ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
গোপীনাথ চট্টোপাধ্যায় জমিদারী লাভ করার পর তাঁর অধীন কয়েকটি ছোট জমিদারীর উদ্ভব হয় তেমনিই দুর্গাপুরে বেশ কয়েক জন সরাসরি বর্ধমানের মহারাজের নিকট থেকে জমিদারীর ইজারা পান।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ'ল উখরার হান্ডা, কাজোড়ার ' হাজরা ',অন্ডালের ' চট্টোপাধ্যায় ( এই পরিবারে প্রখ্যাত সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এর মামার বাড়ি।খাঁদরার 'সরকার 'নাচনের 'বন্দ্যোপাধ্যায় (মন্ডল) ',বীরভানপুরের 'রায়', মেজডিহির 'ঘটক', আকন্দারার 'রায়', গোপালপুরের ' বন্দ্যোপাধ্যায় 'বামুনাড়া -খাটপুকুরের ' ভট্টাচার্য ',আড়রার 'রায়' সরপীর 'রায় চৌধুরী ' পরিবার প্রভৃতি।
গোপীনাথ পুর গ্রামের জমিদার পরিবারের ইতিহাসে জনহিতকর কোন কাজের নিদর্শন পাওয়া যায় না। ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোন ভূমিকাও ছিল না।
কিন্তু উখরার হান্ডা পরিবারের বহু জনহিতকর কাজের নিদর্শন আজ ও বিদ্যমান। এই পরিবারের মেহের চাঁদ হান্ডা সুদুর লাহোর থেকে ভাগ্যন্বশনে বর্ধমানে আসেন। সাথে নিয়ে আসেন পুত্র বক্তার সিংহ হান্ডা, কন্যা বিষেণকুমারী ও কুলদেবতা রাম চন্দ্র। জীউ। বিষেণকুমারীর বিয়ে বর্ধমানের রাজ ত্রিলোক চাঁদ রাম রাই এর সাথে। দ্বিতীয়া পত্নী ছিলেন।তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিয়ে করেন। কিন্তু মাত্র ৩৮ বছর বয়সে ১৯৭০ খ্রীঃ ২৫ মে দুই পত্নী এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে পরলোকগমন করেন। তখন নাবালক পুত্র তেজ চন্দ্রের বয়স মাত্র ছয় বছর। তেজ চন্দ্রের জন্ম হয় বিষেণকুমারীর গর্ভে ১৭৬৪ খ্রীঃ১৭ই জানুয়ারী। ইনিই নাবালক অবস্হায় রাজ সিংহাসনে বসেন। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours