ইছাই ঘোষ ও কর্নসেনের পুত্র লাউসেনের কাহিনী নিয়েই রচিত হয়েছে ' ধর্ম মঙ্গল কাব্য '!
কর্নসেন, ইছাই ঘোষের নিকট পরাজিত হয়ে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিনেল ময়নাগড়ে (বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুরের ময়না)! ধর্মরাজের উপাসক কর্নসেন বিবাহ করলেন তাঁর শ্যালিকা রঞ্জাবতীকে! রঞ্জাবতী যেমন প্রতিব্রতা ,তেমনই ধর্মপ্রানা ছিলেন! তাঁদের সর্ব সুলক্ষনযুক্ত পুত্র সন্তান হলে তাঁর নামকরন করা হ'লো লাউসেন!
লাউসেন তাঁর মায়ের মতোই ধার্মিক এবং ধর্মরাজের উপাসক! ধীরে ধীরে বাল্যকাল , কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পন করে সর্ব শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাছা বাছা খয়রা চোয়াড়দের নিয়ে গড়ে তুললেন নিজস্ব সেনাবাহিনী!
পিতা-মাতার আর্শীবাদ নিয়ে পিতৃ- অপমান, ভাতৃ- হত্যার প্রতিশোধ নিতে আর পিতৃ- রাজ্য পুনরুদ্ধারে যাত্রা করলেন ঢেকুর গড়ের উদ্দেশ্যে!
বুদ্ধ পূর্নিমার পূর্বদিন অজয়ের উত্তর তীরে এসে ডেরা বাঁধলেন! সেখানে পরদিন ধর্মারাজের পূজা করে ইছাই ঘোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন! আজোও সেই স্হানটিকে ' লাউসেনতলা ' বলা হয়!
ইছাই দুটি কারনে তাঁরা আরাধ্যা দেবী ' শ্যামরূপা ' মায়ের বিরাগ ভাজন হ'ন! প্রথমতঃ শ্যামরূপা মা ইছাইকে বলেছিলেন কখনো পরস্ত্রীকে কামনা করলে তিনি ইছাইকে কোন কৃপা করবেন না! আর সেদিনই ইছাই-এর পতন অনিবার্য! দ্বিতীয়তঃ কোনদিন পুজা সমাপ্ত না করে কোন কাজে গেলে সেই কার্যে অকৃতকার্য হতে হবে! তৃতীয়তঃ বারবেলায় যুদ্ধে অবতীর্ন হলে পরাজয় নিশ্চিত! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours