দীপ্তেন্দু চক্রবর্তী, প্রবাসী লেখক, টরোন্টো, কানাডা:

পুলিশ নিয়ে আমেরিকা কানাডাতে গত সপ্তাহ ধরে একটা প্রতিবাদ চলছে সারা দেশ জুড়ে। পুলিশের নিরীহ নাগরিকদের ওপরে গুলি করে মারার জন্য এই প্রতিবাদ। আসলে এই দেশের পুলিশের কাঠামো সম্পূর্ণ আলাদা আমাদের দেশ থেকে। আমেরিকাতে পুলিশের দুর্নীতির কথা শোনা যায় কিন্তু কানাডাতে দুর্নীতি নেই বললেই চলে। আইন রক্ষার জন্য, নাগরিকের প্রাণ আর সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য পুলিশকে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেটার সমর্থন করে থাকি। কোনো অপরাধী যদি পুলিশকে প্লাস্টিকের ছুরিও দেখায় পুলিশ গুলি করে মেরে দেয় আমরা দেখেছি। মহারাষ্ট্রের পালঘরে দেখলাম তিনজনকে গুন্ডারা পিটিয়ে মারলো পুলিশের সাথে। এদেশ হলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে মেরে দিতো অপরাধীদের। কারো অনুমতি লাগেনা গুলি করতে। দেখলাম কি ভাবে ট্রেনের পর ট্রেন জ্বালানো হল। একজন নাগরিককে রক্ষা করার জন্য পুলিশ একশো জন অপরাধীকে গুলি করে মারবে; কোনো ব্যাপারনা। আমরা সমর্থন করি। কিন্তু যেখানে সরকার জালিয়াতদের সাথে যুক্ত হয়ে নাগরিককে লুঠ করে সেখানে আপনাদের কিছুই করার নেই। আজ রাজ্য একটা লুঠের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সরকার আর প্রাইভেট হাসপাতাল মিলে মানুষদের লুঠ করে চলেছে। দোষ আপনাদের। এদেশের দোষী পুলিশেরা গ্রেফতার হয়ে গেছে। বহু বছরের জেল হবে। আমাদের এখানে আজ থেকে সব কিছু খুলে গেলো। সিনেমা বন্ধ, রেস্তোরাতে দূরত্ব রেখে খাওয়া দাওয়া। আর সব চলছে। দেখা যাচ্ছে মানুষ এখানে খুব সচেতন। বুঝে গেছে করোনা থাকবে কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখলে আর মাস্ক পড়লে কিছু হবে না। আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হচ্ছে।ভ্যাঙ্কুভারে গাছ কাটার লোক চাইছে। $৭৫ ডলার ঘন্টা দেবে। সপ্তাহে চল্লিশ ঘন্টা কাজ। আমি ছোটবেলায় গাছ কাটার জব নিয়েছিলাম। লাম্বার জ্যাক বলে। তখন ঘন্টায় $১৫ ডলার দিতো।খুব কঠিন কাজ। কাঠের চাহিদা এদেশে আমেরিকাতে খুব। সব বাড়ি কাঠের তৈরি। বিশাল বিশাল পাইন বা দেবদারু গাছ কাটা হয়।আবার সঙ্গে সঙ্গে হাজার গাছ লাগানো হয় সেই দিনেই। মেশিনে বা করাতে গাছ কেটে পাশের লেকে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কাঠের কারখানায়। সেখানে নানা সাইজের কাঠ মেশিনে কেটে সারা দেশে পাঠানো হয়। সারাদিন গাছ কেটে আমরা (ছাত্র) সন্ধ্যা হুজ্জতি করতাম। 
প্রচুর হরিণ আর ফেসান্ট (তিতির ) শিকার হতো। আমরাও তার ভাগ পেতাম। আর পেতাম কোয়েল। বারোটা বারো ডলার । কলকাতায় পাওয়া যায়। ছোট পাখি, মাংস নেই, মসলা দিয়ে ভাজা আর বিয়ার। তবে কোয়েলের ডিম্ খেতে খুব ভালো। হরিণ এখন দোকানে পাওয়া যায়। আগে পাওয়া যেত না। শিকারের জন্তু বাজারে বিক্রি হয় না। কেনিয়াতে একটা রেস্তোরা আছে; নাম কার্নিভোরাস। সেখানে সব রকমের মাংস পাওয়া যায়। জিব্রা, থেকে জিরাফ, হরিণ, কুমির, জল হস্তী, এমনকি নাকি অজগরের মাংস পাওয়া যেত। অবশ্য রেটেল সাপ আমেরিকানরা খায় খুব। বিশাল তার আকার। লেজটা ঝুম ঝুম করে বাজে। খুব বিষাক্ত। কুমির্টো খুব খায় ফ্লোরিডা আর নিউ অর্লিয়েন্সে। বিশাল কুমিরকে গুলি করে মেরে ক্রেন দিয়ে তোলা হয়। মেশিনে নিপুন ভাবে চামড়া ছাড়িয়ে মাংস বিক্রি করে। ভালই খেতে। পর্কের মতো। আপনারা তো আবার পর্ক খাবেন না অনেকে। হরিণঘাটের পর্ক খুব ভালো।কিন্তু দুঃখের বিষয় যে যেটা কি করে কাটতে হয় জানে না বা শিখবে না। এদেশে আমরা নানা কাটের পর্ক পাই। পর্ক চপ, কোনো চর্ব্বি নেই। পানের মতো দেখতে। বা পর্ক রিব্স। লম্বা একটা পাঁজর দু কেজি বা তিন কেজি। বা রোস্টের মাংস। তিনশো টাকা কেজি হরিণঘাটা বিক্রি করে। গোয়ান কায়দায় পর্ক ভিন্দালু বানান। গোকুলের কাছ থেকে রেসিপি জেনে নিন। ২০২১ নির্বাচন আসছে। আর এই কাটমানি সরকার না। বিজেপি ছাড়া অন্য কেউ আসছে। মনে রাখবেন। আপনাদের জন্যই এই লুঠ চলে আসছে। আপনাদের চৈতন্য হোক। (ক্রমশঃ) 

(ছবি সৌজন্যেঃ প্রতিবেদক)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours