রণজিৎ গুহ, লেখক ও সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

প্রকৃতির ফুল বাগিচায় গোলাপ এক আশ্চর্য ভালবাসার প্রতিক। গোলাপ ফুল প্রাচীন কাল থেকেই ভালোবাসা আর সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।কত তার বাহার!কত ধরণের ঘ্রাণ কত রঙের পাপড়ি। পাপড়ির রঙের পিছনের রসায়ন রহস্যটা কি?

ফুলের পাপড়ির বৈচিত্র্যপূর্ণ রং প্রধানত আন্থোসায়ানিন, বিটাসায়ানিন জাতীয় রঞ্জকের উপর নির্ভরশীল। আস্থোসায়ানিন হল কতকগুলি জটিল যৌগের সমষ্টিগত নাম। এটি গ্লাইকোসাইড হিসাবে কোশরসে মিশে থাকে। কোশরসের হাইড্রোজেন আয়নের গাঢ়ত্ব অর্থাৎ pH-এর তারতম্য ঘটলে তবেই রং-এর তারতম্য ঘটে।

কোশরসের pH ক্ষারীয় প্রকৃতির হলে ফুলের রং নীল হয়।

pH অ্যাসিড প্রকৃতির হলে রং লাল হয়।

যখন কোশরসের pH প্রশমিত (নিউট্রাল) হয় তখন রং বেগুনী বা কালচে নীল হয়।

কিন্তু সবুজ হয় কোন রসায়নের কারসাজিতে?

প্রকৃতির রঙের খেলার রহস্য চাবিকাঠি হাতের মুঠোয় আনার দীর্ঘকাল ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরের গোলাপ বিজ্ঞানী সুব্রত ঘোষ। 

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও  খ্যাতি প্রাপ্ত গোলাপ বিজ্ঞানী  সুব্রত ঘোষ প্রকৃতির নিজস্ব বৈচিত্রে জুড়ে দিলেন আরেক রঙের বাহার। দীর্ঘকালের গবেষণায় এক অসম্ভবকে সম্ভব করলেন  সুব্রতবাবু।নিজের বাগানে  নিজহাতে ফোটালেন  সবুজ গোলাপ।এ এক আশ্চর্য কীর্তি।ইতিপূর্বে অনাবিষ্কৃত এক নতুন গোলাপ প্রজাতি। আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আবারও খোদিত হল  সুব্রত ঘোষ এর নাম। এর আগে সুব্রত বাবু বিভিন্ন ধরণের গোলাপ তৈরী করেছেন।দেশবিদেশের নানা প্রান্তে সুব্রত বাবুর গোলাপ সমাদৃত হয়েছে।সুব্রতবাবু একটি বিশেষ ছত্রাক আবিস্কার করেছেন যা গোলাপ বীজের অঙ্কুরোদগমে সময় অনেক কমিয়ে দিয়েছে। 

শ্রী রথীন রায় মেয়র থাকাকালীন সুব্রত ঘোষ মহাশয়কে নাগরিক সম্বর্ধনা দেওয়া।কয়েকবছর আগে দোল উৎসবে সুব্রতবাবুকে ' দুর্গাপুর সম্মান ' জানানো হয়।সে সময়েই একান্ত আলোচনায় সুব্রতবাবু এই সবুজ গোলাপ উদ্ভাবনার কথা বলেছিলেন।

দুর্গাপুর শহরবাসীর তরফে সুব্রতবাবুকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours