ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
বর্তমান গড় জঙ্গল,অতীতের ঢেঁকুর গড়কে কেন্দ্র করে নানা কাহিনী ছড়িয়ে আছে। অনেকের বিশ্বাস, শ্যামরূপার দেবীর প্রতিষ্ঠা করেন গৌড়ের সেন বংশের রাজা লক্ষন সেন।
জনশ্রুতি, গৌড় থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢেঁকুর গড়ে আশ্রয় নেয়। তিনি সেই সময় মা শ্যামরূপার পুজো শুরু করেন।
তবে এই কাহিনীর কোন। প্রামাণ্য তথ্য নেই। যোগসূত্র শুধু এটুকু, কবি জয়দেব লক্ষন সেনের সভাকবি ছিলেন।
ইছাই ঘোষের সময় কাল পাল রাজবংশের সমসাময়িক। তাই লক্ষন সেনের এই এলাকায় অবস্থান -এর বিষয়টি অতিরঞ্জিত।
তবে জঙ্গলের শ্যামরূপার পুজো ই সম্ভবতঃ রাঢ় বঙ্গের সর্ব প্রাচীন। বসন্ত কালে বাসন্তী শরৎকালে। দুর্গ পুজোয় প্রচুর প্রচুর জন সমাগম ঘটে। বাংলার ভিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন মন্দির প্রাঙ্গণে। মূলতঃ অষ্টমী ও নবমী তিথিতে বেশী জন সমাবেশ ঘটে।
জনশ্রুতি,অষ্টমী নবমীর সন্ধিক্ষণে এখানে কামানের তোপের আওয়াজ এ ছাগ বলি হয়। এটি ভ্রান্ত ধারণা। পূর্বে জনপদে পাকা বাড়ীর সংখ্যা ছিল অতি নগন্য। আর গড় জঙ্গল তখন ' কুরূপীর জঙ্গল 'নামে খ্যাত ছিল। জঙ্গলে বৃহৎ শাল বৃক্ষের আধিক্য ছিল।
রাজবাড়ীতে। দুর্গা পূজার সন্ধিক্ষনে দল মাদল কামান দুটি থেকে তোপ দাগা হতো। সেই আওয়াজ শাল গাছে বাধা পেয়ে প্রতিধ্বনি
শোনা যেত।
আজ ও মানুষের অন্ধ বিশ্বাস এই ঘন জঙ্গলের মাঝে দুর্গা পূজার সন্ধিক্ষনে তোপের আওয়াজ শোনা যায়। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours