সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

বিশেষ ধরনের এডহেসিভ ব্যান্ডেজ তথা ড্রেসিংয়ের একটি ব্র্যান্ড হলো ব্যান্ড-এইড। কালের আবর্তে এখন প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ফার্স্ট এইড বক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই ব্যান্ড-এইড।   বিভিন্ন ছোটখাটো কাটা-ছেড়ায় বহুল ব্যবহৃত চিকিৎসা উপকরণ হলো ব্যান্ড-এইড।

ফার্মাসিউটিক্যাল এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিবিধ যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী আমেরিকান প্রতিষ্ঠান বিশ্বখ্যাত ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানি এটি পৃথিবীজুড়ে বিপণন করে থাকে। 

১৯২০ সালে প্রথম উদ্ভাবনের পর থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির ব্যান্ডেজের ব্র্যান্ডটি আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ দেশে দেশে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। একসময় এডহেসিভ ব্যান্ডেজের সমার্থক হিসাবে পরিগণিত হতে থাকে। বর্তমানে এটি এমন একটি সুউচ্চ অবস্থানে পৌঁছে গেছে যে, সাধারণ মানুষ এডহেসিভ ব্যান্ডেজ চেনে না, কিন্তু ব্যান্ড-এইড বললে অনেকেই চিনে ফেলে।

ব্যান্ডেজটির প্রথম উদ্ভাবনের কাহিনি কিন্তু বেশ মজার। এ এডহেসিভ ব্যান্ডেজের আবিষ্কারক আর্ল ডিকসন। আর্ল ডিকসনের স্ত্রীর নাম ছিল জোসেফাইন। জোসেফাইন সবজি কাটা ও রান্নার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনাবশত নিজের হাত কেটে ফেলতেন বা পুড়িয়ে ফেলতেন। আর্ল ডিকসন তখন জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির নিউ জার্সির হাইল্যান্ড পার্ক শাখায় চাকরি করতেন। স্ত্রীর এমন দুর্দশা দেখে তিনি ওই কোম্পানির দুটি পণ্য- টেপ এবং গজ কাপড় একসাথে করে ব্যান্ডেজটি বানিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এ বৈপ্লবিক ফার্স্ট এইড উপকরণটির জন্ম।

ব্যান্ডেজটি কারো কোনো সাহায্য ছাড়াই জোসেফাইন নিজের ক্ষতস্থানে সহজে প্রয়োগ করতে পারতেন। স্ত্রীর উপকারে আসছে দেখে ডিকসন তার কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও ব্যান্ডেজটির কথা জানান। ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির বস ডিকসনের আবিষ্কারটির ব্যাপারে আকৃষ্ট হয়ে এটিকে তার কোম্পানির ব্র্যান্ডের আওতায় ‘ব্যান্ড-এইড’ নামে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।

আকারে ছোট, ক্ষতস্থানে সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং অন্য কারো সহায়তা ছাড়াই নিজে নিজে এটি ব্যবহার করা যায়, বিধায় বাজারে আসার পর-পরই এটি সীমাহীন জনপ্রিয়তা পায়।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours