সজল বোস, সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

এবার থেকে ব্যবহার করতে হবে কালো চশমা। হয়তো আশির দশকের নায়ক নায়িকাদের মতো চোখ ঢাকতে হবে কালো সানগ্লাসের আবরণে। না না স্টাইল ও হবে সুরক্ষিতও থাকবেন। তবে সেই স্টাইল হবে না, যেমন ছানি অপারেশন করার পর সম্পূর্ণ চক্ষুমন্ডল কে বেষ্টনী করে রাখে এমন কালো চশমা। নাক বা মুখের মতো চোখ দিয়ে ভাইরাস ঢুকতে পারে শরীরে, কারন রক্তবর্ণ চক্ষু ও হতে পারে সংক্রমণের লক্ষণ। করোনার সংক্রমণ হবার পরবর্তী সময়ে পর ঝাপসা আপনার দৃষ্টিশক্তি। এখন জ্বর-কাশি, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার সাথে রক্তবর্ণ চক্ষুকেও কোভিডের উপসর্গ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লু এইচ ও)। 
রয়্যাল কলেজ অব অপথালমোলজিস্টস অ্যান্ড কলেজ অব অপটোমেট্রিস্টস ব্রিটেনে চোখের চিকিৎসা এবং শিক্ষা বিষয়ক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এই তথ্য জনিয়েছে,  করোনাভাইরাসের আক্রান্ত অনেকের চোখের সমস্যা দেখা গেছে।
কিন্তু চোখের পিউপিল বা আইরিস যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড. রবার্ট ম্যাকলারেন বলেন, চীনের উহানে এক গবেষণায় দেখা গেছে কোভিডে আক্রান্ত অনেকের চোখে নানা ধরনের সমস্যা হয়েছে।
ঠাণ্ডা বা ফ্লুয়ের মতো শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশে যে কোনো সংক্রমণে চোখের পাতায় চুলকানি শুরু হতে পারে আর সংক্রমণ এমনই দাবী করছেন ব্রিটিশ চিকিৎসকরা। এধরনের উপসর্গকে অনেক সময় ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। চোখ তখন লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। তবে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ এখনও অবশ্য এটিকে কোভিড উপসর্গের তালিকায় ঢোকায়নি।
কনজাংটিভাইটিস হলে অনেক সময় চোখ চুলকায় এবং অস্বস্তি বোধ হয় চোখে জল টলটল করে।
“এরকম কিছু হলে দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হতে পারে। এমন অবস্থায় কারো গাড়ি চালানো উচিৎ নয়, কারণ অনেক সময় দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে বা একটি জিনিসকে দুটো দেখা যেতে পারে (ডাবল ভিশন)।“
কনজাংটিভাইটিস খুবই ছোঁয়াচে। মুখ বা নাকের মতো চোখ দিয়েও ভাইরাস দেহে ঢুকতে পারে। তবে চোখের মাধ্যমে মহামারি ছড়াতে পারে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। 
ইটালির প্রথম কোভিড রোগীর চোখে কনজাংটিভাইটিস ছিল। ৬৫ বছরের ঐ নারীর চোখের  পরীক্ষা করে তাতে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল।
আজও নতুন নতুন গবেষণায় আর চিকিৎসায় যে সব তথ্য আসছে তা কিন্তু সকলের কাছে প্রকাশের উদ্দেশ্য যেন আরও বেশী সতর্ক থাকতে পারেন। রোদ ও বাতাসের থেকে চোখ ঢেকে রাখার প্রয়োজন। রাতে অবশ্যই আই কভার লাগিয়ে ঘুমনোর পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারদের একাংশ।
এখন আমাদের ভাবতে হবে এতো সব নিয়ম মেনে কি চলা যায়? আর কত কি উপায় আসবে কে জানে! তবুও সকলে সতর্ক থাকুন সুস্থ্য থাকুন যতদিন না ভ্যাকসিন আবিস্কার হচ্ছে। 

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours