দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

হাতে পয়সা নেই। হোস্টেলে সামান্য খাবার খেয়ে জীবন ধারণ। এই অবস্থা বীরভূমের রামপুরহাট থেকে ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং ট্রেনিংয়ে যাওয়া সাতজন ছাত্রী। অন্যদিকে, রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে আটক রোগীরা প্রতিনিয়ত লজ কর্মীদের কাছে হুমকির শিকার। আর্থিক ও মানসিক কষ্টের মধ্যে কাটছে তাদের জীবন। অসহায় অবস্থায় বহুদূরে থাকা আত্মীয় স্বজনদের উৎকণ্ঠায় কাটছে জীবন। 
এব্যাপারে, ওই ছাত্রীর অভিভাবক এবং চিকিৎসার কারণে যাওয়া রোগীদের পরিবার বার বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোন সুরাহা হয় নি। অভিভাবক মিঠু মুখোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মেয়ে সোহিনী মুখোপাধ্যায় কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে  নার্সিং নিয়ে পড়তে যায়। তাঁর সাথে এলাকার আরও ৬ জন পড়তে গিয়ে আটকা পড়েছে। শুধু তারা নয়, গোটা জেলার আরও বেশ কিছুজন আছে। তাদের প্রতিদিন খেতে দেওয়া হচ্ছে ছোলা সিদ্ধ আর ভাত। এদিকে হাতে পয়সা নেই। বাইরে যাওয়া বন্ধ খুব অসহায় অবস্থায়। খাদ্যাভাবে শরীর ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন এদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

অন্যদিকে, রামপুরহাটের আইনজীবী উৎপল চট্টোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী ইন্দিরা চট্টোপাধ্যায়, মেয়ে সুদেষ্ণা চট্টোপাধ্যায় এবং জামাতা দেবজিত মুখোপাধ্যায়  তামিলনাড়ুর ভেলোরে চিকিৎসা করতে গিয়ে আঁটকে পড়েছেন। গোটা জেলায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে মোট ১৭ জন ভিন রাজ্যে আছেন। এব্যাপারে বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার এ্যসোসিয়েশন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য। সেই চিঠি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা এবং রামপুরহাট মহকুমা শাসক শ্বেতা আগরওয়ালের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours