গোবরডাঙ্গার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান শিল্পাঞ্জলি পয়লা মে ২০২৩, ৩৭ বছরের পদার্পণ করল। শিল্পাঞ্জলি প্রাঙ্গণে সন্ধ্যে ছটায় মঙ্গল দীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ৩৭তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন মধুসূদন কাটি সমবায় সমিতির প্রাণপুরুষ সম্পাদক কালীপদ সরকার। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সরোজ চক্রবর্তী, প্রাক্তন শিক্ষিকা আভা চক্রবর্তী, শিক্ষক ও সংগঠক শান্তনু দে, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুনীল বিশ্বাস, শিক্ষক শ্যামল বিশ্বাস, প্রাক্তন শিক্ষক সমীরণ চক্রবর্তী এবং সাংবাদিক বন্ধুরা। শিল্পাঞ্জলির সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সংস্থার সংগীত শিক্ষিকা দিপালী বিশ্বাস। মাননীয় অতিথিদের স্বাগত শুভেচ্ছায় শিল্পাঞ্জলির বিগত ৩৬ বছরের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের রূপরেখা এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে শিল্পাঞ্জলির অনায়াস গতিবিধির কথা উঠে আসে। সংগীত, নৃত্য ,অংকন অভিনয় ,বাচিক শিল্প ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে পুতুল নাটকের মত ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির চর্চা এবং অনুশীলনে শিল্পাঞ্জলি বর্তমান অবদানের কথা প্রত্যেকে স্মরণ করেন। শিল্প সংস্কৃতির শহর গোবরডাঙ্গার বুকে দীর্ঘ ৩৬ বছর নিরলস ভাবে সাংষ্কৃতিক কার্যকলাপের ভুয়সী প্রশংসা করেন প্রত্যেকে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে পুতুল শিল্পকলার মতো ঐতিহ্যবাহী লোক সংস্কৃতিকে পৌঁছে দেওয়া এবং বিভিন্ন স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিল্পাঞ্জলির পুতুল নাট্যের কর্মশালা পরিচালনার মাধ্যমে এই শিল্প মাধ্যমের জনপ্রিয়তা প্রসারের উদ্দেশ্য কে প্রশংসিত করেন সকলে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে অভিনীত হয় শিল্পাঞ্জলির গবেষণামূলক পুতুল নাটক রামমোহন রায়ের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত 'ভারত পথিক'। সংস্থার পুতুল নাট্যের পরিচালক শঙ্খব্রত বিশ্বাস এবং আঁকা সোমা মজুমদারের নির্দেশনা এবং গ্রন্থনায় অভিনীত হয় এক অনবদ্য উপস্থাপন। উপস্থিত দর্শকমন্ডলীর করতালিতে অভিনন্দিত হন শিল্পাঞ্জলির পুতুল শিল্পীরা।
এরপর শিল্পাঞ্জলির ভরতনাট্যম বিভাগ এবং কত্থক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবেশন করে এক মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠান। শিল্পাঞ্জলির নৃত্য বিভাগের শিল্পীরা উপস্থাপন করে নৃত্যনাট্য 'বিরহী'। সংস্থার শিল্পী কণিকা দাসের সংগীতের মাধ্যমে এই দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষিত হয়।
(www.theoffnews.com - puppet show)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours