ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের পর্যবেক্ষন অনুসারে রাঢ়েশ্বর শিব মন্দিরটি পাল যুগের! তবে রাঢ়েশ্বর শিবলিঙ্গ নির্মান ও বীরূপাক্ষ গোস্বামীকে কেন্দ্র করে প্রচলিত কিংবদন্তীটি বিশ্বাস যোগ্য না হলেও নিকটবর্তী ব্রাক্ষ্মন আড়া ( বামুনাড়া) গ্রামে ভুবনেশ্বর রায় নামে একজন,মাতৃসাধক নৃপতি ছিলেন এবং তাঁর নামে একটি শিবলিঙ্গ ও মন্দির আজও বিদ্যমান!
দুই গ্রামের সাথে দুই শিবলিঙ্গকে কেন্দ্র করে বহুকাল থেকে,নিবিড় সম্পর্ক! চৈত্র সংক্রান্তিতে গাজন উপলক্ষে দুই গ্রামের মাঝে পদুমা নামে একটি বৃহৎ পুস্করিনীতে দুই শিবের ভক্তরা সমবেত হয় এবং পাট - লড়াই ও মালা বদল হয়! গাজনে মেতে ওঠে সকলে! পরদিন রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির প্রাঙ্গনে চরকের মেলা বসে ভুবনেশ্বর ও রাঢ়েশ্বর দুই শিবের পাট ভক্তরা অংশ নেয় একসাথে!
রাঢ়েশ্বর শিব মন্দিরের সন্নিকটে একটি ' কালদিঘী' নামে বৃহৎ পুস্করিনী আছে !
এই পুকুর পাড়ে গাছের নীচে কাল ভৈরব শিবের অধিষ্ঠান! সম্ভবতঃ এই জন্যই দিধীর নাম কালদিধী!
কালদিধীকে কেন্দ্র করে কিংবদন্তী আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে! প্রায় আশি নব্বুই বছর পূর্বেও পার্শ্ববর্তী গ্রামের কোন বাড়ীতে যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য দুদিন পুর্বে সন্ধ্যায় একটি পান আর সুপারী দিয়ে সেই বাড়ীর কর্তা কালদিধীর তীরে এসে কাল ভৈরবকে নিমন্ত্রন করে ভোজ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বাসনগুলি চেয়ে একটি তালিকা রেখে চলে আসতেন! পরদিন ভোর বেলায় সেই বাসন রাখা থাকতো! অনুষ্ঠান শেষে বাসন ধুয়ে মেজে সন্ধ্যা বেলায় রেখে আসতে হতো!এলাকাবাসীর বিশ্বাস বাবা কালভৈরব ওই বাসন দিয়ে সাহায্য করতো!
এই জঙ্গল পরিবেষ্ঠিত জনপদ তখন তন্ত্র তান্ত্রিক ও ডাকাত দস্যুদের আশ্রয়স্হল ছিল! কিন্তু ডাকাতরা গরীব-দরদী যেমন ছিল , তেমন সমাজের সেবাও করতো! সম্ভবতঃ ডাকতরা ওই বাসন দিয়ে সাহায্য করতো! (চলবে)
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের পর্যবেক্ষন অনুসারে রাঢ়েশ্বর শিব মন্দিরটি পাল যুগের! তবে রাঢ়েশ্বর শিবলিঙ্গ নির্মান ও বীরূপাক্ষ গোস্বামীকে কেন্দ্র করে প্রচলিত কিংবদন্তীটি বিশ্বাস যোগ্য না হলেও নিকটবর্তী ব্রাক্ষ্মন আড়া ( বামুনাড়া) গ্রামে ভুবনেশ্বর রায় নামে একজন,মাতৃসাধক নৃপতি ছিলেন এবং তাঁর নামে একটি শিবলিঙ্গ ও মন্দির আজও বিদ্যমান!
দুই গ্রামের সাথে দুই শিবলিঙ্গকে কেন্দ্র করে বহুকাল থেকে,নিবিড় সম্পর্ক! চৈত্র সংক্রান্তিতে গাজন উপলক্ষে দুই গ্রামের মাঝে পদুমা নামে একটি বৃহৎ পুস্করিনীতে দুই শিবের ভক্তরা সমবেত হয় এবং পাট - লড়াই ও মালা বদল হয়! গাজনে মেতে ওঠে সকলে! পরদিন রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির প্রাঙ্গনে চরকের মেলা বসে ভুবনেশ্বর ও রাঢ়েশ্বর দুই শিবের পাট ভক্তরা অংশ নেয় একসাথে!
রাঢ়েশ্বর শিব মন্দিরের সন্নিকটে একটি ' কালদিঘী' নামে বৃহৎ পুস্করিনী আছে !
এই পুকুর পাড়ে গাছের নীচে কাল ভৈরব শিবের অধিষ্ঠান! সম্ভবতঃ এই জন্যই দিধীর নাম কালদিধী!
কালদিধীকে কেন্দ্র করে কিংবদন্তী আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে! প্রায় আশি নব্বুই বছর পূর্বেও পার্শ্ববর্তী গ্রামের কোন বাড়ীতে যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য দুদিন পুর্বে সন্ধ্যায় একটি পান আর সুপারী দিয়ে সেই বাড়ীর কর্তা কালদিধীর তীরে এসে কাল ভৈরবকে নিমন্ত্রন করে ভোজ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বাসনগুলি চেয়ে একটি তালিকা রেখে চলে আসতেন! পরদিন ভোর বেলায় সেই বাসন রাখা থাকতো! অনুষ্ঠান শেষে বাসন ধুয়ে মেজে সন্ধ্যা বেলায় রেখে আসতে হতো!এলাকাবাসীর বিশ্বাস বাবা কালভৈরব ওই বাসন দিয়ে সাহায্য করতো!
এই জঙ্গল পরিবেষ্ঠিত জনপদ তখন তন্ত্র তান্ত্রিক ও ডাকাত দস্যুদের আশ্রয়স্হল ছিল! কিন্তু ডাকাতরা গরীব-দরদী যেমন ছিল , তেমন সমাজের সেবাও করতো! সম্ভবতঃ ডাকতরা ওই বাসন দিয়ে সাহায্য করতো! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours