সুস্মিতা পাল, লেখিকা ও শিক্ষিকা, কলকাতা:

মন্দির আর যদি তা হয় পাহাড়ে, তাহলে আরও বেশী- যাদের দাপট দেখা যায় তারা হলো লম্বা লেজওয়ালা হনুমান। তাদের দৌরাত্ম্যে অস্থির সবাই- যদিও তারা চায় শুধু খাবার। সোমেশ্বর মন্দিরে পুরোহিতের শিশুপুত্রকে দেখলাম বন্দুক হাতে বসে থাকতে - তাতে হয়তো একটু হলেও সমঝে চলে পবনপুত্ররা।

চিতই'এ পাহাড়ের রাজা গোলুদেব'এর মন্দিরে কি বিশাল লাইন। আশপাশের পরিবেশ, দোকানপাট আমাদের কলকাতার কালীঘাটকে মনে করাবেই। ঠিক একইরকম জমজমাট - ধনীদরিদ্র নির্বিশেষে পুজো দেবার আকুলতা। যদিও অনেকেরই পুজোর ডালা কেড়ে নিচ্ছে হনুমানের দলবল। 

বিকেলে পৌঁছলাম পাহাড়ের ওপর ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা ১২৪/১২৫ টি মন্দিরের পুণ্যভূমি যাগেশ্বরে। মিউজিয়ামে রয়েছে অষ্টম বা নবম শতাব্দীর পাথরের মুর্তি যার বেশীরভাগই চুরি হয়ে গিয়েছিল- দিল্লী এয়ারপোর্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কে যে কবে এত মন্দির বানিয়েছিলেন - সঠিকভাবে কেউই বলতে পারেন না। কি সুন্দর মন্দির গাত্রের কারুকার্য - যার অনেকটাই এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ঘন জঙ্গলের নীচে পাহাড়ের মধ্যে মন্দিরের সমাবেশ - পাশ দিয়ে তিরতির বয়ে চলেছে জটাগঙ্গা নদী। আঁজলা ভরে যার জল তুলে নিতে চাইলেও উপচে পড়া তার স্বভাব - ফেলে আসা দিনের স্মৃতিরই মতো। (ক্রমশঃ)

(ছবি সৌজন্যে প্রতিবেদক স্বয়ং)

(http://www.theoffnews.com travel)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours