সুকন্যা পাল, ম্যানেজিং এডিটর, দ্য অফনিউজ:

শিশুকাল মানুষকে নীতিবোধ রপ্ত করানোর টোল হল আজকের ভাবনায় স্কুল। আর সেই নীতিবোধ শেখানোর কংক্রিটের আইকন স্কুলই যে টাটা বাই বাই জানিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্তের সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, ছাড়াও কড়ি মাখো তেল মানবতার মুখে লাগাও জেল।
আসলে এই অদ্ভুত ভুমিকা টানতেই হল এই কারণে যে রাজ্যের কিছু কিছু স্কুলের ভূমিকা এই মূহুর্তে যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে মানুষকে। বিশেষতঃ যখন করোনা মহামারীর সংক্রমণের কারণে রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুর খবর এখন সংবাদের শিরোনামে। আর এরই মধ্যে মানবতার সীমা লঙ্ঘন করে একাংশ বেসরকারি স্কুল ফিইজ আদায়ের ক্ষেত্রে নানা পন্থা অবলম্বন করে চলেছে। এমনকি রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষিত বিধিনিষেধকেও তোয়াক্কা করছে না কিছু স্কুল। 
উত্তর ২৪ পরগনার গড়িফার মালঞ্চ রোড। সেখানেই অবস্থিত ঘোষ মেমোরিয়াল কেজি এন্ড প্রাইমারি স্কুল। এই স্কুলটি কো এডুকেশন ও নার্শারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। এই স্কুলের বিরুদ্ধে লকডাউন চলাকালীন ফিইজ সংগ্রহ করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ অভিভাবক। যদিও সংশ্লিষ্ট স্কুল বন্ধ থাকার কারণে কর্তৃপক্ষের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জনা কয়েক অভিভাবকের অভিযোগ, তাঁরা করোনার আতঙ্কে সপরিবারে গৃহবন্দি অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। ফলে আর্থিক পরিস্থিতি পুরোপুরি তলানিতে ঠেকেছে। এরই মধ্যে স্কুলের তরফে এসএমএস পাঠানো চলছে পাল্লা দিয়ে। এসএমএসের মাধ্যমে স্কুল ফিইজ চাওয়া হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁদের মন্তব্য, এখন তাঁদের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো। ঠিক এই সময়ে স্কুলের তরফে ফিইজ চাওয়ার পদ্ধতিটা মনুষ্য নীতিবিরোধী।
এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে গত ২২ এপ্রিল মুখ্য সচিবালয়ের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে যে কোনও স্কুল লকডাউন চলাকালীন কোনও খাতে কোনও রকমের ফিইজ কোনও উপায়ে আদায় করতে পারবে না। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন ওই অভিভাবকবৃন্দ। তাঁরা সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সরকারি বিধিনিষেধ মানছেন না। নীতিবোধের চিহ্নটুকু নেই। মানুষের সংকট কালে শুধুই একটাই উদ্দেশ্য, ফিইজ সংগ্রহ করা। সেই স্কুলে বাচ্চাদের কি নীতিমালা শেখাবে তা নিয়ে তাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours