ্ট শোনা যায় পাহাড় ঘেরা এই এলাকায়। ইউনেস্কো এই পাখির ডাকের ভাষাকে প্রাচীন সংস্কৃতি হিসাবে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

(www.theoffnews.com Turkey Kuskoy whistling language)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours