দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
সরকারি কোষাগারে যাতে রাজস্ব ঘাটতি না হয়, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বারবার বলেছেন। সেটি যে কথার কথা। বাস্তবে তার মিল নেই, এমন প্রমাণ পাওয়া গেল নলহাটিতে। একইভাবে পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ওভার লোডিং নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়নি তার প্রমাণ মিললো নলহাটি বাউটিয়া রাস্তায়। ওই রাস্তায় পেট্রোল পাম্পের পর দুটি টোল আছে। যার মধ্যে দ্বিতীয়টিতে আদায় করা হয় রাজস্ব বা রয়্যালটি। কিন্তু মুর্শিদাবাদগামী ট্রাক ড্রাইভার হবিবুল সেখের কাছে রয়্যালটি রসিদে দেখা গেল ৩২০০ টাকা। অথচ তিনি নিজে মুখে জানালেন, তাঁর কাছ থেকে ৩৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। হাজার হাজার পাহাড়ের গাড়ি থেকে অতিরিক্ত একশো টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই টাকা সরকারি কোষাগারের পরিবর্তে কোথায় যাচ্ছে সেটাই প্রশ্ন। এছাড়াও টাকার অঙ্কে হেরফের আছে। কোনও রসিদে আবার সরকারি আধিকারিকের কোনও স্বাক্ষর নেই। অশিক্ষিত ট্রাক ড্রাইভার তাই আসল রসিদ মনে করে তাই নিয়ে যাচ্ছেন। এই টাকাও সরকারি কোষাগারে না গিয়ে আসলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের জন্য সরকার বিপুল অর্থ ব্যয় হয়।
পাশাপাশি ওভার লোডিংয়ের কারণে রাজ্য সরকারের মাল পরিবহনের রাস্তা খারাপ হয় এবং তা বারবার নির্মাণ করতে হয় এমনটাই জানান স্থানীয় বাসিন্দা সুমন সাউ এবং টোটো চালক মিলন লেটরা।
এব্যাপারে নলহাটি এক ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ বলেন, টেণ্ডার ডেকে টোলটা লিজে দেওয়া হয়েছে। এটা ওদের দায়িত্ব দেওয়া আছে। আমরা আলাদা করে দেখি না। তবে এই ইনফরমেশনটা আমাদের কাছে ছিলই না। আপনি দিলেন তাই। এটা আমি সত্যি জানতাম না। আপনি আমাকে জানালেন তাই। তবে সরকারি রেভিনিউ ক্ষতির ব্যাপারটা উনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
(www.theoffnews.com - Revenue tax overloaded truck corruption Nalhati)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours