ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

কল্যানেশ্বরীর  দেবীর  সাথে  সেই  সময়  থেকেই  একটা  যোগসূত্র  তৈরী  হয়! ইছাই  ঘোষ  নিজ বাহুবলে ত্রিষষ্টি  গড়ের  অধিপতি  হ'ন! তাঁর  রাজ্যের  সীমানা  ছিল  কটোয়া  থেকে  ডিসের  গড়  পর্য্যন্ত! তিনি  যে  তেষষ্টিটি  গড়ের  অর্থাৎ ' দুর্গের  অধিপতি  ছিলেন  তার  প্রামান মেলে  কিছু  গ্রাম  তথা  জনপদের  নাম   থেকে! যেমন, ঢেঁকুর  গড়, বিস্অতৃতমরার  গড়, রাজগড় ( বর্তমান  পূর্ব বর্ধমান  জেলার   বুদবুদ  থানার  দেবশালা  গ্রাম), পানাগড়, শেরগড় ( উখরা, থানা - অন্ডাল, জেলা :- পশ্চিম  বর্ধমান), ডিসেরগড় (পশ্চিম বর্ধমান) প্রভৃতি!
     ইছাই  ঘোষ  নিজ  বহুবলে  তাঁর  রাজ্যের  সীমানা বিস্তৃত  করেছিলেন! তাঁর  আরাধ্যা  দেবী  ছিলেন, মা  শ্যামরূপা! জনশ্রূতি  ইছাই  ঘোষ  ছিলেন  দেবী  শ্যমরূপার  মানসপুত্র, তাই  তিনি  পেয়েছিলেন  মায়ের  অহেতুকি  কৃপা! কিন্তু  দেবীর  সাবধান বানী  ছিল, ইছাই  কোন দিন  পরস্ত্রীর  প্রতি  কু নজর  দিলে  দেবীর  কৃপা  থেকে  বঞ্চিত  হবে  এবং  ইছাই-এর  পতন  অনিবার্য!
             তবে  দেবী  শ্যামরূপার  কৃপা  বা  অলৌকিত্বের  বিষয়টির  কোন  প্রামান্য  তথ্য  নেই  বা  ইতিহাস  সমর্থিত  নয়! 
              ধর্মমঙ্গল  কাব্য থেকে  এই  বিষয়টি  বোঝা  যায়  ইছাই  ঘোষের  উপর  দৈবকৃপার  বিষয়টি  অতিরঞ্জিত  এবং  মূলতঃ রঢ়বঙ্গে ' ধর্মরাজ  বা  ধর্মঠাকুরের মাহাত্ম প্রতিমা ও  পূজা    প্রবর্তনই  মূল   উদ্দেশ্য  ছিল! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours