সুস্মিতা সেনগুপ্ত, লেখিকা ও শিক্ষিকা, বারাসাত, কলকাতা:
আজ আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি। আষাঢ় মাসের এই দিনটিই গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের মানুষ এই দিনটি উৎসব হিসেবে পালন করেন। মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী গুরু শব্দের অর্থ আচার্য্য, অর্থাৎ যিনি অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখান। হিন্দু মতে পরাশর মুনি ও সত্যবতীর সন্তান ব্যাসদেব জন্মগ্রহণ করেন এই দিনে। তাই এই দিনটিকে 'ব্যাস পূর্ণিমা' বলেন অনেকে।
যমুনা নদীর দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কালো বর্ণের ছিলেন এবং তপস্যা করে তিনি বেদকে চার ভাগে ভাগ করেছিলেন বলে নাম হয়েছিল কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদ ব্যাস। তবে একজন মানুষের জন্ম নেওয়ার পর থেকে অনেক গুরুর সংস্পর্শে আসতে হয়। প্রথম তার পিতা, মাতা পরম গুরু। তারপর হয় শিক্ষা গুরু, কর্ম গুরু, দীক্ষা গুরু। জীবনে পরম গুরু হলেন পিতা, মাতা। জীবনের প্রথম আচার্য্য হলেন পিতা। পিতাই অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখান। তাই গুরু পূর্ণিমার সঠিক সাধনা হলো পিতা, মাতা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours