ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
বুদ্ধ পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে ধর্মরাজের পুজো করে অজয়ের উত্তর পাড় থেকে দক্ষিণ তীরে এসে রন হুঙ্কার দিয়ে ইছাই এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল লাউসেন।
মা শ্যামরূপার পুজো সমাপন না করেই ইছাই যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন। দিন রাত তুমুল যুদ্ধ চলল। দু’পক্ষের প্রচুর যোদ্ধা মারা গেল। কথিত আছে, যুদ্ধে এতো সেনা মারা গেছিল যে আহত ও নিহত সৈনিকদের রক্ত একটা নালা বেয়ে গড়িয়ে অজয়ের জলে মিশে ছিল। তাই আজ ও লোকে গড় জঙ্গলে একটা নালা দেখিয়ে বলে রক্ত নালা।
সারা দিন রাত যুদ্ধের পর বিদ্ধস্ত ,ক্লান্ত ,অবসন্ন ইছাই রণক্ষেত্র -এ একটু বিশ্রাম নিতেই ভোরের আলো ফুটে উঠলে ইছাই প্রমাদ গনলেন। পূব আকাশের সূর্য উত্তরে উদয় হয়েছে।তাঁর মনে পড়ে গেল মা শ্যামরূপার ভবিষ্যত বাণী " পূবের ভানু উত্তরে। উদয় হলে, সে দিন ই হবে তাঁর অন্তিম দিন। "
আজও অজয়ের উত্তর তীরে একটি গ্রাম রয়েছে যার নাম উদয়পুর।
ইছাই ঝুঝতে পারলেন,তাঁর আরাধ্য দেবী মা শ্যামরূপা রূষ্টা হয়েছেন। মায়ের পুজো সমাপন না করে শনিবার বারবেলায় যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া তাঁর অনুচিত হয়েছে।
ইছাই এও বুঝতে পারললেন ।মা শ্যামরূপার অহেতুকী কৃপা থেকে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। আজই তাঁর অন্তিম দিন। তবুও বীরযোদ্ধা কখনো হার মানতে পারে না। তার কাছে পরাজয় অপেক্ষা মৃত্যু বরন গর্বের । (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours