দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

গম্ভীরা সেতুর পর নলহাটির জগধরী সেতু থেকে বড় চাঙর ভেঙে পড়লো জাতীয় সড়কে! শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। রবিবার সকাল থেকেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এবার জেলার বাকি চার ঝুঁকিপূর্ণ সেতু নিয়ে উৎকণ্ঠায় জেলা বাসী! সবগুলোই ১৯৬০ সালে তৈরি। 
 জগধরী সেতুর চাঙর ভেঙে পড়ার ফলে দক্ষিণ বঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের পন্য পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা বাধার সম্মুখীন হলো। তারপরই তড়িঘড়ি জেলা প্রশাসন ও কালেক্টর অফিস থেকে এই মর্মে ওই সেতুর উপর দিয়ে আগামী পনের দিন ভারি পন্যবাহী যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যাত্রীবাহী যানের ক্ষেত্রে সেতুর একদিকে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে একপাশ দিয়ে ফাঁকা গাড়ি পার করা হচ্ছে। সেতুর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। গত মাসে শেষের দিকে নলহাটির গম্ভীরা সেতুর চাঙর ভেঙে পড়ে। 
উল্লেখ্য, বীরভূমের মোট ৬ টা ব্রীজের অবস্থা খারাপ। সবগুলোই ১৯৬০ সালে তৈরি। তখন ভাবা হয় নি, এত ওভার লোডেড পাথর, কয়লা ও বালির গাড়ি এই সেতু গুলোর উপর চলাচল করবে। বর্তমানে জেলায়  ৬ টি ব্রীজের অবস্থা খুব খারাপ।  বর্তমানে নলহাটির গম্ভীরা, জগধরীর পর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ গুলো হলো-  ডেউচা ব্যারেজ, তিলপাড়া ব্যারেজ, মহম্মদ বাজারে ছোট কার্গিল ব্রীজ ও বক্রেশ্বর ব্রীজ।  ব্রীজ গুলোর  অবস্থা এতই খারাপ যে, যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। 
এব্যাপারে জাতীয় সড়কের বিভাগীয় জেলা বাস্তুকার নিশিকান্ত সিং বলেন, ওভারলোডিং কয়লা ও বালির গাড়ি চালানোর জন্য সেতুর অবস্থা। ১৯৬০ সালে তৈরি এই পুরানো সেতুর উপর ওভার লোডিং গাড়ি চলছে। তাই ব্রীজের স্ল্যাব ভেঙে পড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে রাজ্যের উর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বহুবার। কিন্তু কোন নিয়ন্ত্রন নেই। জেলায় সর্বমোট ছটি সেতুর অবস্থা খারাপ। সবগুলোই ১৯৬০ সালে তৈরি।
 জেলা শাসক মৌমিতা গোদারাকে বার বার ফোন করে  জাতীয় সড়কের বিভাগীয় জেলা বাস্তুকারের অভিযোগের কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায় নি।  তবে, প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওভার লোডেড গাড়ি ধরাও হয়, ফাইনও আদায় করা হয়। যার ফলে রাজ্যের রাজস্ব বাড়ে, কিন্তু রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours