দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

ফের তিন জনের শরীরে করোনার নমুনা মিলল বীরভূমে। এরফলে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয়। যদিও, আগের তিনজনের ফের রিপোর্ট আসার কথা। তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে সেই সংখ্যা কমে যাবে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বাড়ি রামপুরহাট থানার বড়শাল অঞ্চলের বগটুই পশ্চিমপাড়ায়।  বাকি  দুজনের বাড়ি দুবরাজপুর থানার নারায়নপুর গ্রামে। পুলিশ তিনজনকেই উদ্ধার করে দুর্গাপুরের কোভিট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, রামপুরহাটে আক্রান্ত ঐ ব্যক্তিকে মঙ্গলবার  ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।  এ্যাসিম্পটোম্যাটিক বলে রামপুরহাট কিষাণমান্ডি কোয়ারিন্টিন থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।   
     দিন পাঁচেক আগেই মল্লারপুরের বানাসপুর এবং মহুরাপুর গ্রামে দুই মহিলার করোনা ধরা পড়েছে। তাদের এক নিকট আত্মীয় মুর্শিদাবাদের তালোয়া গ্রামের বাসিন্দারও করোনা ধরা পড়ে। তিনজনকেই দুর্গাপুর সনকা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবার রামপুরহাটের বগটুই এবং দুবরাজপুরের নারায়নপুর গ্রামের দুজনের করোনা ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ওই গ্রামের কাকা ও ভাইপো মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে গিয়েছিল। ২৭ এপ্রিল তারা মুম্বাই থেকে মোটা টাকা খরচ করে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফিরেছিল। প্রথম দিন থেকেই তাদের বক্রেশ্বর সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত্রে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে  তিনজনের রিপোর্ট ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে দুবরাজপুরের দুজন। অন্যদিকে,  রামপুরহাটের করোনা আক্রান্ত যুবকের বাড়ি মল্লারপুর থানার বিশিয়া গ্রামে হলেও তারা রামপুরহাট বগটুই পশ্চিমপাড়ার মামার বাড়িতে থাকত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক কলকাতায় কাজ করত। সেখান থেকে ২৭ এপ্রিল কখন ডাম্পারে, কখন মোটরবাইকে, পায়ে হেঁটে সিউড়ি পৌঁছায়। সেখান থেকে সন্ধ্যার দিকে নলহাটির এক যুবকের মোটরবাইকে রামপুরহাটে আসে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাড়ি ফিরে ওই যুবক গোটা গ্রাম চষে বেড়ায়। আশাকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ২৯ এপ্রিল তাকে রামপুরহাট কিষাণমান্ডি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখান থেকে তার লালা রস পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রথম দিকের পরীক্ষায় তার লালা রস পরীক্ষায় করোনা ধরা না পড়ায় তাকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে ফের গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। আশাকর্মীদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলে। বুধবার বিকেলে তাকে ফের বগটুইয়ের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রশ্ন উঠছে চূড়ান্ত রিপোর্ট না আশা পর্যন্ত তাকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? ছাড়ার পর তার উপর প্রশাসনের নজরদারি ছিল না কেন? এনিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ দে বলেন, এ্যাসিম্পটোম্যাটিক বলে ছেড়ে ঐ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কোয়ারিন্টিনে তো গাদাগাদি করে রাখা যায় না।  কোয়ারিন্টিন থেকে ফিরে আশা কর্মীদের সাথে ছবি তোলার রটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours