ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

বর্তমানে পুকুরটিকে  ঘিরে  জনবসতি  ও  বহুতল  নির্মিত  হয়েছে। পুকুরের  দক্ষিণ  পাড়ে  একটি  কালী  মন্দির  আছে। মন্দিরটি ষাটের দশকে   একজন  ভবঘুরে  সাধু  নির্মাণ  করেন।  কিন্তু  বহু  মানুষের  ধারণা  এটি  ভবানী পাঠক প্রতিষ্ঠিত  কালী। আর  মানুষের  বিশ্বাসের  সুযোগ  নিয়ে  কালী  মন্দিরটির পুরোহিত  ফলাও করে  প্রচার  করছেন " ভবানী পাঠকের  কালী  মন্দির। "
            পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে  ত্রিষষ্টি গড়ের  অধিপতি  ছিলেন  ইছাই ঘোষ।  এই  টিলা  বা  দুর্গটি (দুর্গকে 'গড়' বলা হয়)  তার  একটি। তবে তিনিই  এটি  নির্মাণ  করেছিলেন কি না  সে  সম্পর্কে  ইতিহাস  নিরব।
            যিনিই  এটি  নির্মাণ  করুন। তাঁর বৈঞ্জানিক  দৃষ্টিভঙ্গী  ও দূরদর্শিতা  ছিল। টিলাটি  দুর্গাপুরের  কেন্দ্রস্হলে  এবং  সবচেয়ে  উঁচু  স্হানে আবস্হিত। জি, টি, রোডের পাশে ,দামোদর নদের  সন্নিকটে। এই  টিলা  থেকে  জি, টি, রোড ও দামোদরের  উপর  নজরদারি  করা  খুব  সহজ  ছিল। 
              টিলার  নিকটস্হ  ইছাই  সাগর  বা  পীর  (পুত)  পুকুরের  সাথে  দামোদরের  সুরঙ্গ  পথে  যোগাযোগ  থাক  খুব  স্বাভাবিক।  সম্ভবতঃ  পুকুরটিতে ডিঙ্গি  নৌকাগুলি  নোঙর  করা  থাকতো। টিলা থেকে  নজর করা  হতো।  নদীপথে  কোন  নৌকা  এলে সুড়ঙ্গ পথে  গিয়ে  আচমকা  আক্রমন করে  ধন  সম্পদ লুট করে  আবার ফিরে  আসতো এবং  নৌকা  রেখে সিঁড়ি দিয়ে  টিলার  উপরে উঠে  আসতো। 
            বর্তমানে  এটিকে  সোলার  এনার্জি  পার্কে  পরিনত করে  ঐতিহাসিক  গুরুত্ব  মুছে  দেওয়া  হয়েছে। 
(চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours