সজল বোস, ফিচার রাইটার ও সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

প্রকৃতির সৃষ্টিকে এ যেন সরাসরি চ্যলেঞ্জ! হৃদয়কে বের করে সারিয়ে দেওয়া... মানব দেহের প্রায় সব কিছুকে  চিকিৎসা বিজ্ঞানের মধ্যদিয়ে ঠিক করা যায়। আজ তো আরও একধাপ এগিয়ে দর্শনেনন্দ্রিয়ও কৃত্রিম ভাবে মানব জীবনে কাজে লাগবে, অন্ধ মানুষও দেখতে পাবে সব কিছুই। মানুষ ভগবান না মানুষরুপী ভগবান, এই বিতর্ক হোক চলুক তার সৃষ্টির ভাবনা নিয়ে। মানুষের চোখ কত মেগাপিক্সেলের তা হলপ করে বলতে পারবো না... তবে এইচ ডি, বা ফোরকে বা তারও বেশী নিশ্চয়। তবে আমাদের অন্ধত্ব দুর করতে কৃত্রিম এই চোখের ব্যবহার এক নতুন দিগন্তের আলোর মতো আশীর্বাদ এটা বলাই যায়। এতো দিনের প্রচলিত ধারণা অনুসারে মৃত মানুষের কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পরে অন্ধত্ব দুর করতে এই ব্যাবস্থা চলে আসছে এটাও বিশাল ব্যাপার কিন্তু তার সীমাবদ্ধতাও আছে। চোখ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। 

কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও এখন থেকে পৃথিবীর আলো দেখতে পাবেন। বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিকে কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হয়েছে বিশ্বের প্রথম বায়োনিক আই।সাধারণ ভাবে একই দেখতে এই কৃত্রিম চোখটি নির্মাণ করেছেন মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।  বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক ও কম্পিউটার সিস্টেম।  ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আর্থার লোরির নেতৃত্বে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলো দাবী, তিনি  বলেন ডিজাইনটি ১৭২টি লাইটস্পট থেকে একটি প্যাটার্ন তৈরি করে এই বায়োনিক চোখ তৈরি করেছেন। এই চোখের সাহায্যে আশপাশের বস্তুর উপস্থিতি নিরুপন করা সম্ভব। গবেষকরা জানান নিরাময় অযোগ্য নিউরোলজিক্যাল সমস্যায় নষ্ট চোখের সাহায্য করার মাধ্যমে জীবনকে আরেকটু সহজ করার উদ্দেশ্যেই এটি তৈরি করেছেন। 

যদিও মানবদেহে এখনও মানব দেহে এর সফল প্রয়োগ করার আগে ইতিমধ্যেই একটি ভেড়ার ওপর ২০০ ঘন্টার পরীক্ষা চালিয়ে সফলতা পেয়েছেন বৈজ্ঞানীকরা। এখন প্রথম স্তরের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই বিজ্ঞানীরা। এ পরীক্ষা মেলবোর্নে পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

মস্তিষ্কের প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম বায়োনিক আই বা চোখ নির্মিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই উদ্ভাবনের ফলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও দেখতে পারবেন পৃথিবীর সব কিছুই যা একজন ব্যক্তির ভেতর ও বাহিরে চলাচলের জন্য সাহায্য করবে। এটি আশপাশের বস্তুর উপস্থিতিও নিরূপণ করতে পারবে।

আর কি কি হবে তা বলা শক্ত হলেই দেখতে পাওয়ার আনন্দটা দারুণ। এই কথা আলোচনার মাঝেই ভাবছেন এটা কি ক্যামেরার মতো হবে? এটা কি আমাদের মোবাইলে বা ডিজিটাল ক্যামেরার মতো ছবি বা ভিডিও স্টোর করতে সক্ষম হবে? বা সেই তথ্য প্রজেক্টর এর মতো আলোক রশ্মি বর্ণিত দেয়ালে প্রস্ফুটিত করতে পারবে?

না না এই সব প্রশ্নের জবাব নেই এখনই তবে অসাধ্য বলো কিছুই নয়... যদি এটা প্রয়োজন হয় তাহলে বিজ্ঞানীরা ভেবে দেখবেন যে এই সব ফিচার ফিউচার এ ফোকাস করে কিনা?

আমরাও না হয় রইলাম এই প্রতীক্ষায়। 


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours