ইরানী বিশ্বাস, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও পরিচালক, বাংলাদেশ:

পৃথিবীর বার্ষিক গতির কারণে এবারও ঘুরে এলো একটি মাস। ক্যালেন্ডার থেকে প্রথম পাতাটি খসে পড়লে, মনে পড়ে যায় নিজের কথা। আমি বাঙালী, এটা আমার অহংকার। বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। আমার মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আমার নিজের ভাষা, বাংলা ভাষা। পৃথিবীর ইতিহাসে দেশ এবং ভাষা একই শব্দে গাঁথা, এ এক বিরল ঘটনা। যার তেজদ্বীপ্ত সাক্ষী ২১শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। 

১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী। করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান সভার বৈঠকে রাষ্ট্রভাষা কি হবে আলোচনা চলছিল। কুমিল্লার কংগ্রেস সদস্য বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি করলেন বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা করা হোক। সেই সূত্র ধরে ১১ মার্চকে ‘বাংলা ভাষা দাবি’ দিবস ঘোষনা করা হলো। এ বিষয়ে জেলায় জেলায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর, যশোর, দৌলতপুর, খুলনা, বরিশালে ছাত্রসভায় বর্ক্তৃতা করেন।

১১ মার্চ ভোরবেলা সারা ঢাকা শহর পোস্টারে ভরে ফেলা হয়। শত শত ছাত্র কর্মী ইডেন বিল্ডিং, জেনারেল পোস্ট অফিস ও অন্যান্য জায়গায় পিকেটিং শুরু করে। ফলে পুলিশের লাঠি চার্চ এবং গ্রেফতার শুরু হয়। এতে শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৭০-৭৫ জনকে জেলে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনদিন পর ১৫ তারিখ জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৬ মার্চ সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় শেখ মুজিবর রহমান সভাপতির বক্তৃতা করলেন। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত।

১৯৫০ সালের ১১ মার্চ আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট ল্যাঙ্গয়েজ মুভমেন্ট কমিটি। সংসদে আরবি হরফে বাংলা লেখার ব্যাপারে এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। 

১৯৫১ সালে নব গঠিত যুব লীগ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সহ চাপিয়ে দেওয়া ভিনদেশী সংস্কৃতির বদলে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি, যেমন পহেলা বৈশাখ, নবান্ন চর্চায় উৎসাহিত হয়ে ওঠে। 

১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারী পাকিস্তানের গর্ভনর জেনারেল পল্টন ময়দানে ঘোষনা করলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। সমাবেশ জুড়ে স্লোগান উঠল, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। এ কারণে ৪ ফেব্রুয়ারী পালিত হল ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট। ২১ ফেব্রুয়ারী ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তান সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ২০ ফেব্রুয়ারী সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় উপস্থিত প্রায় সকলেই ১৪৪ ধারা ভাঙার মতামত দিয়েছিল।

২১ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠের পাশে, মেডিক্যাল কলেজের গেটের পাশে জমায়েত হতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। সকাল ১১টায় আব্দুল মতিন, গাজিউল হক, কাজী গোলাম মাহাবুব, আলি আহাদেও উপস্থিতিতে শুরু হয় সমাবেশ। বেলা ১২টায় সাধারণ ছাত্ররাই ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে, পূর্ববাংলা আইন পরিষদের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। শুরু হল পুলিশের বেপরোয়া গুলিবর্ষণ ও লাঠি চার্চ। ঘটনাস্থলেই আবুল বরকত, রফিকুদ্দিন আহমেদ এবং আব্দুল জব্বার বুলেটে মারা যায়। হাসপাতালে মারা যায় আব্দুল সালাম। সেই সময় ওহিউল্লা নামের ৯ বছরের শিশুও পুলিশের গুলিতে মারা যায়। পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে ৩ ঘন্টার সংঘর্ষ হলেও ছাত্রদের অবস্থান ছিল অনড়। বিকাল ৪টার মধ্যে চারিদিকে সংঘর্ষের কথা ছড়িয়ে পড়তেই শত শত মিছিল নিয়ে জনতা আসতে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।

গুলিবর্ষণের সংবাদ পৌছামাত্র ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নেত্বত্বে ৬ জন আইন পরিষদের সদস্য সভা মুলতবি করে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আহত ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার আহ্বান করেন। তৎকালীণ সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ তর্ককাগিশ এ প্রস্তাবের স্বপক্ষে অবস্থান নিলেও মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন এ সকল দাবি উপেক্ষা করে আইন পরিষদের অধিবেশন চালানোর নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদে ওয়াক আউটের ঘটনা ঘটে। ২১ ফেব্রুয়ারী রাতভর প্রচারণা চলতে থাকে। ২২ ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় সমাবেশ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ২১ শে ফেব্রুয়ারীর শহীদদের নামাজের জানাজা শেষে শোক মিছিল বের হয়। এই মিছিলের উপরেও গুলি চালায় পুলিশ। এতে শফিউর রহমান সহ আরো ৪ জন শহীদ হয়।

ক্রুদ্ধ জনতা ঢাকার রথখোলায় সরকার দলীয় পত্রিকা ‘দ্যা মর্নিং নিউজ’র অফিস পুড়িয়ে দেয়। পাকিস্তান সরকার সেনা নামিয়ে ক্রুদ্ধ জনতার বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পুরানো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল ছাত্র জনতার সমাবেশ। এই বিশাল সমাবেশের কাছে পরাজিত হয় পাকিস্তানী পুলিশ। কোন বিকল্প রাস্তা না পেয়ে নুরুল আমিন আইন পরিষদে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতি দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনেন। যা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।

২৪ ফেব্রুয়ারী ভোর ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থানে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মান করা হয়। সকাল ১০টায় শহীদ শফিউর রহমানের বাবা স্মৃতিস্তম্ভটি উন্মোচন করেন। সারা দেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানী শাসক বিরোধী আন্দোলন।

২৫ ফেব্রুয়ারী বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২৬ ফেব্রুয়ারী সেনা বাহিনী এবং পুলিশ যৌথ ভাবে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ গুড়িয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে নুরুল আমিনের পদত্যাগের দাবিতে ক্রুদ্ধ জনতা আন্দোলন শুরু করে। 

পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী পাকিস্তানপন্থীরা এ আন্দোলনকে মুসলিম সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত করতে হিন্দু ও কমিউনিষ্টদের যড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে। তাদের এ অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এ দেশের লড়াকু দামাল সন্তানেরা। 

বাঙালী জাতি নিজেকে লড়াকু হিসাবে প্রমান করেছে ইতিহাসের পড়তে পড়তে। ১৯৫২ সালে বুকের রক্তের বিনিময়ে মায়ের মুখের ভাষা রক্ষা করেছে এদেশের দামাল সন্তানেরা। এ জাতি তাদের কখনো ভুলবে না। ভাষাসৈনিক সেসব বীর সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ইতিহাসের পাতায় এ মাসটি স্থান না পেলে আমি কখনোই লেখক হতে পারতাম না। হয়তো বাংলা আমার ভাষা বলেই আজ আমি একজন লেখক। বাংলা বর্ণমালা সৃষ্টি হয়েছে বলেই আমি নিজের মনের কথা ব্যক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। মনের ভাষায় লিখছি মনের সব জমানো কথা, প্রকাশ করছি অনুভুতি। 

ক্যালেন্ডারের পাতায় লাল রঙে লেখা ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ। লাল রঙ সব সময় আমাকে মনে করিয়ে দেয় স্বজনের রক্তে রাঙা রাজপথ। ১৯৫২ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের কিছু দামাল ছেলেরা ফুসে উঠেছিল পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর ওপর। তারা রাষ্ট্র ভাষা উর্দু মানে না। তাদের মায়ের ভাষা বাংলা হোক রাষ্ট্রভাষা, একটাই দাবি। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সেদিন মায়ের ভাষা রাষ্ট্র ভাষার অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছিল পূর্বপাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের ছেলেরা। জীবনের বিনিময়ে তারা সে অধিকার রক্ষা করেছিল। রফিক, শফিক, বরকত, সালাম সহ অনেক নাম না জানা তাজা তরুণ জীবন দিয়েছিল। তাদের স্মরণে তৎকালীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছিল। যা আজকের জাতীয় শহীদ মিনার নামে পরিচিত।

একুশ মানে চেতনা। একুশ মানে বাংলাভাষার অধিকার। একুশ মানে মায়ের ভাষায় দ্বীপ্ত উচ্চারণ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালী জাতির কাছে একটি বিশেষ দিন। ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল। এরই মধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা বাঙালী হিসাবে অত্যন্ত গর্বের।

তবু চারিদিকে বাংলাভাষার অবমাননা হতে দেখা যায়। আধুনিকতার নামে বাংলাকে বিকৃত উচ্চারণ শুনে বড় কষ্ট হয়। যেন বাংলাভাষা খুবই দরিদ্র, তাকে সম্পূর্ন ব্যক্ত করতে হলে অন্য ভাষার সাহায্য ছাড়া চলেই না। আবার অনেক অভিভাবক মনে করেন সন্তান ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া না করলে সমাজে প্রেস্টিজ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোক তিনি অবলীলায় বলে যাচ্ছেন আমার সন্তান বাংলা প্রোগ্রাম দেখে না বা বাংলা ভাল পড়তে পারে না। অনেকের কাছে শোনা যায়, তারা নাকি সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া শিখানোর জন্য নিজেরাও ইংরেজি শিখতে শুরু করেছেন। কারন বাংলাদেশে সমস্ত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সন্তান ভর্তির সময় বাবা-মা’য়ের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। সেখানে বাবা-মা’কে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে জানা বাধ্যতামুলক। 

আমি বলছি না, ইংরেজি জানাটা কোন অন্যায়। ইংরেজি আমাদের আন্তর্জাতিক ভাষা। সুতরাং সকল মানুষকে শিক্ষিত হয়ে ওঠার জন্য ইংরেজি ভাষা জানা উচিত। তবে, অন্য দেশগুলির দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা এখন উন্নতির শীর্ষে। তবু তারা ইংরেজি জানে না। বা জানলেও তার ব্যবহার করতে নারাজ। খুব কাছে মালয়েশিয়ার কথাই ধরা যাক। সেখানে ইংরেজি ওয়ার্ডে মালয়েশিয়ান ভাষা লেখা হয়। তাছাড়া চীন, জাপান এরা ইংরেজি বলতে এবং লিখতে চায় না। তাই বলে সেই দেশ কি উন্নত হয়নি?

সর্বপরি একটি কথাই বলা যায়, নিজের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে জনগণ এবং সরকারের ইচ্ছাটাই আসল। সরকার যদি চায় দাপ্তরিক সব কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হবে, তাহলে সেটা সম্ভব। তা-ই যদি না হলো, তা হলে এত গুলি তরুন- তাজা প্রানের বিনিময়ে পাওয়া বাংলা ভাষার মর্যাদা দেব কি করে।

আমাদের দেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত একজন কন্ঠশিল্পী সগৌরবে বলেন, তিনি বাংলা পড়তে এবং লিখতে পারেন না। এমনকি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে বিদেশে গিয়ে উর্দু গান পরিবেশেন করেন। মানলাম তিনি এক সময় পাকিস্তানে বসবাস করতেন। পাকিস্তানী বেতার, টেলিভিশনে সংগীত পরিবেশন করতেন। সে অতীতের কথা। আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর। বাংলাদেশকে ভালবেসে স্বাধীণ দেশে ফিরেও এসেছেন। এ সবই গর্বের বিষয়। আমি যতদূর জানি, একটি শিশু বাংলা ভাষা পড়তে ও লিখতে সময় নেয় মাত্র ৩ বছর। আমার বোধগম্য হলো না, স্বাধীনতার ৫০ বছর কেটে গেলেও সেই কন্ঠশিল্পী বাংলা ভাষা এখনো লিখতে এবং পড়তে পারেন না। তিনি কি একজন সুনাগরিক হিসাবে বাংলা ভাষাটা শিখে নিতে পারতেন না! এটাকে কি বলবো, বাংলাভাষার প্রতি অবহেলা, নাকি পাকিস্তান প্রীতি!

আজকাল রেডিও টিভি উপস্থাপিকাদের দেখলে মনে হয় ইংলিশ ছাড়া অন্য ভাষা জানাটা লজ্জাজনক। একুশের বইমেলায় ঘুরে দেখা গেল অধিকাংশ বাংলা বইয়ের ইংরেজি নাম দেওয়া হয়েছে। অনেক লেখক মনে করেন, ব্যতিক্রম যে কোন বিষয়ই পাঠক মহলে গ্রহনযোগ্য। অথবা ইংরেজি নামের বই হয়তো তাঁকে লেখক হিসাবে উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাবে। 

শুধু কি তাই, রাস্তার সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে টেলিভিশনের নাটকের নামেও এসেছে ইংরেজি হরফে লেখা নামের আধিক্য। ইদানীং নাটকে বাংলা নামের চেয়ে ইংরেজি নামই যেন বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। অনেক লেখক বা নাট্যকার মনে করছেন ইংরেজি নামের কারনে নাটক হিট হবে। এক সময় বাংলাদেশের নাটক ছিল উপমহাদেশের কাছে প্রসংশার দাবীদার। বর্তমান সময়ে টিবি নাটকের নিজস্বতা বিলুপ্তিতে নাটকের সোনালী অতীতকে পদদলিত করতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন নাট্যকার বা নাট্যনির্মাতা। 

আমরা কি পারি না শহীদদের রক্তের মর্যাদা দিতে। বছর ঘুরে না হোক অন্তত এই ফেব্রুয়ারী মাসে আমরা সকলে বাংলাভাষা চর্চা করি। এই একটি মাস আমরা প্রতিজ্ঞা করি বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ করি। অন্তত ফেব্রুয়ারি থেকে এই চর্চাটা শুরু করি।

(www.theoffnews.com - Bangladesh bangla bhasha)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours