সুপর্ণা ভট্টাচার্য, নাট্যকর্মী, বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:
আনন্দ ব্যতীত জীবন যাপন করা এক অসহনীয় হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের।
আকাশ নীল বরণ দেখে মন উতল হয় না আর।
কালো বাদল দেখে মন নেচেও ওঠে না ময়ূরের মতো।
শুধুমাত্র টিঁকে থাকা, পরের দিনের মুখ চেয়ে।
চারিপাশে দমবন্ধ করা এক নীরব নির্জনতা।
মানসিক রূপে বিধ্বস্থ হতে শুরু করেছি সিংহভাগ মানুষ।
সামাজিক, অর্থনৈতিক রূপে অলিখিত রূপেই বিভিন্ন শ্রেণী গঠিত হয়ে গেছে সভ্যতার আদিকাল হতেই।
বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন রকম সমস্যা। সমাধানের পথও বিভিন্ন।
সকলের দুঃখ,যন্ত্রণা অথবা আনন্দ পাওয়ার কারণও যথারীতি ভিন্ন।
অধুনা কেমন এই শ্রেণীগত বিভেদ ঘুচে গিয়ে যন্ত্রণার চেহারাটি সাধারণ মানুষের এক হয়ে গেছে।
লড়াইটা এক হয়ে গেছে।
বিপুল জনসংখ্যার দেশ আমার।
জনঘনত্ব মারাত্মক।
দারিদ্রতা এক চিরন্তন সমস্যা।
এ সমস্ত কিছুই দ্রুত নিরাময় হওয়ার আশা বড়ো মরীচিকার মতোই বোধ হচ্ছে।
প্রতি সেকেন্ডে এক নবজাতকের জন্ম হচ্ছে।
কিন্তু এ কোন পৃথিবীতে শ্বাস নেবে সে!?
প্রতিদিন গবেষকগণ ধুলোর মতো ভাইরাস টির প্রকৃতি পরিবর্তনের কথা বলছেন। আমরা যারা বিভিন্ন পত্রিকা পড়ছি। আতঙ্কিত হচ্ছি। অস্থির হচ্ছি।
যাঁরা পড়ছেন না, তাঁরা চারিপাশ দেখে আতঙ্কে রয়েছেন।
কেউ সচেতন হচ্ছেন। কেউ হচ্ছেন না।
কিন্তু এক অজানা শত্রুর মোকাবিলা করে চলেছেন।
দীর্ঘ হচ্ছে রাত। মানসিক ভার ভারী হচ্ছে। দিন ধূসর।
আমরা অধীর অপেক্ষায় বিজ্ঞানের আলোর ঠিকানায়।
মানুষ বড়ো অসহায় আজ।
পৃথিবী নিরানন্দময়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours