মোনালিসা মুখোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, হুগলি:

আবার চিত্তির করেছি। আমার সাথে হতেই থাকে এসব। আমি করতেই থাকি আর কিছু না কিছু লিখতেই থাকি।

রাস্তায় একটা ভ্যানে আপেল, ন্যাসপাতি, মুসুম্বি বিক্রি হচ্ছিল। আমি ভ্যানের সামনে দাঁড়ানো গায়ে তোয়ালে, বারমুডা পরা আর জলের বোতল হাতে দাঁড়ানো লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম কি গো ন্যাসপাতি কত করে? 

দেখো দিকি উত্তর দেয় না। ঠা ঠা রোদ। রেগে গিয়ে  আবার ডাকলাম কি গো ন্যাসপাতি কত করে? 

এবার লোকটা আমায় কটমট করে দেখে বললো, তা আমি কি করে জানব? 

অ তুমি বিক্রি করছো তুমি জানো না? আরও রেগে আমি বললাম। 

আজ্ঞে না, আমি বিক্রি করিনি। আমার ছেলের স্কুলের গাড়ি আসবে তাই এখানে দাঁড়িয়ে। আপনার মনে হচ্ছে আমি বিক্রি করছি?

এবাবা, রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়ে এবং সেটা বুঝতে না, দিয়ে উলটা চোর কোতোয়ালকো ডাঁটে এই প্রবাদ মতো বললাম আচ্ছা ঠিকাছে, তা একটু সরে দাঁড়াতে হয় ভ্যানের থেকে। লোকটা আবার কিছু বলতে যাচ্ছিল, ততক্ষণে ফল বিক্রেতা এসে হাজির একগাল হাসি -

দিদি, আমি ওই পারে টিপিন করছিলাম মুড়ি ঘুগনি। আমি এপারে এসতে এসতে দেকচি আপনি দাদাবাবুরে দাম জিজ্ঞেস কচ্চেন। 

ও দাদা রাগ কোরোনি গো। দিদি বুজতে পারেনি।

দাদা  কিছু বলবে,  ততক্ষণে দাদার ছেলে বাবাআ, বাবাআ করে দৌড়ে আসছে স্কুলের গাড়ি থেকে নেমে। কি শান্তি আমার উফফ্। 

এ যাত্রা আর কথা বাড়েনি। এখানেই খান্ত দিল দাদা, ছেলের খাতিরে। আমিও যেন কিছুই হয়নি গোছের ভাব করে গোটা চারেক ন্যাসপাতি নিয়ে চলে এলাম। ভরদুপুরে গায়ে তোয়ালে দিয়ে বারমুডা পরে ফলের ভ্যানের সামনে দাঁড়ানো উচিত ছিল? ভুল হবে না?

"তোমার কর্ম তুমি করো মা লোকে বলে করি আমি।"

(www.theoffnews.com comic)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours