ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
অযোধ্যা - বনকাটি - শ্যামবাজার গ্রাম মন্দিরময়! গ্রামে শাক্ত, শৈব আর বৈষ্নব ধর্মের সহবস্হান প্রমান করে হিন্দু ধর্মের সব শাখার মানুষের শান্তিপূর্ন ভাবে নিজ নিজ ইষ্ট দেবতার আরাধনা শান্তিপুর্নভাবে করে আসছে বহকাল আগে থেকেই!
গ্রামে একই সাথে তিনটি বহু প্রাচীন রেখ দেউলরীতে নির্মিত শিবমন্দির প্রাচীন স্হাপত্যের অনুমপ নিদর্শন! এই শিবমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গের সেবাইত অন্ত্যজ শ্রেনীর কর্মকার সম্প্রদায়!
এছাড়াও গ্রামে আরও অনেকগুলি শিব মন্দির ও শিবলিঙ্গ আছে যার সেবাইত ব্রাক্ষ্মন সম্প্রদায় ! বিষ্নুর উপাসক চক্রবর্তী পদবীধারী ব্রাক্ষ্মন! অযোধ্যা ও বমকাটিতে দু'টি বৈষ্নব আখড়া আছে! বৈষ্নবরা এই আখড়াগুলি গ্রামের মানষের সাহায্যে দীর্ধদিন ধরে চালাচ্ছেন! বমকাটি গ্রামের রায় পরিবারের কালী বহু প্রাচীন এবং মানুষের বিশ্বাস দেবী খুবই জাগ্রতা ! মায়ের কাছে মানত করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ন হয়! কালীপূজার রাতে বহু ভক্তসমাগম হয়! ছাগ ও মহিষ বলি দেওয়া হয়! পরদিন পংতিভোজের আয়োজন হয় এবং তার খরচ বহন করেন ভক্তরা!
গ্রামে রথযাত্রায় ' রায় ' পরিবারের পিতলের রথ গ্রাম প্রদক্ষিন করে! এই রথটি রায় পরিবারের নয়, সোঁয়াই গ্রামের তৎকালীন জমিদার ভাদুড়ী পরিবারের! তাঁর কয়েকটি শিবমন্দির ও একটি ন'শ নিরানব্বুই দরজা বিশিষ্ট প্রাসাদও ছিল কালের গর্ভে তা বিলীন হয়ে গেছে! ভাদুড়ি পরিবারের কোন উত্তরসূরী না থাকায় প্রচুর ভু-সম্পত্তি সহ ' রায়' পরিবারকে সেবাইত নিযুক্ত করা হয়!
এই গ্রামের আর একটি বৈশিষ্ঠ আছে! গ্রামটিকে ' সুটিং গ্রাম ' বলা হয়! কারন অনেকগুলি সফল বাংলা চলচ্চিত্রের বর্হিদৃশ্য এখানে গৃহীত হয়েছে! যার বেশীরভাগ বাংলার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুন মজুমদারের ! উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হলো,' খেলার পুতুল, হীরক জয়ন্তী, শ্রীমান পৃত্থীরাজ,রূপসী,আলো,প্রভৃতি!
গ্রামে হাই স্কুল, সমবায়, প্রাথমিক স্বাস্হ্য কেন্দ্র, পঞ্চায়েত কার্য্যালয় আছে! গ্রামের মানুষের মূল জীবিকা কৃষিকাজ হলেও অনান্য পেষায় বহু মানুষ যুক্ত! (চলবে)
অযোধ্যা - বনকাটি - শ্যামবাজার গ্রাম মন্দিরময়! গ্রামে শাক্ত, শৈব আর বৈষ্নব ধর্মের সহবস্হান প্রমান করে হিন্দু ধর্মের সব শাখার মানুষের শান্তিপূর্ন ভাবে নিজ নিজ ইষ্ট দেবতার আরাধনা শান্তিপুর্নভাবে করে আসছে বহকাল আগে থেকেই!
গ্রামে একই সাথে তিনটি বহু প্রাচীন রেখ দেউলরীতে নির্মিত শিবমন্দির প্রাচীন স্হাপত্যের অনুমপ নিদর্শন! এই শিবমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গের সেবাইত অন্ত্যজ শ্রেনীর কর্মকার সম্প্রদায়!
এছাড়াও গ্রামে আরও অনেকগুলি শিব মন্দির ও শিবলিঙ্গ আছে যার সেবাইত ব্রাক্ষ্মন সম্প্রদায় ! বিষ্নুর উপাসক চক্রবর্তী পদবীধারী ব্রাক্ষ্মন! অযোধ্যা ও বমকাটিতে দু'টি বৈষ্নব আখড়া আছে! বৈষ্নবরা এই আখড়াগুলি গ্রামের মানষের সাহায্যে দীর্ধদিন ধরে চালাচ্ছেন! বমকাটি গ্রামের রায় পরিবারের কালী বহু প্রাচীন এবং মানুষের বিশ্বাস দেবী খুবই জাগ্রতা ! মায়ের কাছে মানত করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ন হয়! কালীপূজার রাতে বহু ভক্তসমাগম হয়! ছাগ ও মহিষ বলি দেওয়া হয়! পরদিন পংতিভোজের আয়োজন হয় এবং তার খরচ বহন করেন ভক্তরা!
গ্রামে রথযাত্রায় ' রায় ' পরিবারের পিতলের রথ গ্রাম প্রদক্ষিন করে! এই রথটি রায় পরিবারের নয়, সোঁয়াই গ্রামের তৎকালীন জমিদার ভাদুড়ী পরিবারের! তাঁর কয়েকটি শিবমন্দির ও একটি ন'শ নিরানব্বুই দরজা বিশিষ্ট প্রাসাদও ছিল কালের গর্ভে তা বিলীন হয়ে গেছে! ভাদুড়ি পরিবারের কোন উত্তরসূরী না থাকায় প্রচুর ভু-সম্পত্তি সহ ' রায়' পরিবারকে সেবাইত নিযুক্ত করা হয়!
এই গ্রামের আর একটি বৈশিষ্ঠ আছে! গ্রামটিকে ' সুটিং গ্রাম ' বলা হয়! কারন অনেকগুলি সফল বাংলা চলচ্চিত্রের বর্হিদৃশ্য এখানে গৃহীত হয়েছে! যার বেশীরভাগ বাংলার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুন মজুমদারের ! উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হলো,' খেলার পুতুল, হীরক জয়ন্তী, শ্রীমান পৃত্থীরাজ,রূপসী,আলো,প্রভৃতি!
গ্রামে হাই স্কুল, সমবায়, প্রাথমিক স্বাস্হ্য কেন্দ্র, পঞ্চায়েত কার্য্যালয় আছে! গ্রামের মানুষের মূল জীবিকা কৃষিকাজ হলেও অনান্য পেষায় বহু মানুষ যুক্ত! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours