দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
একেই বলে হাঁস নিয়ে হাঁসফাঁস! শীত এলেই হাঁসের মাংস ও রুটি খাওয়ার চল আছে গ্রাম বাংলায়। কিন্তু শুক্লাপঞ্চমীর দু'দিন আগে বাগদেবীর বাহনকে সম্ভ্রম আপামর বাঙালির। ঠিক যেমনটি কুল নিয়েও কম সম্ভ্রম নেই স্কুল পড়ুয়া থেকে সবার। তবুও আড়ালে আবডালে চুরি থেমে থাকে না। আখচার কুল চুরির মতো, হাঁস চুরির ঘটনা ঘটলো বীরভূমের সিউড়ীর বিদেশী পাড়ায়। আর গৃহস্তের চুরি যাওয়া একুশটি হাঁস ধরা পড়লো বাজারে।
সে ঘটনা সেলুলয়েডের থ্রিলে আকর্ষণ থেকে কম যায় না। হাঁস খুঁজতে খুঁজতে কর্তা গিন্নি সটান হাজির মাংসের বাজারে। সেই বেনেপুকুর পাড়ের মাংসের দোকানে ঝাঁপ বন্দী খাঁচার মধ্যে থাকা হংসবাহিনী গৃহকর্ত্রীর গলার "তি-তি" ডাক শুনেই তারস্বরে "প্যাঁক- প্যাঁক" চিৎকার জুড়ে দেয়। আর তাতেই মুশকিল আসান। পুলিশের সাহচর্যে আদরের ডিম দেওয়া পোষ্য ফের নিজের হুঁদরোয়। তবে পরদিন সকালে। তার আগে গোটা রাত অপেক্ষা। সিউড়ী থানায় নিঁখোজ ডায়েরি করেন গৃহকর্তা তোতন তুড়ি। তোতনবাবু জেলা পরিষদের এক বড় কর্তার আরদালির কাজ করেন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের তৎপরতা ছিল। সারারাত খাঁচায় বন্দী হাঁস পাহারা দিয়ে হাঁসফাঁস প্রশাসন অপেক্ষায় থাকেন বিক্রেতার। হাঁস বিক্রেতা সনাক্ত করেন প্রতিবেশী যুবক সানি হাজরাকে। তিনি আপাতত পুলিশি হেফাজতে।
জানা গেছে, মুড়ির টোপ দিয়ে প্রতিদিন একটি একটি করে হাঁস চুরি করতো এক প্রতিবেশী যুবক। হাঁসগুলি একটি একটি করে নিঁখোজ হওয়ায় ধরতে পারেননি গৃহকর্তা। পরে ক্রমশ সংখ্যা কমতে থাকায় গৃহকর্ত্রীর সন্দেহ হয়। কারণ তিনিই তো তাদের পরম আদরে খাওয়াতেন। বাড়ির খোলামেলা উঠোনেই পোষ্যরা চরে বেড়াতো। বাইরে কোনো পুকুরে যেত না। কিন্তু একদিন দেখেন একুশটি হাঁস ভোজবাজির মতো উধাও। সরস্বতীর পুজোর আগে এভাবেই একুশ হাঁস নিয়ে একুশ অবস্থায় হাঁসফাঁস হলো সবাই - গৃহস্থ, প্রশাসন ও হাঁস।
(www.theoffnews.com - swan Birbhum)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours