দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

দক্ষিণ ভারতীয় খাবার রুচছে না মুখে বীরভূমের শ্রমিকদের। তারপর খাবারের পরিমাণ খুব অল্প। এই উভয় সঙ্কটের মধ্যে বীরভূম থেকে সর্বমোট বারো জন শ্রমিক। তাঁরা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে যান চেন্নাইয়ের কামাংগারা এলাকায়। বাঙালির ডাল ভাতের অভাবে   তাঁদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। নিজের গ্রামে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে  আবেদন জানান তাঁরা।
নলহাটি থানার ভদ্রপুর গ্রামের ৮ জন ও সিউড়ি সদর  এলাকার ৪ জন ওই জায়গায় আঁটকে আছেন তাঁরা। বোধন‌ প্রামাণিক, কালু লেট, সুভাষ চন্দ্র লেট, তারক চৌধুরীরা জানান, আমরা  এখানকার ইডলি, রুটি খেতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, অনুগ্রহ করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
জানা গেছে, আটক শ্রমিকদের সকালে ইডলি, দুপুরে এক হাতা খিচুড়ি জাতীয় খাবার এবং রাতে দুটি রুটি সাথে ডাল জাতীয় খাবার। এই খাবার তাদের মুখে রোচে না। নির্মীয়মান বহুতল ফ্ল্যাটের ইঞ্জিনিয়ার একবার ৪০ কিমি রাস্তা বেয়ে  বারোজন শ্রমিকদের জন্য ২০ কেজি চাল দিয়ে যায়। কিন্তু রাস্তায় পুলিশ ধরায় তিনি আর আসেন না। ৬ দিন সাকুল্যে এই শ্রমিকরা কাজ করার পর লক ডাউন ঘোষিত হয়। নিজেদের সঞ্চয় থেকে ৪০ দিন কষ্ট করে পার করেন তাঁরা। আর চলছে না। ৫০ টাকা কেজি আলু ওখানে। অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও দাম আকাশছোঁয়া। পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি, টমাটো ৪০ টাকা কেজি।
শ্রমিকরা জানান, বাড়িতে বাবা, মা, ছেলে, স্ত্রী আছে। সরকারি তরফে চাল ডাল পাচ্ছে জেনে ভালো লাগছে। কিন্তু তাঁরা চেন্নাইয়ে খুব কষ্টে আছেন। দুটো রুমে ভাড়া নিয়ে তাঁরা আছেন। তীব্র গরমে ছোট্ট ঘরে, নেই সেরকম আলো বাতাস বা মাথার উপরে পাখা। তবে শুনেছি, সরকার কৃষি কাজে ছাড় দিয়েছে। ওখানে মাঠে খেটে খাব। না হলে, নিজের জেলায় রাখার জন্য আবেদন জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours